যশোর প্রতিনিধি
কৃষিপণ্য পরিবহনে স্পেশাল ট্রেনটি প্রথম দিনেই সবজি ছাড়াই যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যশোরের কৃষকেরা বলছেন, বিশেষ এই ট্রেনের কোনো খবর তাঁরা জানেন না। রেলস্টেশন মাস্টারের দাবি, ব্যাপক প্রচার চালালেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
দেশের সবজির চাহিদার বড় অংশ পূরণ হয় যশোর অঞ্চল থেকে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারি হাট সাতমাইল বারোবাজার। এখানকার সবজি চাষি ও পাইকারেরা বলছেন, সড়কপথে সবজি পরিবহনে অতিরিক্ত খরচসহ পথে পথে চাঁদা দিতে হয় তাঁদের। এতে দামে প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নাকাল হয়ে পড়ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে কৃষিপণ্য পরিবহনে ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল’ নামে এই নতুন ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দেশের ১৫টি উৎপাদক অঞ্চল থেকে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করে দেশব্যাপী সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার চালু হওয়া ট্রেনটি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে যশোর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও ৪০ মিনিট দেরিতে পৌঁছায়। প্রথম দিনেই খুলনা থেকে ৬৪০ কেজি পণ্য নিয়ে ছেড়ে গেলেও যশোর থেকে কোনো পণ্য ছাড়াই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
সবজি পরিবহনে স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে কথা হয় যশোর সদরের ছোট হৈবতপুর গ্রামের সবজিচাষি আব্দুল আলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম ট্রেনের কথা। কবে থেকে চালু হবে বা হয়েছে জানিনে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রেন মুন্সি মেহেরুল্লাহ স্টেশনে থামলে আমাদের জন্যে ভালো হয়। এখান থেকে ট্রেনে পণ্য পরিবহন করতে পারলে আমাদের সুবিধা।’
জানতে চাইলে যশোর সদরের বারীনগর সাতমাইল হাটের আড়তদার আতিয়ার রহমান বলেন, ‘সবজির জন্য স্পেশাল ট্রেন চালুর বিষয়টি আপনার কাছেই শুনলাম। অবশ্য, আমাদের আড়ত থেকে সবজি পাঠানোর জন্য ট্রাকই ভালো ও সুবিধাজনক। কৃষক তাঁদের উৎপাদিত পণ্য আমাদের আড়তে দিয়ে যান। আর ট্রাক একদম আড়তের সামনে দাঁড়িয়ে লোড দিতে পারে। এতে আমাদের সুবিধা। আর স্টেশনে যাওয়া আমাদের জন্য কষ্টকর, যদিও ট্রেনে মাল পাঠাতে পারলে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হব।’
হৈবতপুর এলাকার সবজিচাষি বলেন, ‘ট্রাকের চেয়ে ট্রেনে সবজি পরিবহনে খরচ কম। ট্রাকে আপনি যতটুকু সবজি নেন না কেন, পুরো ট্রাক ভাড়াই দিতে হবে। কিন্তু ট্রেনে যতটুকু সবজি নিব; ততটুকু সবজির ভাড়া গুনতে হবে।’
রেলস্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে রবি ও মঙ্গলবার বিশেষ এ ট্রেন চলাচল করবে। এ জন্য ব্যবসায়ী পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণ চালানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি বিভাগকেও নতুন সার্ভিস সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিন হিসেবে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। তবে আগামীতে সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী আমরা।’ সাশ্রয়ী ভাড়া হিসেবে ট্রেন ব্যবহারের জন্য তিনি কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সবজির বিশেষ ট্রেনের বিষয়ে কথা হয় যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবজি পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেনের খবর জানি। সম্প্রতি যশোর সদরের আব্দুলপুর গ্রামের সবজিচাষিদের নিয়ে একটি ট্রেনিংয়ে এ বিষয়ে সঙ্গে কথা হয়েছিল। তাঁরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। যেহেতু ট্রেনে পণ্য পাঠাতে খরচ কম, সে কারণে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।’
এদিকে ট্রেনের পরিচালক জুলহাস উদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ৬৪০ কেজি পণ্য নিয়ে তারা ট্রেনটি ছেড়েছেন। যশোরে ১০ মিনিটের যাত্রাবিরতি ছিল। এখানে কোনো পণ্য পাওয়া যায়নি। তবে আগামীতে পণ্য আসবে বলে তিনি আশাবাদী।
৭ বগির স্পেশাল এই ট্রেনটি যশোর ছাড়াও মুন্সী মেহেরুল্লাহ স্টেশন, বারবাজার, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, সফদারপুর, আনসরবাড়িয়া, উথলি, দর্শনা প্রভৃতি স্টেশনে থামবে। সবজি নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর, তেজগাঁ ও কমলাপুর স্টেশনে থামবে।
এই ট্রেন রোববার ও মঙ্গলবার খুলনা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করবে। এই ট্রেনে প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে ১ টাকা ৮ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৪৭ পয়সা খরচ পড়বে। এই ট্রেনের মাধ্যমে প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধা মিলবে।
কৃষিপণ্য পরিবহনে স্পেশাল ট্রেনটি প্রথম দিনেই সবজি ছাড়াই যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যশোরের কৃষকেরা বলছেন, বিশেষ এই ট্রেনের কোনো খবর তাঁরা জানেন না। রেলস্টেশন মাস্টারের দাবি, ব্যাপক প্রচার চালালেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
দেশের সবজির চাহিদার বড় অংশ পূরণ হয় যশোর অঞ্চল থেকে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারি হাট সাতমাইল বারোবাজার। এখানকার সবজি চাষি ও পাইকারেরা বলছেন, সড়কপথে সবজি পরিবহনে অতিরিক্ত খরচসহ পথে পথে চাঁদা দিতে হয় তাঁদের। এতে দামে প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নাকাল হয়ে পড়ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে কৃষিপণ্য পরিবহনে ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল’ নামে এই নতুন ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দেশের ১৫টি উৎপাদক অঞ্চল থেকে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করে দেশব্যাপী সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার চালু হওয়া ট্রেনটি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে যশোর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও ৪০ মিনিট দেরিতে পৌঁছায়। প্রথম দিনেই খুলনা থেকে ৬৪০ কেজি পণ্য নিয়ে ছেড়ে গেলেও যশোর থেকে কোনো পণ্য ছাড়াই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
সবজি পরিবহনে স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে কথা হয় যশোর সদরের ছোট হৈবতপুর গ্রামের সবজিচাষি আব্দুল আলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম ট্রেনের কথা। কবে থেকে চালু হবে বা হয়েছে জানিনে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রেন মুন্সি মেহেরুল্লাহ স্টেশনে থামলে আমাদের জন্যে ভালো হয়। এখান থেকে ট্রেনে পণ্য পরিবহন করতে পারলে আমাদের সুবিধা।’
জানতে চাইলে যশোর সদরের বারীনগর সাতমাইল হাটের আড়তদার আতিয়ার রহমান বলেন, ‘সবজির জন্য স্পেশাল ট্রেন চালুর বিষয়টি আপনার কাছেই শুনলাম। অবশ্য, আমাদের আড়ত থেকে সবজি পাঠানোর জন্য ট্রাকই ভালো ও সুবিধাজনক। কৃষক তাঁদের উৎপাদিত পণ্য আমাদের আড়তে দিয়ে যান। আর ট্রাক একদম আড়তের সামনে দাঁড়িয়ে লোড দিতে পারে। এতে আমাদের সুবিধা। আর স্টেশনে যাওয়া আমাদের জন্য কষ্টকর, যদিও ট্রেনে মাল পাঠাতে পারলে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হব।’
হৈবতপুর এলাকার সবজিচাষি বলেন, ‘ট্রাকের চেয়ে ট্রেনে সবজি পরিবহনে খরচ কম। ট্রাকে আপনি যতটুকু সবজি নেন না কেন, পুরো ট্রাক ভাড়াই দিতে হবে। কিন্তু ট্রেনে যতটুকু সবজি নিব; ততটুকু সবজির ভাড়া গুনতে হবে।’
রেলস্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে রবি ও মঙ্গলবার বিশেষ এ ট্রেন চলাচল করবে। এ জন্য ব্যবসায়ী পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণ চালানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি বিভাগকেও নতুন সার্ভিস সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিন হিসেবে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। তবে আগামীতে সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী আমরা।’ সাশ্রয়ী ভাড়া হিসেবে ট্রেন ব্যবহারের জন্য তিনি কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সবজির বিশেষ ট্রেনের বিষয়ে কথা হয় যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবজি পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেনের খবর জানি। সম্প্রতি যশোর সদরের আব্দুলপুর গ্রামের সবজিচাষিদের নিয়ে একটি ট্রেনিংয়ে এ বিষয়ে সঙ্গে কথা হয়েছিল। তাঁরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। যেহেতু ট্রেনে পণ্য পাঠাতে খরচ কম, সে কারণে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।’
এদিকে ট্রেনের পরিচালক জুলহাস উদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ৬৪০ কেজি পণ্য নিয়ে তারা ট্রেনটি ছেড়েছেন। যশোরে ১০ মিনিটের যাত্রাবিরতি ছিল। এখানে কোনো পণ্য পাওয়া যায়নি। তবে আগামীতে পণ্য আসবে বলে তিনি আশাবাদী।
৭ বগির স্পেশাল এই ট্রেনটি যশোর ছাড়াও মুন্সী মেহেরুল্লাহ স্টেশন, বারবাজার, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, সফদারপুর, আনসরবাড়িয়া, উথলি, দর্শনা প্রভৃতি স্টেশনে থামবে। সবজি নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর, তেজগাঁ ও কমলাপুর স্টেশনে থামবে।
এই ট্রেন রোববার ও মঙ্গলবার খুলনা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করবে। এই ট্রেনে প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে ১ টাকা ৮ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৪৭ পয়সা খরচ পড়বে। এই ট্রেনের মাধ্যমে প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধা মিলবে।
ভিডিও দেখা গেছে, গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা কয়েকজনকে হাতে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে আশপাশে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, ফুলপ্যান্ট ও হাফপ্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া স্পিডবোট নিয়ে তাদের অস্ত্র তাক করে আসতে দেখা যায়।
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁরা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁরা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে কাঁটা ঝুলিয়ে দেন।
৯ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে ১ কেজি ৪৩০ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেকোস্ট গার্ডের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিক ও তাঁর ছেলেসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঈদে নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে হস্তক্ষেপ করায় কোস্ট গার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে