সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ায় মাইগ্রেশনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে তাঁরা এই বিক্ষোভ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
সকালে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের পর পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. ইয়াহিয়া শুভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এর আগেও একই দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই মেডিকেল কলেজে আমরা ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখন আমরা আমাদের পরিবারের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। এই মেডিকেলে কোনো রোগীই নেই। ঠিকমতো তারা শিক্ষার ব্যবস্থা না করেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়েছে।’
আরেক শিক্ষার্থী ইমরান খান ইমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়ক অবরোধ করলে একপর্যায়ে পুলিশ জোর করে সরিয়ে দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে আবু সায়েদ, লিজা, ফয়সাল ও শেফা ফেরদৌসী মৈত্রী নামের চার শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।’
মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিএমডিসির অনুমোদন নেই। নানা অনিয়মের অভিযোগের কারণে ২০১৬ সালে ৩৬৫ শিক্ষার্থী মাইগ্রেশন করে অন্য মেডিকেল কলেজে চলে যান। নিয়ম অনুসারে তখন এই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে আদালতের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ নেয় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবারও শিক্ষার্থী ভর্তি করার ফাঁদ পাতে কলেজটি।
২০১৮ সালে এই ফাঁদে পড়ে ৪৫ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। পরে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল কবির রুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কে অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি অনেক পরিবহন আটকা পড়ে। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা করেছি। প্রয়োজনে তাদের আইনি সহায়তার কথাও বলেছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও সড়ক না ছাড়ায় আমরা তাদের সরিয়ে দিতে গেল পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এতে আমাদের এক নারী পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অন্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেট করতে চাইলে এই মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদনে আদালতের দেওয়া স্টে অর্ডার খারিজ করতে হবে। তবেই তাঁদের মাইগ্রেশন করা সম্ভব হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ নভেম্বর একই দাবিতে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল এই মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
সাভারের আশুলিয়ায় মাইগ্রেশনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে তাঁরা এই বিক্ষোভ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
সকালে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের পর পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. ইয়াহিয়া শুভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এর আগেও একই দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই মেডিকেল কলেজে আমরা ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখন আমরা আমাদের পরিবারের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। এই মেডিকেলে কোনো রোগীই নেই। ঠিকমতো তারা শিক্ষার ব্যবস্থা না করেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়েছে।’
আরেক শিক্ষার্থী ইমরান খান ইমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়ক অবরোধ করলে একপর্যায়ে পুলিশ জোর করে সরিয়ে দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে আবু সায়েদ, লিজা, ফয়সাল ও শেফা ফেরদৌসী মৈত্রী নামের চার শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।’
মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিএমডিসির অনুমোদন নেই। নানা অনিয়মের অভিযোগের কারণে ২০১৬ সালে ৩৬৫ শিক্ষার্থী মাইগ্রেশন করে অন্য মেডিকেল কলেজে চলে যান। নিয়ম অনুসারে তখন এই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে আদালতের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ নেয় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবারও শিক্ষার্থী ভর্তি করার ফাঁদ পাতে কলেজটি।
২০১৮ সালে এই ফাঁদে পড়ে ৪৫ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। পরে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল কবির রুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কে অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি অনেক পরিবহন আটকা পড়ে। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা করেছি। প্রয়োজনে তাদের আইনি সহায়তার কথাও বলেছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও সড়ক না ছাড়ায় আমরা তাদের সরিয়ে দিতে গেল পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এতে আমাদের এক নারী পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অন্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেট করতে চাইলে এই মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদনে আদালতের দেওয়া স্টে অর্ডার খারিজ করতে হবে। তবেই তাঁদের মাইগ্রেশন করা সম্ভব হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ নভেম্বর একই দাবিতে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল এই মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
৩ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
৩ ঘণ্টা আগে