Ajker Patrika

খাল ইজারা নিয়ে সংঘর্ষ: দাকোপ উপজেলা ও চালনা পৌরসভা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

খুলনা প্রতিনিধি
দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার খুলনা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জরুরি সভা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার খুলনা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জরুরি সভা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ডাকাতিয়া খালের ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনার দাকোপ উপজেলা ও চালনা পৌরসভা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে চালনা পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোজাফফর হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুগ্ম আহ্বায়কেরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মোজাফফর হোসেন ছাড়াও আরেক নেতা আইয়ুব আলীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

গতকাল সোমবার দুপুরে দাকোপ উপজেলার ডাকাতিয়া খালের ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আজাহার উদ্দিন নামের দাকোপ থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গুরুতর আহত হন। তাঁকে আজ ভোরে ঢাকায় নেওয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং রাতেই দুপক্ষের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুরে দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ডাকাতিয়া বিলের ইজারা ডাকা হয়। এ নিয়ে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচতলায় চালনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোজাফফর হোসেন এবং খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাকিল আহমেদ দিলু তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁদের তর্ক হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং পরে তাঁরা সংঘর্ষে লিপ্ত হন।

সংঘর্ষে দাকোপ থানার এএসআই আজাহার উদ্দিনসহ পাঁচজন আহত হন। ইটের আঘাতে তাঁর মাথার হাড় ভেঙে যায়। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে আজ ভোরে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বাকি আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল সি) শফিকুর রহমান জানান, আহত এএসআই আজাহারের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দাকোপ থানায় মামলা করা হয়েছে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের পর চালনা পৌরসভার ডাকবাংলো মোড় ও আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান দাকোপ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত