Ajker Patrika

‘আমি থাকতে চিকিৎসকসংকট হবে না’ বলা আরএমও কর্মস্থলে নেই ১৪ দিন

আপডেট : ১৬ মে ২০২৪, ১৫: ১২
‘আমি থাকতে চিকিৎসকসংকট হবে না’ বলা আরএমও কর্মস্থলে নেই ১৪ দিন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আরশাফুল আলমের কাছে সম্প্রতি এক রোগীর স্বজন জানতে চেয়েছিলেন, ‘হাসপাতালে কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক দায়িত্বে আছেন কি না। এই প্রশ্ন শুনে ক্ষিপ্ত হন আরএমও আরশাফুল। রোগীর স্বজনকে তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্বে থাকতে চিকিৎসকের সংকট হবে না।’

এদিকে আরএমও আরশাফুল আলম টানা ১৪ দিন ধরে হাসপাতালে আসছেন না। নেননি ছুটিও। কারণ দর্শানোর নোটিশও গ্রহণ করেননি। ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো হলেও জবাব দেননি। হাসপাতালের কর্মকর্তারা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও কল ধরছেন না তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে কয়েকবার ছুটি নিয়েছেন আরশাফুল আলম। যোগদানের পর রোগীও দেখতেন না। তবে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার পর তিনি রোগী দেখছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে আরএমও আরশাফুল আলম খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে থেকে হাসপাতালে আসেন না আরএমও আরশাফুল আলম। নেননি কোনো কোনো ছুটি। তাঁর সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরশাফুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েও কোনো জবাব পায়নি তারা।

আরএমও হাসপাতালে এসে গোপনে হাজিরা খাতায় সই করতে পারেন বলে কথিত রয়েছে। তাই হাজিরা খাতা রাখা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজের হেফাজতে।

এদিকে অনেক দিন ধরে আরএমও আরশাফুল আলম অনুপস্থিত থাকায় মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সুজনকে ভারপ্রাপ্ত আরএমওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ধরেননি আরএমও আরশাফুল আলম।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ বলেন, ‘২ মে থেকে হাসপাতালে আসছেন না আরএমও আরশাফুল আলম। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। এ কারণে তাঁকে ১২ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। তিনি এর জবাব দেননি। এরপর তাঁকে ডাকযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি এটিরও জবাব দেননি। হাসপাতাল পরিচালনার স্বার্থে সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলোচনা করে সুজনকে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হোসেন বলেন, ‘এমন সমস্যা হলে সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি না পারলে আমাকে লিখিতভাবে জানাবেন। তখন আমি ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত