যশোর প্রতিনিধি
যশোরে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে জুয়েল খান নামের হত্যা মামলার এক আসামি হ্যান্ডকাপসহ পালিয়েছেন। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাসার, কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাতসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আদালতে ছুটে যান। একই সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম জুয়েলকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুয়েলকে খোঁজা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
পলাতক জুয়েল মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি ২০২১ সাল থেকে কারাগারে বন্দী। বাঘারপাড়ার বিচারাধীন হত্যা মামলায় যুক্তিতর্কে উপস্থাপনের ধার্য দিনে আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ জানায়, মাগুরার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইকচালক আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি জুয়েল। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে আল-আমিনের ইজিবাইক ভাড়া করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে এনে তাঁকে হত্যা করেন এবং ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেন জুয়েল ও তাঁর সহযোগীরা।
এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় একটি মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর র্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল টিম জুয়েলসহ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের বাঘারপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই জুয়েল কারাগারে বন্দী ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, এই মামলার আজ ছিল ধার্য তারিখ। সকালে জুয়েল ও হারুন অর রশিদকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে তাঁদের হাজির করা হয়।
পরে আদালত তাঁদের ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন নারী পুলিশ কনস্টেবল সোনালী তাঁদের দুজনকে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিচতলার সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে কৌশলে জুয়েল হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে যান। পরে কনস্টেবল সোনালী চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন তাঁকে তাড়া করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খবর শুনে তাঁরা পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় জুয়েল জজ আদালতের সামনের গেট দিয়ে বের হয়ে মসজিদের সামনে দিয়ে দৌড়ে আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ের পাশ দিয়ে খড়কির দিকে চলে যান।
এদিকে ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার রওনক জাহান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী আদালত চত্বরে আসেন। তাঁরা আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘পলাতক আসামিকে আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। জেলার সব থানা ও পার্শ্ববর্তী জেলার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়টা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যশোর যেহেতু সীমান্তবর্তী জেলা, ফলে সীমান্ত ব্যবহার করে যাতে পালিয়ে না যেতে পারে; সে বিষয়েও পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, সেই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্তে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অবহেলার প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর ইজিবাইক ভাড়া করে খুনিরা চালক আল-আমিনকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে নিয়ে যান। এরপর আল-আমিনের হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। পরে টাকা ও ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। পরদিন পুলিশ বুধোপুর থেকে আল-আমিনের লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ইজিবাইকও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে র্যাব সদস্যরা জুয়েল খান, আল-আমিন, হারুন অর রশিদ ও মো. রাসেলকে আটক করেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে আল-আমিনের ইজিবাইকের ব্যাটারি, চাকা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া থানার এসআই হরষিত রায় আসামি জুয়েল ও একই গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
যশোরে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে জুয়েল খান নামের হত্যা মামলার এক আসামি হ্যান্ডকাপসহ পালিয়েছেন। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাসার, কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাতসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আদালতে ছুটে যান। একই সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম জুয়েলকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুয়েলকে খোঁজা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
পলাতক জুয়েল মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি ২০২১ সাল থেকে কারাগারে বন্দী। বাঘারপাড়ার বিচারাধীন হত্যা মামলায় যুক্তিতর্কে উপস্থাপনের ধার্য দিনে আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ জানায়, মাগুরার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইকচালক আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি জুয়েল। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে আল-আমিনের ইজিবাইক ভাড়া করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে এনে তাঁকে হত্যা করেন এবং ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেন জুয়েল ও তাঁর সহযোগীরা।
এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় একটি মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর র্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল টিম জুয়েলসহ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের বাঘারপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই জুয়েল কারাগারে বন্দী ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, এই মামলার আজ ছিল ধার্য তারিখ। সকালে জুয়েল ও হারুন অর রশিদকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে তাঁদের হাজির করা হয়।
পরে আদালত তাঁদের ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন নারী পুলিশ কনস্টেবল সোনালী তাঁদের দুজনকে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিচতলার সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে কৌশলে জুয়েল হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে যান। পরে কনস্টেবল সোনালী চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন তাঁকে তাড়া করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খবর শুনে তাঁরা পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় জুয়েল জজ আদালতের সামনের গেট দিয়ে বের হয়ে মসজিদের সামনে দিয়ে দৌড়ে আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ের পাশ দিয়ে খড়কির দিকে চলে যান।
এদিকে ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার রওনক জাহান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী আদালত চত্বরে আসেন। তাঁরা আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘পলাতক আসামিকে আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। জেলার সব থানা ও পার্শ্ববর্তী জেলার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়টা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যশোর যেহেতু সীমান্তবর্তী জেলা, ফলে সীমান্ত ব্যবহার করে যাতে পালিয়ে না যেতে পারে; সে বিষয়েও পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, সেই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্তে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অবহেলার প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর ইজিবাইক ভাড়া করে খুনিরা চালক আল-আমিনকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে নিয়ে যান। এরপর আল-আমিনের হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। পরে টাকা ও ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। পরদিন পুলিশ বুধোপুর থেকে আল-আমিনের লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ইজিবাইকও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে র্যাব সদস্যরা জুয়েল খান, আল-আমিন, হারুন অর রশিদ ও মো. রাসেলকে আটক করেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে আল-আমিনের ইজিবাইকের ব্যাটারি, চাকা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া থানার এসআই হরষিত রায় আসামি জুয়েল ও একই গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নড়াই খাল যেন মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালটির স্থির পানিতে সারা বছরই চোখে পড়ে মশার লার্ভা। নিকটবর্তী জিরানি খালেরও একই দশা। এতে খাল দুটি হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিস্তারের উৎস। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এ দুটি খালসংলগ্ন বনশ্রী, আফতাবনগর ও নন্দীপাড়া
১৫ মিনিট আগেমৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
৪০ মিনিট আগেবগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে
৪৩ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
১ ঘণ্টা আগে