Ajker Patrika

কুমারখালীতে চোর সন্দেহে যুবকের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ৩৮
Thumbnail image

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চুরির অভিযোগে এক যুবককে মারধর ও চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তিন দিন পর আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) ভুক্তভোগী নাঈম শেখ (২৪) নিজেই বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের এজাহার নামীয় আসামি করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন— উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের মৃত গফুর শেখের ছেলে মো. রেজমত শেখ (৪৫) এবং একই গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (৪০)। 

নাঈম শেখ উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত মানিক শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। 

পুলিশ ও এলাকাকাসী সুত্রে জানা গেছে, ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা বাজার থেকে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গোপকগ্রাম যাওয়ার কথা বলে নাঈমের ভ্যানটি ভাড়া নেন। পথে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আরও দুই সহযোগী যুক্ত হন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ভ্যান থামিয়ে ওই ব্যক্তিরা কলাভর্তি একটি সাদা বস্তার ভ্যানে তোলেন। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে ভ্যানচালক নাঈমকে গ্রেপ্তার করে এবং মারধর করে চুল কেটে দেন। সে সময় জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. খোকন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মারধর ও চুল কাটার ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ১৮ এপ্রিল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। 

মামলার বাদী নাঈম শেখ জানান, তিনি একজন ভ্যানচালক। রাত হওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ভ্যানে উঠিয়েছিলেন। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে তা তিনি বুঝতে পারেন নি। তাঁর ভাষ্য, হাসপাতালে ভর্তি থাকায় থানায় মামলা করতে দেরি হয়েছে। তবে ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে শনিবার মামলা করেছেন। 

জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. খোকন জানান, তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দাঁয়িত্ব পালন করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু উৎসুক জনতার চাপাচাপিতে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নি। সেজন্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তাঁর ভাষ্য, মানুষের উপকার করতে গিয়ে যদি বিপদে পড়তে হয়। তাহলে ভবিষ্যতে কেউ কারও আর উপকারে যাবেনা। 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, ‘দুজন আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত