গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
তেলের দাম, মজুরি খরচ ও সারের দাম বাড়ায় এমনিতেই বিপাকে কৃষক। এরই মধ্যে আবার মেহেরপুরের গাংনীতে আমন খেতে দেখা দিয়েছে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ। আমনচাষিরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। যদি এখনই মাজরা পোকার আক্রমণ ও গোড়া পচা রোগ দমন করা না যায়, তাহলে আমনের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন খেতে গিয়ে দেখা গেছে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বেরের মাঠ এলাকার আমনচাষি মো. উকলুচ আলী বলেন, ধান বড় হচ্ছে না। মনে হচ্ছে বসে যাচ্ছে। তাই লবণ ব্যবহার করছি। তা ছাড়া মাজরা পোকায় ধানের বাইল কেটে দিচ্ছে ও গোড়া পচে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করছি, কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। তাই দিশা না পেয়ে জমিতে লবণ দিয়েছি।
বামন্দীর মাঠ এলাকার আমনচাষি আলফাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। ধানের শিষ না আসতেই ধানের এমন রোগ দেখা দেওয়ায় হতাশ আমরা। বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করায় পোকার আক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনো সম্পূর্ণভাবে সমাধান হয়নি। যদি এই রোগ দূর না করা যায় তবে ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে।’
দেবীপুর-তেরাইল এলাকার কৃষক মোফাজ্জেল হক বলেন, আমনে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ নিয়ে খুব ভোগান্তিতে আছি। বর্তমানে আবাদ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আবাদসংক্রান্ত সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ। বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক প্রয়োগ করছি, কিন্তু তেমন একটা কাজ হচ্ছে না। ধান লাল হয়ে যাচ্ছে।
অপর আমনচাষি মোহাম্মদ বিপ্লব হোসেন বলেন, পুরো মাঠের ধানে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। তা ছাড়া বৃষ্টি কম হওয়ায় ধান কম বাড়ছে। ধান পরিপূর্ণ পানি পেলে পোকার আক্রমণ কমে যাবে আর ধান বাড়তেও থাকবে।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান রোপণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দেওয়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে চাষিদের।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, মাজরা পোকার পূর্ণবয়স্ক মথের প্রাদুর্ভাব যখন বেড়ে যায়, তখন ধানখেত থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদ বসিয়ে মাজরা পোকার মথ সংগ্রহ করে মেরে ফেলা যায়। তা ছাড়া ধানের জমির ১০০ মিটারের মধ্যে ১০-১৫টি মরা শিষ অথবা পাঁচটি মরা শিষ পাওয়া গেলে ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি অথবা এসিমিক্স, ফেনজেট, বেল্ট এক্সপার্টসহ বিভিন্ন কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ করে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তেলের দাম, মজুরি খরচ ও সারের দাম বাড়ায় এমনিতেই বিপাকে কৃষক। এরই মধ্যে আবার মেহেরপুরের গাংনীতে আমন খেতে দেখা দিয়েছে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ। আমনচাষিরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। যদি এখনই মাজরা পোকার আক্রমণ ও গোড়া পচা রোগ দমন করা না যায়, তাহলে আমনের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন খেতে গিয়ে দেখা গেছে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বেরের মাঠ এলাকার আমনচাষি মো. উকলুচ আলী বলেন, ধান বড় হচ্ছে না। মনে হচ্ছে বসে যাচ্ছে। তাই লবণ ব্যবহার করছি। তা ছাড়া মাজরা পোকায় ধানের বাইল কেটে দিচ্ছে ও গোড়া পচে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করছি, কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। তাই দিশা না পেয়ে জমিতে লবণ দিয়েছি।
বামন্দীর মাঠ এলাকার আমনচাষি আলফাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। ধানের শিষ না আসতেই ধানের এমন রোগ দেখা দেওয়ায় হতাশ আমরা। বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করায় পোকার আক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনো সম্পূর্ণভাবে সমাধান হয়নি। যদি এই রোগ দূর না করা যায় তবে ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে।’
দেবীপুর-তেরাইল এলাকার কৃষক মোফাজ্জেল হক বলেন, আমনে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ নিয়ে খুব ভোগান্তিতে আছি। বর্তমানে আবাদ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আবাদসংক্রান্ত সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ। বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক প্রয়োগ করছি, কিন্তু তেমন একটা কাজ হচ্ছে না। ধান লাল হয়ে যাচ্ছে।
অপর আমনচাষি মোহাম্মদ বিপ্লব হোসেন বলেন, পুরো মাঠের ধানে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। তা ছাড়া বৃষ্টি কম হওয়ায় ধান কম বাড়ছে। ধান পরিপূর্ণ পানি পেলে পোকার আক্রমণ কমে যাবে আর ধান বাড়তেও থাকবে।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান রোপণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দেওয়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে চাষিদের।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, মাজরা পোকার পূর্ণবয়স্ক মথের প্রাদুর্ভাব যখন বেড়ে যায়, তখন ধানখেত থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদ বসিয়ে মাজরা পোকার মথ সংগ্রহ করে মেরে ফেলা যায়। তা ছাড়া ধানের জমির ১০০ মিটারের মধ্যে ১০-১৫টি মরা শিষ অথবা পাঁচটি মরা শিষ পাওয়া গেলে ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি অথবা এসিমিক্স, ফেনজেট, বেল্ট এক্সপার্টসহ বিভিন্ন কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ করে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
নেত্রকোনার আটপাড়ায় সহকারী শিক্ষিকাকে শোকজ করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে...
৫ মিনিট আগেনড়াইল সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামে নিজ ঘর থেকে দুই সন্তানের মা মাধবী বিশ্বাস (৩৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর ওই নারীর স্বামী হীরামণ বিশ্বাস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুদেবী পলাতক রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে নদী খননের কারণে মাটি সরে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভাষ্য, বক্স কালভার্ট নির্মাণের পূর্বে তাদের অনুমতি না নিয়ে অপরিকল্পিতভাবে করায় মাটি সরে গেছে। চলাচলে ঝুঁকি বাড়ায় ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের মরিচা এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর এবং তুলসীখালী এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর একটি আংশিক, আরেকটি পুরোপুরি অন্ধকারে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এসব সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বাতি থাকলেও কোনো আলো জ্বলছে না। ফলে সন্ধ্যার পর এলাকা দুটি ডুবে যায়
২ ঘণ্টা আগে