Ajker Patrika

মনিরামপুরে চাল সংগ্রহ হলেও ধান হয়নি এক ছটাকও

মনিরামপুরে চাল সংগ্রহ হলেও ধান হয়নি এক ছটাকও

যশোরের মনিরামপুরে এবার অ্যাপের মাধ্যমে বোরো ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। বরাদ্দ নির্ধারণ করে চলতি মাসের প্রথম দিকে সংগ্রহ শুরুর জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরকে থেকে চিঠি দেয় খাদ্য অধিদপ্তর। তবে এখনো ধান সংগ্রহ হয়নি এক ছটাকও। 

এদিকে অনলাইনে কৃষক নিবন্ধন কাজও চলছে ধীর গতিতে। গত ১৪ দিনে মাত্র ৩০০ কৃষকের নিবন্ধন হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরটি। নিবন্ধন শেষে কবে নাগাদ গুদামে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দপ্তরটি। তবে ধান সংগ্রহ শুরু না করতে পারলেও এ পর্যন্ত ৩০০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ হয়েছে বলে দাবি করেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর। 

কৃষকেরা জানান, মনিরামপুরে এবার ২৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। রোগবালাই তেমন না থাকায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ২৭-২৮ মণ ধান পেয়েছেন কৃষক। 
 
মনিরামপুরে এখন ১ হাজার ১৬০ টাকা মণ দরে খোলা বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে। দামে তেমন সন্তুষ্ট না হলেও হালখাতার মৌসুম চালু হওয়ায় সার ও কীটনাশকের দোকানে ধার-দেনা পরিশোধ করতে ইতিমধ্যে অধিকাংশ চাষি ধান বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে সরকারিভাবে সংগ্রহ শুরু হলে তখন ধান পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া গত আমন মৌসুমে মনিরামপুরে ধান সংগ্রহ ছিল শূন্যের কোটায়। 

খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার মামুদকাটি গ্রামের চাষি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ১২০ মণ ফলন পাইছি। খাদ্যগুদামে ধান নেবে এমন একটি খবর একদিন মাইকিং হতে শুনেছি। গুদামে ধান বেচা ঝামেলা। ধান ভালো করে শুকিয়ে পরিষ্কার করে গুদামে নেওয়া লাগে। আবার ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পেতে ভোগান্তি আছে। এ জন্য আমি অনলাইন নিবন্ধন করিনি। খোলা বাজারে ধান বেচে দিছি।’ 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে মনিরামপুর থেকে ২ হাজার ৩৭৬ মেট্রিকটন ধান ও ২ হাজার ৫২২ টন চাল সংগ্রহ করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা ও চাল ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কার্ডধারী কৃষকদের নামে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ না দিয়ে এবার সরাসরি অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। চলতি মাসের প্রথমে এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে প্রচারের জন্য আমরা মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছি। ৭ মে থেকে অনলাইনে কৃষক নিবন্ধনের কাজ শুরু হয়েছে।’ 

ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, এ পর্যন্ত ৩০০ কৃষক নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করে তালিকা উপজেলা কৃষি দপ্তরে পাঠানো হবে। তাঁরা তালিকা যাচাই-বাছাই করবেন। এরপর উপজেলা ক্রয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হবে। 

 ‘সভায় সিদ্ধান্ত হলে নিবন্ধিত কৃষকের মোবাইলে বরাদ্দের খুদে বার্তা পাঠিয়ে ধান চাওয়া হবে। ধান কেনা শুরু করতে না পারলেও আমরা প্রায় ৩০০ মেট্রিকটন চাল ইতিমধ্যে সংগ্রহ করে ফেলেছি।’ যুক্ত করেন ইন্দ্রজিৎ সাহা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত