Ajker Patrika

মেয়াদ পার হলেও শেষ হয়নি সংস্কার, ভোগান্তি

  • শহরে প্রবেশের উত্তর পাশের পথটি এক মাস আগে এবং বের হওয়ার দক্ষিণ পাশের পথটি গত সপ্তাহে বন্ধ করা হয়।
  • কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত। ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ 
ঝিনাইদহ শহরে প্রবেশপথ বন্ধ করে শহীদ মিনার গোলচত্বরে সংস্কারকাজ চলছে। ছবি:আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ শহরে প্রবেশপথ বন্ধ করে শহীদ মিনার গোলচত্বরে সংস্কারকাজ চলছে। ছবি:আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান দুটি পথ বন্ধ করে শহীদ মিনার গোলচত্বর সড়কে সংস্কারকাজ চলছে। এতে অতিরিক্ত আধা থেকে এক কিলোমিটার ঘুরে শহরে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে লোকজনকে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংস্কারকাজ দ্রুত করার জন্য সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও কাজের সময়সীমা এক মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোলচত্বর সড়কের চারপাশে ২৪ মিটার করে মোট ৯৬ মিটার অংশে রিজিড পেভমেন্ট বা ঢালাইয়ের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস শহীদ ট্রেডার্স। কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত। ব্যয় ধরা হয়, প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সেই কাজ এখনো শেষ হয়নি।

কাজের জন্য শহরে প্রবেশের উত্তর পাশের পথটি এক মাস আগে এবং বের হওয়ার দক্ষিণ পাশের পথটি গত সপ্তাহে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে রিকশাযাত্রীদের বেশি পথ ঘুরে গন্তব্যে যাওয়ার কারণে গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। আর পায়রা চত্বর হয়ে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বর দিয়ে চলাচল করা বাসগুলোকে এখন আরাপপুর, পাগলা কানাই মোড় অথবা হামদহ ঘুরে যেতে হচ্ছে। রাতে এসব স্থানে নামা যাত্রীদের নিরাপত্তার সংকট দেখা দিচ্ছে।

গোলচত্বর হয়ে হেঁটে শহরে যাওয়া মিজানুর রহমান নামের একজন বলেন, ঠিকাদার নিজের সুবিধার জন্য শহরের প্রধান দুটি পথ বন্ধ করে মানুষকে এভাবে ভোগান্তিতে ফেলতে পারেন না। রিকশায় অনেক পথ ঘুরে যেতে ১০ টাকার ভাড়া ১৫-২০ টাকা দিতে হচ্ছে। সড়কের এক পাশ খোলা রেখে অন্য পাশে কাজ করতে পারতেন তাঁরা।

বাসযাত্রীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে শ্যামলী বাস কাউন্টারের ম্যানেজার আজগর আলী মনা বলেন, এই পথ বন্ধ থাকায় বাসগুলোকে রাতে অনেক পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। শহরের যাত্রীদের একটু দূরে নামাতে হয়।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘এটি শহরের জিরো পয়েন্ট। এই অংশটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দাবি থাকবে অতি দ্রুত যেন এই অংশটুকুর সংস্কার শেষ হয়।’

জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, কিছুটা ভোগান্তি হলেও মানুষকে শহরের ভেতরের ও পাশের সড়ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শরিফ বলেন, এই দুটি পথ বন্ধ থাকলেও শহরের চারপাশে রাস্তা আছে। ভোগান্তি হওয়ার কথা না। প্রশাসনের সঙ্গে বসে সড়ক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এক পাশ বন্ধ করে অপরপাশে কাজ করলে সময় লাগত অনেক বেশি। এ জন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করে অন্য পাশগুলো খোলা রেখে শুধু শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ রেখে কাজ করা হচ্ছে, যাতে কম সময় লাগে।’

যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উঠেছিল। যেন দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করা যায়, সে ব্যাপারে সড়ক বিভাগকে বলা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত