Ajker Patrika

বেতনের জন্য নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছে মেসেঞ্জারে ‘ঘুষ’ দাবি

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, ১৮: ২০
Thumbnail image

বেতনের জন্য ‘ঘুষ’ দিতে হচ্ছে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের। আর এসব টাকা তুলছেন আরেক নতুন শিক্ষক। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের একটি ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের স্ক্রিনশটে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এজি অফিসে দেওয়ার জন্য সদ্য যোগদান করা শিক্ষকদের থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। ওমর ইবনে হাবিব নামের এক শিক্ষক একটি বিকাশ নম্বরে টাকাগুলো নিচ্ছেন।

ওই মেসেঞ্জার গ্রুপের সদস্য ও উপজেলার মশাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘গ্রুপের কথাগুলো সত্য। আমরা বেতন পেয়েছি। যারা পায়নি তাদের বেতন ছাড়ানোর জন্য জেলা এজি (হিসাব মহানিয়ন্ত্রক) অফিসেও টাকা দেওয়া লাগবে, গ্রুপে এভাবেই মেনশন করা আছে। আমার ব্যাংকে চাকরি হয়েছে। এ জন্য এসব নিয়ে আর ভাবছি না।’

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদ্য যোগদান করা ৮০ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে তিনজন সহকারী শিক্ষক এখনো বেতন পাননি। কিছু জটিলতার কারণে ১০ জন শিক্ষক গত রোববার বিলম্বে বেতন পেয়েছেন। দুজন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। একজন এখনো যোগদান করেননি। বাকিরা ঈদুল ফিতরের আগেই বেতন পেয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘টাকা না দিলে লিস্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে চলে যাবে, বেতন আটকে যাবে, পরে পারসোনালি এজি অফিসে গিয়ে বেতন-বিল পাস করাতে হবে—এমন ভয় দেখানে হচ্ছে আমাদের।’

এ বিষয়ে শিক্ষক ওমর ইবনে হাবিবের সঙ্গে কথা বললে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘টাকাগুলো আমরা রিইউনিয়ন করার জন্য নিচ্ছি। অনেকে রিইউনিয়নের জন্য টাকা দেবে না, তাই এই কৌশল অবলম্বন করে টাকা নিয়েছি।’

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমার নামে টাকা তোলার বিষয়ে জানা নেই। নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষক ওমর ইবনে হাবিবকে শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত