খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ইউজিসি প্রতিনিধিদলটি কুয়েটে পৌঁছায়। তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তনজিমউদ্দীন খান, বুয়েটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব আহমেদ শিবলী।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রথমেই অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। যদিও তাঁরা একজনমাত্র শিক্ষার্থীকে অনশন থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হন। অন্য শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যেতে দৃঢ় থাকেন।
পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে একটি বৈঠক করেন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার এ বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ওপর হওয়া হামলা, আন্দোলন ও দাবিগুলো তুলে ধরেন।
বৈঠকে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তাঁরা পুরো চিত্র প্রতিনিধিদলের কাছে উপস্থাপন করেছেন এবং ভিসি কর্তৃক মিডিয়া ও শিক্ষকদের কাছে যেসব গুজব উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো খণ্ডন করেছেন।
আরও জানান, প্রতিনিধিদল তাঁদের যথাযথ বিচারের আশ্বাস দিয়েছে। প্রতিনিধিদল বলেছে, একটা বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিনিধিদল তাঁদের জানিয়েছে, তাঁরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের সুপারিশ পেশ করবে। সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার্থীরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, দুই মাস আগে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটার কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বরং বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরা খবর পেয়েছেন, স্মারকলিপির ব্যাপারে অনেকেই অবগত নন।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘এই গরমে তোমরা যারা অনশন করছ এবং অনশনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানের দৃঢ়তা তুলে ধরেছ, তোমাদের বলতে চাই, প্রক্রিয়া চলমান আছে। খুব শিগগির তদন্ত কমিটি আসবে। তারা তোমাদের সঙ্গে কথা বলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল, সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক কার্যক্রম ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন—
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ইউজিসি প্রতিনিধিদলটি কুয়েটে পৌঁছায়। তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তনজিমউদ্দীন খান, বুয়েটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব আহমেদ শিবলী।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রথমেই অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। যদিও তাঁরা একজনমাত্র শিক্ষার্থীকে অনশন থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হন। অন্য শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যেতে দৃঢ় থাকেন।
পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে একটি বৈঠক করেন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার এ বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ওপর হওয়া হামলা, আন্দোলন ও দাবিগুলো তুলে ধরেন।
বৈঠকে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তাঁরা পুরো চিত্র প্রতিনিধিদলের কাছে উপস্থাপন করেছেন এবং ভিসি কর্তৃক মিডিয়া ও শিক্ষকদের কাছে যেসব গুজব উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো খণ্ডন করেছেন।
আরও জানান, প্রতিনিধিদল তাঁদের যথাযথ বিচারের আশ্বাস দিয়েছে। প্রতিনিধিদল বলেছে, একটা বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিনিধিদল তাঁদের জানিয়েছে, তাঁরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের সুপারিশ পেশ করবে। সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার্থীরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, দুই মাস আগে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটার কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বরং বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরা খবর পেয়েছেন, স্মারকলিপির ব্যাপারে অনেকেই অবগত নন।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘এই গরমে তোমরা যারা অনশন করছ এবং অনশনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানের দৃঢ়তা তুলে ধরেছ, তোমাদের বলতে চাই, প্রক্রিয়া চলমান আছে। খুব শিগগির তদন্ত কমিটি আসবে। তারা তোমাদের সঙ্গে কথা বলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল, সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক কার্যক্রম ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন—
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উন্নয়নকাজে চরম ধীরগতি ও সেবায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদারেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিল পরিশোধে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যত থমকে আছে। কোথাও কোথাও কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শহরে ট্রাফিক জ্যাম বেড়েছে। নাগরিক সেবায়ও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩০০ ফুট সড়কে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি রোলস রয়েস স্পেকটার দুর্ঘটনার নেপথ্যে কুকুর। হঠাৎ দৌড়ে সড়কে চলে আসা একটি কুকুরকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উঠে পড়ে সড়ক বিভাজকে। এতে গাড়ির চার আরোহীই আহত হয়েছেন। গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআড়াই শ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন আট মাস আগে। যাতায়াতের কষ্টে গ্রামের চার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর কাদায় একাকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। দুর্ভোগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ওই গ্রামে কোনো অনুষ্ঠানে
৬ ঘণ্টা আগেঅবৈধ দখলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে গাজীপুরের ‘ফুসফুস’ খ্যাত বেলাই বিল। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ‘নর্থ সাউথ’ ও ‘তেপান্তর’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে শুরু হওয়া এই দখলের কাজ এখন দিনের আলোতেও চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
৬ ঘণ্টা আগে