‘গত কোরবান ঈদি এট্টু গরুর গোশত খাইছি, আর গোশত চোখি দেহিনি। আবার কোরবান ঈদ আইছে। এট্টু গরুর গোশতের জন্যি পরান বেরুই যাচ্ছে। জ্যান্ত গরু দেখলি মনে হয় কামড়ায়ে কামড়ায়ে কাচা গোশত খাই। গত রোজার ঈদি একটা ডিম কিনে আইনে খাইছি।’ অশ্রুসিক্ত চোখে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধা আয়েশা খাতুন।
প্রায় ৫২ বছর আগে স্বামী মকছেদ গাজীকে হারান আয়েশা খাতুন। এরপর থেকে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামে স্বামীর ভিটায় এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকছেন তিনি। আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। পরে বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। বয়সের ভারে এখন নুয়ে পড়ায় আর আগের মতো হাঁটতে পারেন না।
আয়েশা খাতুন বলেন, ‘ছেলে কাজ করে নিজে খায়। আমার খোঁজ নেয় না। একবার মা কয়েও ডাকে না। মেয়েটারে বিয়ে দিছি পাশের গ্রামে। সেনে যেয়ে দু-তিন দিন করে থাকি। মেয়ে যট্টুক পারে যত্ন করে। পোলট্রির (ব্রয়লার) গোশত খাত পারিনে। একবার খাইয়ে বমি করে দিলাম।’
‘চেয়ারম্যানরে কইছি একটা চালের কার্ড করে দিতি। ভোটার কার্ড দিয়ে আইছি। মাঝেমধ্যি চেয়ারম্যানের কাছে যাই। কার্ড দেবে কি দেবে না কিছু কয় না। চাল আসতেছে। অন্য মানসির বস্তা বস্তা দেচ্ছে, দেখতিছি। আমারে দেয় না।’ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন বৃদ্ধা আয়েশা।
আক্ষেপ করে বৃদ্ধা বলেন, ‘ছেলে পেটে থাকতি ওর বাপ মরিল। ভিটেমাটিটুকু ছাড়া কিছু নাই। কত্ত কষ্ট করে ছেলেমেয়ে বড় করিছি। সেই ছেলে এখন খবর নেয় না। মেয়ে বিয়ে দিছি গরিব ঘরে। ও যা পারে করে। লোকজন জিজ্ঞেস করে আমার ছেলে আছে কি না। বলি নেই, মরে গেছে। যে ছেলে খাতিলতি দেয় না, তার কথা কী বলব?’
আয়েশ খাতুন বলেন, ‘কদিন আগে ডায়রিয়া হয়ে পাঁচ-ছয় দিন হাসপাতালে ছিলাম। কেউ খোঁজ নিনি। এখন ভালোমন্দ খাতি রুহুটা ছটপট করে। গতকাল দুপুরে ও রাতে কিছু খাইনি। ঘরে চাল নেই। মাঝেমধ্যে আল্লাহরে কই, আমারে নিয়ে যাও। আল্লাহ শোনে না।’
বৃদ্ধার প্রতিবেশী স্থানীয় কদমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এনামুল হক কিরণ বলেন, ‘বৃদ্ধা আয়েশা খুব অসহায়। একমাত্র ছেলে মাকে দেখে না। মাঝে আমাকে বলেছিল চালের কার্ডের কথা। আমি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাইছি। পরে কী করেছে আর জানায়নি।’
উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ বলেন, ‘নতুন করে চালের কার্ড দেওয়ার সুযোগ নেই। দেখি বৃদ্ধার জন্য কিছু করা যায়নি।’
‘গত কোরবান ঈদি এট্টু গরুর গোশত খাইছি, আর গোশত চোখি দেহিনি। আবার কোরবান ঈদ আইছে। এট্টু গরুর গোশতের জন্যি পরান বেরুই যাচ্ছে। জ্যান্ত গরু দেখলি মনে হয় কামড়ায়ে কামড়ায়ে কাচা গোশত খাই। গত রোজার ঈদি একটা ডিম কিনে আইনে খাইছি।’ অশ্রুসিক্ত চোখে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধা আয়েশা খাতুন।
প্রায় ৫২ বছর আগে স্বামী মকছেদ গাজীকে হারান আয়েশা খাতুন। এরপর থেকে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামে স্বামীর ভিটায় এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকছেন তিনি। আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। পরে বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। বয়সের ভারে এখন নুয়ে পড়ায় আর আগের মতো হাঁটতে পারেন না।
আয়েশা খাতুন বলেন, ‘ছেলে কাজ করে নিজে খায়। আমার খোঁজ নেয় না। একবার মা কয়েও ডাকে না। মেয়েটারে বিয়ে দিছি পাশের গ্রামে। সেনে যেয়ে দু-তিন দিন করে থাকি। মেয়ে যট্টুক পারে যত্ন করে। পোলট্রির (ব্রয়লার) গোশত খাত পারিনে। একবার খাইয়ে বমি করে দিলাম।’
‘চেয়ারম্যানরে কইছি একটা চালের কার্ড করে দিতি। ভোটার কার্ড দিয়ে আইছি। মাঝেমধ্যি চেয়ারম্যানের কাছে যাই। কার্ড দেবে কি দেবে না কিছু কয় না। চাল আসতেছে। অন্য মানসির বস্তা বস্তা দেচ্ছে, দেখতিছি। আমারে দেয় না।’ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন বৃদ্ধা আয়েশা।
আক্ষেপ করে বৃদ্ধা বলেন, ‘ছেলে পেটে থাকতি ওর বাপ মরিল। ভিটেমাটিটুকু ছাড়া কিছু নাই। কত্ত কষ্ট করে ছেলেমেয়ে বড় করিছি। সেই ছেলে এখন খবর নেয় না। মেয়ে বিয়ে দিছি গরিব ঘরে। ও যা পারে করে। লোকজন জিজ্ঞেস করে আমার ছেলে আছে কি না। বলি নেই, মরে গেছে। যে ছেলে খাতিলতি দেয় না, তার কথা কী বলব?’
আয়েশ খাতুন বলেন, ‘কদিন আগে ডায়রিয়া হয়ে পাঁচ-ছয় দিন হাসপাতালে ছিলাম। কেউ খোঁজ নিনি। এখন ভালোমন্দ খাতি রুহুটা ছটপট করে। গতকাল দুপুরে ও রাতে কিছু খাইনি। ঘরে চাল নেই। মাঝেমধ্যে আল্লাহরে কই, আমারে নিয়ে যাও। আল্লাহ শোনে না।’
বৃদ্ধার প্রতিবেশী স্থানীয় কদমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এনামুল হক কিরণ বলেন, ‘বৃদ্ধা আয়েশা খুব অসহায়। একমাত্র ছেলে মাকে দেখে না। মাঝে আমাকে বলেছিল চালের কার্ডের কথা। আমি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাইছি। পরে কী করেছে আর জানায়নি।’
উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ বলেন, ‘নতুন করে চালের কার্ড দেওয়ার সুযোগ নেই। দেখি বৃদ্ধার জন্য কিছু করা যায়নি।’
আগুনে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল মানসিক ধাক্কাও সইতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক আঘাতের মাত্রাটা বেশি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিশুদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ বিমান ধসে আগুন ধরে যাওয়া, চোখের সামনে সহপাঠীদের...
৩ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব, দুটি সিলিং ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। এ ‘ভুতুড়ে বিল’ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
৩ ঘণ্টা আগেমেঘনার ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র দখিনা হাওয়া সৈকতের বেশ কিছু অংশ। ফলে দূরদূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা সেখানে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগে