চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে স্বাগত জানাতে রাস্তার পাশে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পাঁচটি বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত হয়। ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরাও পদযাত্রায় আসেন।
শিক্ষার্থীদের দেখতে পেয়ে দলটির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের এখন স্কুলে থাকার কথা, ক্লাস ফেলে এখানে চলে আসা একদম ঠিক হয়নি। পড়াশোনা বাদ দিয়ে আমাদের দেখতে আসা তোমাদের কাজ না।’
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেহেরপুর জেলা থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া এলাকায় আসেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গাড়িতে বসে মতবিনিময়ের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলার ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা করেন।
একপর্যায়ে সারজিস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের এই ভালোবাসা দেখে হৃদয় কেঁপে উঠেছে। আমরা যেন এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারি। জীবন দিতে হলেও দেব। তোমরা মন দিয়ে পড়াশোনা কর। আমাদের চেয়েও বড় হও। এমন কিছু করে দেখাও, যাতে আমরা গর্ব করতে পারি।’
এরপর পদযাত্রা আলমডাঙ্গা পৌরসভার আলতাইবা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় আশপাশের এলাকার পাঁচটি বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। স্কুলের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরেই হাটবোয়ালিয়ার নতুন কুঁড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেরিট মডেল স্কুল, মাইলস্টোন স্কুল, হাটবোয়ালিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সেখানে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টায় হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুজ্জামান লাকিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পদযাত্রায় দেখা গেছে। এ সময় তিনি একটি স্থানীয় পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হাসনাত, সারজিস আসছেন। তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য আমরা দাঁড়িয়ে আছি।’ তবে কী কারণে তিনি এসেছেন, এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে জানতে শরিফুজ্জামান লাকির মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
মেরিট মডেল স্কুলের পরিচালক সাহাবুল ইসলামকেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পদযাত্রায় এনসিপির নেতাদের স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন লোক আসছেন, তাই দেখতে এসেছিলাম। এ সময় স্কুলের বিরতি চলছিল।’
নতুন কুঁড়ি স্কুলের পরিচালক মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘ওখানে সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গিয়েছিল। আর আমাদের স্কুল দুই শিফটে চলে। আমাদের কিছু শিক্ষার্থী সেখানে চলে যাওয়ায় আমরা তাদের ফেরত আনতে গিয়েছিলাম।’
মাইলস্টোন স্কুলের পরিচালক খন্দকার মাসুদ বলেন, ‘আমাদের একজন শিক্ষকের সঙ্গে কেউ একজন যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁরা (এনসিপির নেতারা) আসছেন, কিছু শিক্ষার্থী থাকলে ভালো হতো। সম্ভবত হেডমাস্টারও (প্রধান শিক্ষক) সঠিক জানেন না। আমিও বাইরে ছিলাম। তবে আপনাকে জেনে বলতে পারব।’
আলমডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের আয়োজনে বিদ্যালয় চলাকালে শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চুয়াডাঙ্গা জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার বলেন, ‘হাটবোয়ালিয়ায় স্কুলশিক্ষার্থীদের উপস্থিতির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি সেখানে ছিলাম না। আলমডাঙ্গা কমিটির পক্ষ থেকে তাদের ডাকা হতে পারে। স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীরা সেখানে আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো স্কুলের শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়নি।’
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে স্বাগত জানাতে রাস্তার পাশে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পাঁচটি বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত হয়। ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরাও পদযাত্রায় আসেন।
শিক্ষার্থীদের দেখতে পেয়ে দলটির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের এখন স্কুলে থাকার কথা, ক্লাস ফেলে এখানে চলে আসা একদম ঠিক হয়নি। পড়াশোনা বাদ দিয়ে আমাদের দেখতে আসা তোমাদের কাজ না।’
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেহেরপুর জেলা থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া এলাকায় আসেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গাড়িতে বসে মতবিনিময়ের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলার ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা করেন।
একপর্যায়ে সারজিস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের এই ভালোবাসা দেখে হৃদয় কেঁপে উঠেছে। আমরা যেন এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারি। জীবন দিতে হলেও দেব। তোমরা মন দিয়ে পড়াশোনা কর। আমাদের চেয়েও বড় হও। এমন কিছু করে দেখাও, যাতে আমরা গর্ব করতে পারি।’
এরপর পদযাত্রা আলমডাঙ্গা পৌরসভার আলতাইবা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় আশপাশের এলাকার পাঁচটি বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। স্কুলের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরেই হাটবোয়ালিয়ার নতুন কুঁড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেরিট মডেল স্কুল, মাইলস্টোন স্কুল, হাটবোয়ালিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সেখানে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টায় হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুজ্জামান লাকিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পদযাত্রায় দেখা গেছে। এ সময় তিনি একটি স্থানীয় পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হাসনাত, সারজিস আসছেন। তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য আমরা দাঁড়িয়ে আছি।’ তবে কী কারণে তিনি এসেছেন, এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে জানতে শরিফুজ্জামান লাকির মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
মেরিট মডেল স্কুলের পরিচালক সাহাবুল ইসলামকেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পদযাত্রায় এনসিপির নেতাদের স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন লোক আসছেন, তাই দেখতে এসেছিলাম। এ সময় স্কুলের বিরতি চলছিল।’
নতুন কুঁড়ি স্কুলের পরিচালক মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘ওখানে সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গিয়েছিল। আর আমাদের স্কুল দুই শিফটে চলে। আমাদের কিছু শিক্ষার্থী সেখানে চলে যাওয়ায় আমরা তাদের ফেরত আনতে গিয়েছিলাম।’
মাইলস্টোন স্কুলের পরিচালক খন্দকার মাসুদ বলেন, ‘আমাদের একজন শিক্ষকের সঙ্গে কেউ একজন যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁরা (এনসিপির নেতারা) আসছেন, কিছু শিক্ষার্থী থাকলে ভালো হতো। সম্ভবত হেডমাস্টারও (প্রধান শিক্ষক) সঠিক জানেন না। আমিও বাইরে ছিলাম। তবে আপনাকে জেনে বলতে পারব।’
আলমডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের আয়োজনে বিদ্যালয় চলাকালে শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চুয়াডাঙ্গা জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার বলেন, ‘হাটবোয়ালিয়ায় স্কুলশিক্ষার্থীদের উপস্থিতির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি সেখানে ছিলাম না। আলমডাঙ্গা কমিটির পক্ষ থেকে তাদের ডাকা হতে পারে। স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীরা সেখানে আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো স্কুলের শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়নি।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেচর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের এক যুগপূর্তি উপলক্ষে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী উৎসব। গতকাল বুধবার ভাবনগর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ফ্রান্সের লালনপন্থী সাধিকা ফকির দেবোরাহ জান্নাত।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারের পাশে আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পরশুরাম উপজেলা।
৪ ঘণ্টা আগে