কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত স্কুলছাত্র গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে বলে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান জনান।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম মুজাহিদ হাওলাদার (১৬)। গত ১২ দিন সে চিকিৎসাধীন ছিল। মুজাহিদ উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের কুরপালা গ্রামের সেকেন্দার হাওলাদার ছিকুর ছেলে এবং মেধাসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কুরপালা গ্রামের হাওলাদার বংশের সঙ্গে শেখ বংশের বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত ৮ এপ্রিল একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে হারুন হাওলাদারের ছেলে ওয়ালিদ হাওলাদারের সঙ্গে কালাম শেখের ছেলে তরিকুল শেখের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তরিকুলের লোকজন স্কুলছাত্র মুজাহিদকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মুজাহিদ গুরুতর আহত হয়। আহত মুজাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুজাহিদ হাওলাদারের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।
গত বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে মুজাহিদ হাওলাদার অসুস্থ হলে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুজাহিদ হাওলাদারের বাবা সেকেন্দার হাওলাদার ছিকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঈদের পরে আমার ছেলের এসএসসি পরীক্ষা। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মুজাহিদকে নিয়ে বাড়ি চলে আসি। গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ করে মুজাহিদ অসুস্থ হলে পড়ে। তাঁকে আমরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখানে নেওয়ার পরে চিকিৎসকেরা বলেন, আমার বাবা আর বেঁচে নেই!’
সেকেন্দার হাওলাদার আরও বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে মুজাহিদ হাওলাদারের মৃত্যুর খবরে অভিযুক্তরা ও তাদের পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা মেরে পালিয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মুজাহিদ হাওলাদারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুজাহিদ হাওলাদার আমার চাচাতো ভাই। ওই দিনের ঘটনায় আমার বাবা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার এলাকায় ছিলেন না। তার পরেও আমার বাবাকে প্রধান আসামি করে প্রতিপক্ষ কোটালীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি কোটালীপাড়া থানায় এফআইআর হয়েছে। আমার বাবাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত স্কুলছাত্র গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে বলে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান জনান।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম মুজাহিদ হাওলাদার (১৬)। গত ১২ দিন সে চিকিৎসাধীন ছিল। মুজাহিদ উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের কুরপালা গ্রামের সেকেন্দার হাওলাদার ছিকুর ছেলে এবং মেধাসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কুরপালা গ্রামের হাওলাদার বংশের সঙ্গে শেখ বংশের বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত ৮ এপ্রিল একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে হারুন হাওলাদারের ছেলে ওয়ালিদ হাওলাদারের সঙ্গে কালাম শেখের ছেলে তরিকুল শেখের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তরিকুলের লোকজন স্কুলছাত্র মুজাহিদকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মুজাহিদ গুরুতর আহত হয়। আহত মুজাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুজাহিদ হাওলাদারের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।
গত বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে মুজাহিদ হাওলাদার অসুস্থ হলে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুজাহিদ হাওলাদারের বাবা সেকেন্দার হাওলাদার ছিকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঈদের পরে আমার ছেলের এসএসসি পরীক্ষা। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মুজাহিদকে নিয়ে বাড়ি চলে আসি। গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ করে মুজাহিদ অসুস্থ হলে পড়ে। তাঁকে আমরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখানে নেওয়ার পরে চিকিৎসকেরা বলেন, আমার বাবা আর বেঁচে নেই!’
সেকেন্দার হাওলাদার আরও বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে মুজাহিদ হাওলাদারের মৃত্যুর খবরে অভিযুক্তরা ও তাদের পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা মেরে পালিয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মুজাহিদ হাওলাদারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুজাহিদ হাওলাদার আমার চাচাতো ভাই। ওই দিনের ঘটনায় আমার বাবা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার এলাকায় ছিলেন না। তার পরেও আমার বাবাকে প্রধান আসামি করে প্রতিপক্ষ কোটালীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি কোটালীপাড়া থানায় এফআইআর হয়েছে। আমার বাবাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মেধার ভিত্তিতে সিট প্রদান, শিক্ষার্থীদের ফি কমানো, ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনাসহ নয় দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
২ মিনিট আগেনাটোরের সিংড়ায় ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবেশের সময় এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার ১০ নম্বর চৌগ্রাম ইউনিয়নের চৌগ্রাম পারুহারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেপৃথক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনশনরত ৯ শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। তাঁদের স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। একজন চিকিৎসক ও দুজন নার্সকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখব
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে থানার পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, চরলক্ষ্যা নিমতলা এলাকার ইদ্রিস সওদাগরের ছেলে আলমগীর বাদশা (৪২) এবং শিকলবাহা ইউনিয়নের...
২৮ মিনিট আগে