Ajker Patrika

এক হাতে ১৭ টেনিস বল, বিশ্বে নতুন রেকর্ডের স্বপ্ন খালিদের

আপডেট : ২১ মে ২০২২, ১৭: ৫০
এক হাতে ১৭ টেনিস বল, বিশ্বে নতুন রেকর্ডের স্বপ্ন খালিদের

এক হাতে ১৩টি টেনিস বল সাজিয়ে যুবকের বিশ্ব রেকর্ড দেখে উৎসাহ পায় মনিরামপুরের কাজী খালিদ হাসান (১৭)। তিন মাস আগে ফেসবুক-ইউটিউবে ছবি ও ভিডিও দেখে নিজের ভেতরে নতুন রেকর্ড গড়ার আগ্রহ জন্মায় তার। এরপর থেকেই শুরু অনুশীলন। অবশেষে সক্ষম হয়েছে ৩০ সেকেন্ডে এক হাতে ১৭টি টেনিস বল সাজাতে।

মনিরামপুর উপজেলা রোহিতা ইউনিয়নের বাসুদেবপুর শেখপাড়ার কাজী আব্দুল বারীকের (৫৫) ছেলে কাজী খালিদ হাসান। খালিদ স্থানীয় পলাশী আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র।

প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে খালিদ জানায়, দুই মাস আগে হাতে বল সাজাতে চেষ্টা শুরু করে সে। একে একে ১৪-১৫টা বল সাজাতে সক্ষম হয় সে। এর প্রায় দেড় মাসের মাথায় ৩০ সেকেন্ডে ১৭টি বল এক হাতের তালুতে সাজাতে সক্ষম হয়। হাতের তালুতে ১৭টি বল সাজিয়ে স্বাভাবিকভাবে ৪০-৫০ সেকেন্ড ধরে রাখতে পারে। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তিনি ২-৩ মিনিট এমনকি ৫ মিনিট ৩ সেকেন্ড পর্যন্ত এক হাতের তালুতে ১৭টি বল ধরে রাখতে পারে। 

খালিদের দাবি, বিশ্বে এখন সে একমাত্র ব্যক্তি যে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এক হাতের তালুতে ১৭টি বল সাজিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাখতে সক্ষম। তার এ কাজ বিশ্ব স্বীকৃতি পাবে এমনটি প্রত্যাশা তার। 

খালিদ হাসান বলছে, ‘জানুয়ারি ২০২২ সালের সাধারণ জ্ঞানের বই কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের রেকর্ড কর্নার থেকে ভৈরবের মনিরুল ইসলামের এক হাতের ওপর ১৩টি বল হাতে বিশ্ব রেকর্ডের বিষয়টি আমার নজরে আসে। ৩০ নভেম্বর ২০২১ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্বীকৃতি দেন। মনিরুলের বল সাজানো হাতে রেকর্ড গড়ার দৃশ্যটি আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’ 

‘মনিরুল পেরেছে আমিও পারব এই মনবল নিয়ে ১৩টি টেনিস বল কিনে অনুশীলন শুরু করি। ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে থাকি এবং ১৩টি হাতে নিতে সক্ষম হই। এরপর আরও দুটি বাড়িয়ে অনুশীলন করে ১৫টা হাতে নেওয়ার পর মনে হচ্ছিল আরও দুটি বল হাতে তুলতে পারব। অনেক অনুশীলনের পর দেড় মাসের মাথায় ১৭টি টেনিস বল বাম হাতে সাজিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’ বলে মন্তব্য খালিদের। 

খালিদ আরও বলছে, ‘গত ১৮ মে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির জন্য ছবি ও ভিডিও দিয়ে অনলাইনে আবেদন করেছি। এখনো কোনো সাড়া পাইনি।’ 

খালিদের বাবা কাজী আব্দুল বারীক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সিমেন্টের বস্তা কেটে প্যাকেট তৈরি করে নার্সারিতে সরবরাহ করেন তিনি। কষ্টের সংসারে ছেলের এমন সাফল্য দেখে তিনি আনন্দিত। 

আব্দুল বারীক বলেন, ‘ও নিজের টাকায় বল কিনে ঘরের মধ্যে অনুশীলন করেছে। পরে তার মাকে বিষয়টি দেখিয়েছে। তার মায়ের মাধ্যমে আমি ঘটনাটি জানতে পেরে খুশি হইছি। ছেলের মনের আশা যেন পূর্ণ হয়।’ 

এ বিষয়ে পলাশী-বাসুদেবপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, ‘খালিদের এক হাতে বল সাজানোর খবর লোকমুখে শুনে দেখতে যাই। ছেলেটার প্রতিভা দেখে আমরা সবাই খুশি। তার নাম বিশ্ব রেকর্ডে আসুক এটা আমরা চাই।’ 

এ ঘটনায় পলাশী আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ সন্তোষ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র খালিদ মেধাবী। এক হাতে ১৭টি বল নিয়ে যে পারদর্শিতা সে দেখাচ্ছে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। তার নামটি গিনেস বুকে লেখা হোক এটা কামনা করি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত