মো. মহিউদ্দিন, নড়াইল
সাদিয়া রহমান মৌ। খেলাধুলার উর্বর জেলা নড়াইলের আরেক কৃতী সন্তান। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে এককসহ টেবিল টেনিসে (টিটি) তিন সোনা জিতেছেন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও আছে ভূরি ভূরি পদক। এমন এক কন্যার মা হয়েও অনিশ্চয়তা পেয়ে বসেছে শাহনাজ পারভিনকে। মেয়ের ভবিষ্যৎ আর জীবনধারণের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মা-মেয়ে দুজনেই।
নিজের অসাধারণ মেধায় মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে বড়দের টুর্নামেন্টে খেলছেন মৌ। ১২ বছর বয়সে ২০১৭ সালে জাতীয় টিটি প্রতিযোগিতায় নারী দ্বৈত ও নারী দলগত পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২০১৯ এসএ গেমসে। জিতেছেন ব্রোঞ্জ। জুনিয়র ন্যাশনাল পর্যায়ে একক ও দ্বৈত ইভেন্টে এবং স্কুল পর্যায়ে চারবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। কৃতি খেলোয়াড় হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সৌভাগ্যও হয়েছে মৌয়ের।
এমন অসামান্য সাফল্যের পরও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুর্ভাবনা পেয়ে বসেছে মৌয়ের পরিবারকে। পরিবার বলতে কেবল মা ও মেয়ে। মৌয়ের বাবা মারা গেছেন ২০১৮ সালে। বড় বোন মীমও ছিলেন টেবিল টেনিসের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। তিনি এখন অন্যের ঘরের ঘরনি। দল আনসার থেকে মাসে ১২ হাজার টাকা বেতন পান মৌ। ২০২০ সালে আবাহনীর সঙ্গে চুক্তিতে পেয়েছিলেন দেড় লাখ টাকা। মাসে ৬ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দেওয়ার পর হাতে যা থাকে তা দিয়েই টেনেটুনে সংসার চালাতে হয় মৌকে।
শুধু টেবিল টেনিসই নয়; পড়ালেখা, নাচ-গানেও সমান পারদর্শী ১৬ বছর বয়সী মৌ। নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এই কৃতী খেলোয়াড় পড়ালেখার জন্য সময় পান খুব অল্প। কয়েক দিনের প্রস্তুতিতে এসএসসি পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ-৫। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ফলাফলে জেলায় ছিলেন দ্বিতীয়। মৌয়ের স্বপ্ন একজন চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অসচ্ছলতা। মেয়েকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গলা জড়িয়ে আসছিল মা শাহনাজ পারভিনের, ‘আমি বাইরে বেরোতে ভয় পাই। অথচ এখন কী না করতে হচ্ছে! জীবনে এমন সংগ্রাম করতে হবে কখনো ভাবিনি।’
মৌয়ের সাফল্য যেন থমকে না যায়, সেই চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বলেছেন, ‘মৌদের স্থায়ী আবাসনের বিষয়টি এবং তাদের অন্য বিষয়গুলো নিয়ে জেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।’
সাদিয়া রহমান মৌ। খেলাধুলার উর্বর জেলা নড়াইলের আরেক কৃতী সন্তান। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে এককসহ টেবিল টেনিসে (টিটি) তিন সোনা জিতেছেন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও আছে ভূরি ভূরি পদক। এমন এক কন্যার মা হয়েও অনিশ্চয়তা পেয়ে বসেছে শাহনাজ পারভিনকে। মেয়ের ভবিষ্যৎ আর জীবনধারণের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মা-মেয়ে দুজনেই।
নিজের অসাধারণ মেধায় মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে বড়দের টুর্নামেন্টে খেলছেন মৌ। ১২ বছর বয়সে ২০১৭ সালে জাতীয় টিটি প্রতিযোগিতায় নারী দ্বৈত ও নারী দলগত পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২০১৯ এসএ গেমসে। জিতেছেন ব্রোঞ্জ। জুনিয়র ন্যাশনাল পর্যায়ে একক ও দ্বৈত ইভেন্টে এবং স্কুল পর্যায়ে চারবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। কৃতি খেলোয়াড় হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সৌভাগ্যও হয়েছে মৌয়ের।
এমন অসামান্য সাফল্যের পরও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুর্ভাবনা পেয়ে বসেছে মৌয়ের পরিবারকে। পরিবার বলতে কেবল মা ও মেয়ে। মৌয়ের বাবা মারা গেছেন ২০১৮ সালে। বড় বোন মীমও ছিলেন টেবিল টেনিসের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। তিনি এখন অন্যের ঘরের ঘরনি। দল আনসার থেকে মাসে ১২ হাজার টাকা বেতন পান মৌ। ২০২০ সালে আবাহনীর সঙ্গে চুক্তিতে পেয়েছিলেন দেড় লাখ টাকা। মাসে ৬ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দেওয়ার পর হাতে যা থাকে তা দিয়েই টেনেটুনে সংসার চালাতে হয় মৌকে।
শুধু টেবিল টেনিসই নয়; পড়ালেখা, নাচ-গানেও সমান পারদর্শী ১৬ বছর বয়সী মৌ। নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এই কৃতী খেলোয়াড় পড়ালেখার জন্য সময় পান খুব অল্প। কয়েক দিনের প্রস্তুতিতে এসএসসি পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ-৫। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ফলাফলে জেলায় ছিলেন দ্বিতীয়। মৌয়ের স্বপ্ন একজন চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অসচ্ছলতা। মেয়েকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গলা জড়িয়ে আসছিল মা শাহনাজ পারভিনের, ‘আমি বাইরে বেরোতে ভয় পাই। অথচ এখন কী না করতে হচ্ছে! জীবনে এমন সংগ্রাম করতে হবে কখনো ভাবিনি।’
মৌয়ের সাফল্য যেন থমকে না যায়, সেই চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বলেছেন, ‘মৌদের স্থায়ী আবাসনের বিষয়টি এবং তাদের অন্য বিষয়গুলো নিয়ে জেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।’
‘যদি টাহা দিত তাইলে আমার বাবারে গুলি কইর্যা মারত না। আমার ছাওয়ালরে আইন্না দে রে... আমি টাহা চাই না রে...।’ এসব বলতে বলতে বিলাপ করছেন লিবিয়ায় নিহত আকাশ হাওলাদার ওরফে রাসেলের মা লিপিয়া বেগম।
৬ ঘণ্টা আগেবইমেলার দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। ঝকঝকে নতুন স্টল আর প্যাভিলিয়নগুলো এরই মধ্যে দর্শক-ক্রেতার পদচারণে মুখর। নতুন বইয়ের খোঁজখবর নিচ্ছেন বইপ্রেমীরা। নতুন বই অবশ্য আসা শুরু হয়েছে মাত্র। প্রকাশকদের ভাষ্য, সব বই মেলায়...
৬ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন দাবিতে গতকাল রোববার রাজধানীর চারটি স্থানে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থী, জুলাই অভ্যুত্থানের আহত ছাত্র-জনতা এবং চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা। এতে মহানগরীর বড় এলাকাজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা। সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে তারা অবস্থান নেন। এর কয়েক মিনিট পরই আহতদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী
৭ ঘণ্টা আগে