Ajker Patrika

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ লাখেরও বেশি ডিম আমদানি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে গেল দুই দিনে ভারত থেকে চার লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মুরগির ডিম আমদানি হয়েছে। আজ রোববার বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুই লাখ ৩১ হাজার ৪৮০টি ডিম খালাস করেছেন আমদানিকারকরা। 

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ওথেলো চৌধুরী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিম আমদানির ওপর কাস্টমসের ৩৩ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ডিম খালাস দেওয়া হয়েছে।’ 

এর আগে সারা দেশে দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। চলতি বছর এটি আমদানি করা ডিমের দ্বিতীয় চালান। গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম চালানে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম আমদানি করা হয়। 

গত বছরের শেষেও ৬১ হাজার ডিমের একটি চালান আসে। সে সময় ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি ছিল। তবে দেশে দাম কমে আসায় পরে আর কোনো চালান আসেনি। 

বন্দর ও কাস্টমস সূত্র জানায়, গতকাল ও আজ রোববার দুটি চালানে মোট ৩০ টন ডিম আমদানি হয়েছে। এসব ডিমের আমদানিকারক ‘হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ডিমগুলো ভারতের ‘শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে। বন্দর থেকে চালানটি ছাড় করার জন্য বেনাপোল শুল্ক ভবনে কাগজপত্র দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ। 

সূত্র আরও জানায়, বন্দরে শুল্কসহ প্রতি পিচ ডিমের দাম পড়েছে সাড়ে সাত টাকা। এর সঙ্গে গুদাম ভাড়া, এলসি খরচ, ট্রাক ভাড়া যোগ করে আট টাকার মতো আমদানি খরচ পড়ছে। খোলা বাজারে ১০ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। 

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো বন্দর থেকে একটি চালান খালাস দেওয়া হয়েছে।’ 

বেনাপোল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের বলেন, “আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অন্য চালানটি কাগজ পত্র দাখিলের পর খালাস হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত