Ajker Patrika

সিঙ্গিয়া স্টেশনের সব ফ্যান খুলে নিয়ে গেল রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ, দুর্ভোগে যাত্রী-কর্মীরা

­যশোর প্রতিনিধি
সিঙ্গিয়া রেলস্টেশন টিকিট কাউন্টারের ফ্যান খুলে নেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিঙ্গিয়া রেলস্টেশন টিকিট কাউন্টারের ফ্যান খুলে নেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের সিঙ্গিয়া রেলস্টেশনের সব ফ্যান রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ খুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে গরমে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্টেশনের অপেক্ষমাণ যাত্রীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্টেশনমাস্টার কে এম রিয়াদ হাসান বলেছেন, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু রেল প্রকল্প চালু হওয়ার পর খুলনা থেকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিঙ্গিয়া-পদ্মবিলা জংশন দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করছে। ফলে সিঙ্গিয়া জংশনের গুরুত্বও বেড়েছে। পদ্মা সেতু লিংক প্রকল্পের আওতায় সিঙ্গিয়া স্টেশনে নতুন ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার এই ভবন থেকে সব ফ্যানসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম খুলে নিয়ে গেছে রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।

সূত্র জানায়, রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাকির হোসেন ফ্যানসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম খুলে নিয়ে যান। দুটি যাত্রী বিশ্রামাগারের ৮টি ফ্যান, টিকিট কাউন্টারের ৩টি, স্টেশনমাস্টার ও সহকারী স্টেশনমাস্টারের কক্ষের ৪টি ফ্যান খুলে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫টি এগজস্ট ফ্যানও খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্টেশনমাস্টারের কক্ষের এসির বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, রেলওয়ের মধ্যে একাধিক বিভাগ রয়েছে। মূলত রেলওয়ের বিদ্যুৎ ও পরিবহন বিভাগের ঠেলাঠেলিতে এমন কাণ্ড ঘটেছে। রেলওয়ের বিদ্যুতের সরঞ্জামাদি স্থাপন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে বিদ্যুৎ বিভাগ। আবার এসব কিছুর নিরাপত্তার দায়িত্ব রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর। কিন্তু সিঙ্গিয়া স্টেশনে এখনো জিআরপি ফাঁড়ি বা নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, স্টেশনমাস্টার রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের অধীনে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ফ্যানসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলো বুঝে নেওয়ার জন্য স্টেশনমাস্টার কে এম রিয়াদ হাসানকে চাপ দেয়। কিন্তু স্টেশনমাস্টার এ কাজ তাঁর আওতাবহির্ভূত বিধায় এসব সরঞ্জাম বুঝে নিতে রাজি হননি। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাকির হোসেন স্টেশনের সব ফ্যান খুলে নিয়ে যান।

এদিকে ফ্যান না থাকায় গরমে দুর্ভোগে পড়েছেন স্টেশনে আসা যাত্রীরা। যাত্রী বিশ্রামাগারের মধ্যে গরমে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। একই সঙ্গে স্টেশনমাস্টার, সহকারী স্টেশনমাস্টার এবং টিকিট কাউন্টারেও দায়িত্বরত কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে ঘেমে অস্থির হয়ে পড়ছেন। এ বিষয়ে সিঙ্গিয়া রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার রিয়াদ হাসান পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্টেশন ভবনের সব ফ্যান খুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি সিঙ্গিয়া স্টেশনমাস্টারের লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাকির হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তাঁর স্ত্রী ফোন রিসিভ করে জানান, তিনি (জাকির হোসেন) অসুস্থ। কথা বলতে পারবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত