Ajker Patrika

ভারত থেকে বেনাপোলে ঢুকেছে ৭৬ টন পেঁয়াজভর্তি ট্রাক 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
ভারত থেকে বেনাপোলে ঢুকেছে ৭৬ টন পেঁয়াজভর্তি ট্রাক 

আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে ৭৬ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পেঁয়াজের আমদানিকারক ঢাকার জারিফ ইন্টারন্যাশনাল।

বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য চালানটি ছাড় করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েল এন্টার প্রাইজ। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২০০ ডলার মূল্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানি কারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি উন্মুক্ত করে। এতে সোমবার সন্ধ্যায় তাদের প্রথম পেঁয়াজের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে।

পেঁয়াজ আমদানির প্রথম দিনেই কেজিতে ২০ টাকা কমে খোলা বাজারে ৭৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। আমদানি বন্ধের অযুহাতে আজ দেশীয় বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। 

ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাকআমদানিকারক শামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তার ২৫ ট্রাক পেঁয়াজসহ অর্ধশতাধিক ট্রাক মঙ্গলবার বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।

সাধারণ পেঁয়াজ ক্রেতা রহমান জানান, আমদানির খবরে প্রথম দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। আমদানি শুরু হওয়া কিছুটা স্বস্তি মিলছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেনাপোল বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় ওপারে বেশ কিছু ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজ ঢুকবে বন্দরে। এতে কিছুদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার ছাড়পত্র প্রদান করায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত ট্রাক ছাড় করাতে পারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসির কোনো নীতিমালা নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ

বরগুনা প্রতিনিধি
হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি
হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় শাপলাকলি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিসর্বস্ব স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত আমরা দেখেছি। আমরা শুরু থেকে বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো নীতিমালা নেই। তারা কোন নীতিমালার আন্ডারে শাপলাকলি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করেছে? কোন নীতিমালার কারণে তারা শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে না? এটা কি তারা স্পস্ট করেছে? করেনি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে কোন নীতিমালার কারণে তাদের প্রতীক দিয়েছে, সেটা কি স্পষ্ট করেছে? সেটাও করেনি। তার মানে এ নির্বাচন কমিশনের মার্কা সংযুক্তিকরণ বা না করণের যে বিষয়টি...মধ্যযুগীয়ভাবে এ বিষয়গুলো ডিল করছে নির্বাচন কমিশন।’

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, নির্বাচন কমিশনে অনেকগুলো পক্ষের শক্তি জড়িত।’ তিনি বলেন, যারা বিএনপিপন্থী কমিশনার আছেন, তাঁরা বিএনপির পারপাস সার্ভ করেন, যাঁরা জামায়াতপন্থী আছেন, তাঁরা জামায়াতের পারপাস সার্ভ করেন। আর যাঁরা আর্মিপন্থী নির্বাচন কমিশনার আছেন, তাঁরা আর্মিদের পারপাস সার্ভ করেন। এই কমিশনে আবার অসংখ্য আওয়ামী লীগপন্থী চাকরিজীবী রয়েছেন। তাঁদের বিষয়ে কি নির্বাচন কমিশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? নেয়নি।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা এনসিপি—আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। নির্বাচন কমিশন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে স্বেচ্ছাচারীভাবে। সংস্কার নিয়ে আর আমাদের মার্কা নিয়ে আমরা সব সময় একটা অবস্থানে ছিলাম।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমাদের শাপলা বরাদ্দ না দেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। আইনগত জায়গা থেকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, “আমরা কেন শাপলা দিব না তার ব্যাখ্যা দিব না।” এটা কি কোনোভাবে সম্ভব?’

হাসনাত বলেন, ‘ব্যাখ্যাবিহীন রাষ্ট্র ৫ আগস্টের আগে ছিল। হাসিনা যখন চালাইত, তখন ব্যাখ্যাবিহীন চালাইত, জবাবদিহিবিহীন চালাইত। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে এই নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে থাকে তারা জবাবদিহিবিহীন কোনো একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবে, আর আমরা সেটা মেনে নিব, সেটা সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক নারী মারা গেছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার চিনাইর এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, সদর উপজেলার চিনাইর এলাকায় রেললাইনের পাশে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শহরবাসী ও কৃষকের দুর্ভোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
রাতভর বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাতভর বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাতভর ভারী বৃষ্টিতে হাঁটুপানির নিচে ডুবেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর। শহরের অনেক বাসাবাড়ি, সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শহরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। একই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান ও শীতকালীন সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে শিবগঞ্জে ১৭৫ মিলিমিটার, গোমস্তাপুরে ১৮০, নাচোলে ১৭৫ এবং ভোলাহাটে ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় রোপা আমন ২ হাজার ও ২৩৫ হেক্টর আর রবিশস্য ২ হাজার ১৪০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে শহরের ক্লাব সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, পুরাতন বাজার, নিমতলা, বালুবাগান, আরামবাগ, শান্তিমোড়, স্বরূপনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। স্বরূপনগর ও রেহাইচর এলাকার বহু বাড়িতে পানি ঢুকে আসবাব নষ্ট হয়েছে।

ভুক্তভোগী বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই শহর প্লাবিত হয়। কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

পৌর এলাকার বাসিন্দা কলি খাতুন বলেন, ‘বাসার ভেতরে পানি ঢুকে আছে। ঘরের জিনিসপত্র ও চুলা ভিজে গেছে। তাই কোনো রান্নাবান্না করতে পারিনি। বাচ্চাকাচ্চা না খেয়ে আছে। আমরা রাত থেকেই ঘরবন্দী হয়ে পড়েছি।’

গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টিতে আমার ধান পানিতে ডুবে আছে। ধান পড়ে গেছে। এ ছাড়া শাকসবজিও ডুবে গেছে। বড় ক্ষতির মুখে পড়লাম ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, চর এলাকার সরিষা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ ক্ষেত্রে মাছ ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য কয়েকটি নতুন ড্রেন নির্মাণকাজ চলছে। কাজ শেষ হলে হঠাৎ বৃষ্টিতেও আর এমন জলাবদ্ধতা হবে না।

এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইয়াছিন আলী আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড়ে ১৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শিষফোটা রোপা আমন, সরিষা, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও শীতকালীন শাকসবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, দু-এক দিনের মধ্যে যদি পানি নেমে যায়, তাহলে ফসলের ক্ষতি সীমিত থাকবে। তবে পানি বেশি দিন স্থায়ী হলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, জেলাজুড়ে আটক ৫০

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে আটককৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে আটককৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা নগরীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে জেলাজুড়ে ৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিদেশে পলাতক কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টারসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের কয়েকজন নেতা তাঁদের নিজ এলাকায় অর্থ পাঠিয়ে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দিয়ে ঝটিকা মিছিল করাচ্ছিল। ক্ষেত্রবিশেষ জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হতো ৫০ সেকেন্ড স্থায়ী মিছিলের জন্য।

গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর ঈদগাহসংলগ্ন এলাকায় সংক্ষিপ্ত সময়ের এ মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা তাঁদের পরিচয় গোপন রাখতে মুখঢাকা রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করেছিলেন।

পুলিশ জানায়, অভিযানটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছে। জননিরাপত্তা রক্ষা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে এবং এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা হবে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত