Ajker Patrika

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুষ্ঠান পণ্ড করল ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০১: ০১
Thumbnail image
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

যশোরের বাঘারপাড়ায় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের হামলায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পণ্ড হয়েছে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবী ওই সংগঠনের নেতা–কর্মীদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের তিনজন আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। মারধর ও হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাঘারপাড়া সমাজ কল্যাণ ক্লাব নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে কেককাটা ও হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণের আয়োজন রাখা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন সরকার। অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাফিস ইকবাল ঈসার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। তাঁরা অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলেন। অনুষ্ঠান বন্ধ না করায় হামলা চালান। হামলায় সংগঠনটির তিন সদস্য আহত হন। একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা।

সমাজ কল্যাণ ক্লাবের সভাপতি নাফিস খান লিটন বলেন, সংগঠনের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের চত্বরে শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ইউএনও প্রধান অতিথি ছিলেন। ইউএনও আসার আগে ছাত্রদলের আহ্বায়কের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা উপজেলা গেটে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমাদের কয়েকজনকে মারপিট ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় আমাদের তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমরা ইউএনও ও থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাফিস ইকবাল ঈসা বলেন, ‘হামলার ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে ছাত্রদলের কোনো নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি আমিও কয়েক দিন যশোরের বাইরে।’ এই ঘটনার ছাত্রদলের কোনো নেতা–কর্মী জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, কম্বল বিতরণের বিষয়টি পুলিশ আগে থেকে কিছুই জানত না। হামলার ঘটনা শুনে পুলিশ তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও শোভন সরকার বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আমার কাছে খবর আসে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। ওসময় আমি আমার কার্যালয়েই ছিলাম। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ শান্ত করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত