Ajker Patrika

একুশের চেতনা মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে: খুবি উপাচার্য

খুবি প্রতিনিধি
একুশের চেতনা মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে: খুবি উপাচার্য

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা সেই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে পেরেছি। বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয় পেয়েছি। ইতিহাসকে অনুসরণ করেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, একুশের চেতনা আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে।’ 

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

উপাচার্য বলেন, ‘একুশ মানে কিছু হারানো, কিছু প্রাপ্তি। ৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় যখন আমরা ২০০ বছরের পরাধীনতার শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখেছি, তখন আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’ 

ড. মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে মায়ের ভাষা কেড়ে নেওয়ার চেয়ে অমানবিক আর কি হতে পারে? কিন্তু বাঙালিরা থেমে থাকেননি। তাদের অদম্য শক্তি, মনোবল আর একাগ্রতায় আমরা ৫২ সালে মাতৃভাষা পেয়েছি।’ 

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস। 

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। পরে তিনি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনে মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব উদ্বোধন করেন। 

এ ছাড়া বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও প্রশাসন ভবনের মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্বালন ও বিকেল ৪টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত