Ajker Patrika

মাগুরার অস্ত্রধারী সেই যুবক তিন দিন পর গ্রেপ্তার

মাগুরা প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২: ৩৬
Thumbnail image

মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলীগের মধ্যকার গত বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এক অস্ত্রধারী যুবকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তিন দিন পর সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে সদরের আলোকদিয়া এলাকা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির করা এক মামলায় শাহিন খান (২৫) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার ভয়ভীতি প্রদর্শন, দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে একটি মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বারিউল ইসলাম রিয়াদ। মামলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতি সৃষ্টি ও হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অভিযোগে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে জেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা রয়েছেন। 

ওসি আরও জানান, এই মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার হয়েছেন শাহিন খান। এই অস্ত্রধারী যুবকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। শাহিন এই মামলায় ৯০ নম্বর আসামি। তাঁর বাবার নাম লুৎফর রহমান। বাড়ি শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায়। 

সদর থানর পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহিনের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো কাগজ পাইনি আমরা। তবে যত দূর জেনেছি, ছাত্রলীগের একটি কমিটিতে তিনি ছিলেন। পরে ওই কমিটি শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বিলুপ্ত হয়।’

তবে বিএনপি এই মামলা নিয়ে শনিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এটা হয়রানিমূলক মামলা। অস্ত্রধারী শাহিন একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মদ ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি উল্লেখ করে, মামলার ৯০ নম্বর আসামি শাহীন মাগুরা আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সেদিন আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। শাহীন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই ছিলেন। 
 

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ এপ্রিল মাগুরা আদর্শ কলেজের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের তখনকার সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মীর মেহেদী হাসান। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ওই কমিটিতে নাম ছিল শাহীনের। আদর্শ কলেজের ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন নাজমুল হুদা অমি আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জাহিদ হোসেন। পরে ওই কমিটি শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বিলুপ্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত