Ajker Patrika

মুজিব সড়কের কয়েকটি সাইনবোর্ড থেকে ‘মুজিব’ কেটে নিলেন জামায়াতের কর্মীরা

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ৪৯
‘মুজিব’ কেটে নেওয়া সাইনবোর্ড। ছবি: সংগৃহীত
‘মুজিব’ কেটে নেওয়া সাইনবোর্ড। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের মুজিব সড়কের কয়েকটি সাইনবোর্ড থেকে ‘মুজিব’ শব্দটি কেটে দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা। আজ শুক্রবার সকালে শহরের ঈদগাহ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে আসা কয়েকজন কর্মী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত করেন।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে যশোর টাউন হল ময়দানে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা জামায়াত। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান অতিথি মঞ্চে বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে প্রেসক্লাবের সাইনবোর্ড ‘মুজিব’ শব্দটি কেটে নেওয়া হয়।

এরপর সরকারি মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে মুজিব লেখা অংশ ভাঙচুর ও কেটে ফেলেন দলের নেতা-কর্মীরা। এসব ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে নিজেকে জামায়াতের কর্মী দাবি করে একজন সাইনবোর্ড থেকে মুজিব শব্দটি ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলেন। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘এ দেশে মুজিব বলে কোনো শব্দ থাকবে না।’

এ বিষয়ে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন তাঁর ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘এই ভদ্রলোক প্রেসক্লাব যশোরের সাইনবোর্ড থেকে “মুজিব সড়ক” অংশের মুজিব শব্দটি ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছেন। আমার প্রশ্ন, সরকার এই সড়কের নাম কি পরিবর্তন করেছে? আপনি এসেছেন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে। আপনার কাছে ব্লেড কেন? আমি নিশ্চিত, সড়কের নাম পরিবর্তন করেনি সরকার। তাহলে নাম কেটে দেওয়ার আপনি কে? উগ্রতা একটু থামাও। মনে রেখো, দেশে মানবতা, সাম্যের, সম্প্রীতি, সহাবস্থান... চেতনার মানুষ মারা যায়নি। একে আইনের আওতায় আনা হোক।’

প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে এসে প্রেসক্লাবের বিলবোর্ড থেকে মুজিব শব্দটি কেটে নিয়ে গেছে। এটি আসলেই ঘৃণিত কাজ। আমরা জেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি। তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন, একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘এটা আমার নলেজে নেই। এমনটা তো হওয়ার কথা না। এমন কোনো নির্দেশনাও ছিল না। শেখ মুজিবের নাম থাকতেই পারে। তাই বলে তো কোনো প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এমনটা হলে যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত