Ajker Patrika

দৌলতপুরে মাইকিং করে ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ডাক

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৫৪
Thumbnail image

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসির) বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আগামীকাল সোমবার এই মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে। এ জন্য গতকাল শনিবার উপজেলায় দিনব্যাপী মাইকিং করা হয়েছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গতকাল শনিবার উপজেলাজুড়ে দিনব্যাপী মাইকিং করে। এ সময় মাইকে বলতে শোনা যায়, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ওসির দুর্ব্যবহার ও অবহেলার প্রতিবাদে আগামী ৮ এপ্রিল সোমবার সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তান, নাতি-নাতনি এবং দৌলতপুর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সংগঠনের সদস্যরা দলে দলে যোগদান করে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন, “ওসি রফিকুলের অপসারণ চাই”।’

জানা গেছে, গত ৩ মার্চ উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান এলাকায় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা হয়। মামলার আসামিরা জামিনে এসে আবারও তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ মার্চ দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিনসহ আটজন মুক্তিযোদ্ধা ওসির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ৮ মার্চ আমিসহ আটজন মুক্তিযোদ্ধা থানায় ওসির সঙ্গে দেখা করতে যাই। এ সময় তিনি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি সালামের জবাব দেননি, এমনকি বসতেও বলেননি। অভিযোগের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের সবার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন।’

দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেকেন্দার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসির অফিসে গিয়ে দেখি তিনি চেয়ারে বসে টেবিলের ওপরে পা তুলে সিগারেট টানছেন। এ সময় তিনি আমাদের বসতেও বলেননি এবং আমরা তাঁকে সালাম দিলেও তিনি জবাব দেননি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ওপর হামলা ও হুমকির বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমরা কেন তাঁর কাছে গিয়েছি। এ সময় তিনি আমাদের থানা থেকে বের করে দেন।’


দৌলতপুরে মানববন্ধনের জন্য মাইকিং করা হয়। ছবি: সংগৃহীতসেকেন্দার আলী আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অপসারণসহ ওসির কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ যদি সত্য হয় আপনারা লিখবেন। তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর মিথ্যা হলে লিখবেন না।’

এ বিষয়ে জানতে ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওবায়দুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে মানববন্ধনের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত