Ajker Patrika

মোরেলগঞ্জে মাপে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ, বিতরণ বন্ধ

বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ মে ২০২৩, ২১: ৩৭
Thumbnail image

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিতরণের সময় ভিজিডির চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। কাকড়াতলী বাজারে অবস্থিত জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিতরণের সময় বস্তায় চাল কম পাওয়া যায়। পরে চালগুলো উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ বন্ধ করে গুদামে তালা মেরে দেন ট্যাগ অফিসার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম।

জিউধরা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ট্যাগ অফিসারের নির্দেশে কয়েকটি বস্তা পরিমাপ করা হয়। কোনো বস্তায়ই ৩০ কেজি চাল ছিল না। ২৪ থেকে ২৭ কেজি পর্যন্ত চাল পাওয়া গেছে। পরিষদের সদস্য হিসেবে দরিদ্রদের মধ্যে কম চাল বিতরণ না করার জন্য অনুরোধ করলে চেয়ারম্যান আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। আমাকে মারধর করার হুমকি দেন।’

 ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোকছেদ আলী হাওলাদার বলেন, ‘চেয়ারম্যান তাঁর লোকজন দিয়ে রাতের আঁধারে বস্তায় বোমা মেরে চাল নামিয়ে রেখেছে। বস্তা ভেদে তিন থেকে ছয় কেজি পর্যন্ত চাল কম রয়েছে। আমরা সদস্যরা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তিনি ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামসহ অন্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।’

সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মায়া মণ্ডল বলেন, ‘শুধু চাল নয়, চেয়ারম্যান পরিষদে নানা ধরনের অনিয়ম করেন। আমাদের কোনো কাজে সম্পৃক্ত করেন না। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সহস্রাধিক মানুষের কাছ থেকে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। ওই পানির ট্যাংকি বিতরণের রেজল্যুশনে আমরা তেমন কেউ স্বাক্ষর করিনি। ইউপি সদস্য মো. হারুন হাওলাদারের স্বাক্ষর জাল করেছেন চেয়ারম্যান।’

 ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহজাহান মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা টিআর, কাবিখা ও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত হতে। চেয়ারম্যান আমাকেও একবার মারধর করেছে। চেয়ারম্যানের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।’

ট্যাগ অফিসার মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বস্তায় চাল কম থাকায় আমি বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করি না। চাল চুরির তো প্রশ্নই আসে না। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি জানার পরে জিউধরা ইউপির চেয়ারম্যানকে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ওই ইউনিয়নের কোনো উপকারভোগী নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম চাল পেয়েছে—এমন অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত