চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
চারদিকে থই থই পানি। মাঝে দাঁড়িয়ে আছে জীর্ণ কুঁড়েঘর। ঘরের সামনে স্যাঁতসেঁতে উঠান। উঠানে বসে মা মা বলে ডাকছে তিন বছরের শিশু নয়ন। পাশে বসা ১১ মাসের সুমি। দুধের জন্য কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে থেমে গেছে। এগারো বছর বয়সের সজল ও সাত বছরের স্বর্ণালি ছোট দুই ভাই-বোনকে সামলে রাখার চেষ্টা করছে। দুই শিশু তাদের চেয়ে কচি দুই শিশুকে সান্ত্বনা দিয়ে কান্না থামিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুইয়ারকুল গ্রামে গেলে দূর থেকে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। কাছে গিয়ে জানা গেল এই চার শিশুর করুণ কাহিনি!
এগারো বছরের সজল ব্রহ্ম জানায়, এই ঝুপড়ি ঘরে তাদের বাস। বাবা সুদাস ব্রহ্ম (৩৬) দিনমজুর। মা ঝর্ণা বিশ্বাস (৩০) দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে মাস দেড়েক আগে মারা গেছেন। সেই থেকে দুধের বাচ্চা সুমি ব্রহ্ম প্রায়ই ক্ষুধায় অথবা দুধের নেশায় ছটফট করে। ছোট ভাই নয়ন ব্রহ্ম সব সময় মায়ের জন্য কান্নাকাটি করে। বাবার হাতে কাজ থাকলে চুলা জ্বলে না। তাই দৈনিক সকালে বাবা বেরিয়ে যান রুজির সন্ধানে। এরপর তিন ভাইবোনকে সামলানোর দায়িত্ব এসে পড়ে তার কাঁধে। সজল রুইয়ারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আর স্বর্ণালি একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির। মা মারা যাওয়ার পর দুজনেরই লেখাপড়া বন্ধ।
কাজ থেকে ফেরার পর কথা হয় সুদাস ব্রহ্মর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সহায় সম্বল বলতে আমার তিন শতক জমি। তার আবার চারদিকে থই থই পানি। ধার-দেনা করে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছি। এখন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মহাবিপাকে আছি। বর্তমানে দুর্মূল্যের বাজারে শ্রম বেচে যা আয় হয় তা দিয়ে চাল, ডাল ও নুন কিনতেই সব শেষ হয়ে যায়। ছোট্ট শিশুর দামি দুধ কিনব কীভাবে!’
রুইয়ারকুল গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি দুলাল ব্রহ্ম ও নিরুপমা ব্রহ্ম জানান, মা মারা যাওয়ায় সন্তানগুলো দেখার মতো আর লোক নেই। সেই সঙ্গে নিত্যদিনের অভাব। ওদের বেঁচে থাকাই কঠিন। ওদের এখন সরকারি-বেসরকারি ভাবে আর্থিক সাহায্যের দরকার।
এই অসহায় শিশুগুলোর দুরবস্থার কথা জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ওই ব্যক্তি আবেদন করলে তাঁকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে।
চারদিকে থই থই পানি। মাঝে দাঁড়িয়ে আছে জীর্ণ কুঁড়েঘর। ঘরের সামনে স্যাঁতসেঁতে উঠান। উঠানে বসে মা মা বলে ডাকছে তিন বছরের শিশু নয়ন। পাশে বসা ১১ মাসের সুমি। দুধের জন্য কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে থেমে গেছে। এগারো বছর বয়সের সজল ও সাত বছরের স্বর্ণালি ছোট দুই ভাই-বোনকে সামলে রাখার চেষ্টা করছে। দুই শিশু তাদের চেয়ে কচি দুই শিশুকে সান্ত্বনা দিয়ে কান্না থামিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুইয়ারকুল গ্রামে গেলে দূর থেকে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। কাছে গিয়ে জানা গেল এই চার শিশুর করুণ কাহিনি!
এগারো বছরের সজল ব্রহ্ম জানায়, এই ঝুপড়ি ঘরে তাদের বাস। বাবা সুদাস ব্রহ্ম (৩৬) দিনমজুর। মা ঝর্ণা বিশ্বাস (৩০) দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে মাস দেড়েক আগে মারা গেছেন। সেই থেকে দুধের বাচ্চা সুমি ব্রহ্ম প্রায়ই ক্ষুধায় অথবা দুধের নেশায় ছটফট করে। ছোট ভাই নয়ন ব্রহ্ম সব সময় মায়ের জন্য কান্নাকাটি করে। বাবার হাতে কাজ থাকলে চুলা জ্বলে না। তাই দৈনিক সকালে বাবা বেরিয়ে যান রুজির সন্ধানে। এরপর তিন ভাইবোনকে সামলানোর দায়িত্ব এসে পড়ে তার কাঁধে। সজল রুইয়ারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আর স্বর্ণালি একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির। মা মারা যাওয়ার পর দুজনেরই লেখাপড়া বন্ধ।
কাজ থেকে ফেরার পর কথা হয় সুদাস ব্রহ্মর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সহায় সম্বল বলতে আমার তিন শতক জমি। তার আবার চারদিকে থই থই পানি। ধার-দেনা করে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছি। এখন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মহাবিপাকে আছি। বর্তমানে দুর্মূল্যের বাজারে শ্রম বেচে যা আয় হয় তা দিয়ে চাল, ডাল ও নুন কিনতেই সব শেষ হয়ে যায়। ছোট্ট শিশুর দামি দুধ কিনব কীভাবে!’
রুইয়ারকুল গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি দুলাল ব্রহ্ম ও নিরুপমা ব্রহ্ম জানান, মা মারা যাওয়ায় সন্তানগুলো দেখার মতো আর লোক নেই। সেই সঙ্গে নিত্যদিনের অভাব। ওদের বেঁচে থাকাই কঠিন। ওদের এখন সরকারি-বেসরকারি ভাবে আর্থিক সাহায্যের দরকার।
এই অসহায় শিশুগুলোর দুরবস্থার কথা জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ওই ব্যক্তি আবেদন করলে তাঁকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে।
আসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
৩৩ মিনিট আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২৫ বছর আগে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতে পাচার হন খুলনার রূপসা উপজেলার কিলো গ্রামের আনোয়ারা গাজী (৪৫)। বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। অবশেষে ২৫ বছর পর তিনি ফিরলেন নিজ মাতৃভূমিতে।
২ ঘণ্টা আগে