নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পেরোলেও আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কলাবাগান থানা-পুলিশ। ফলে এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা গৃহকর্ত্রী সাথীরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে আজ দুপুরে গৃহকর্মীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. তৌহিদা বেগম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
গতকাল ঘটনার পর সরেজমিন দেখা যায়, বেডরুমের খাটে আড়াআড়িভাবে চিত হয়ে পড়ে আছে আনুমানিক সাত-আট বছর বয়সী অজ্ঞাত গৃহকর্মীর মরদেহ। বাসার সবকিছু স্বাভাবিক। রান্না ঘরে পানিতে ভেজানো মাছ, পাত্রে ডিম, পাতিলে ভেজানো ছিল রান্নার চালও। কিন্তু কেউ নেই রান্না করার। বাসার গৃহকর্ত্রী সাথী আক্তার পারভীন নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও নিয়ে যাননি। শুধু নিজের তিন বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর পাঁচ মিনিট পর ফিরে আসেন। তবে এরপর আবার তিনি বেরিয়ে যান।
পুলিশের ধারণা, কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ওই বাসায় প্রায়ই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হতো। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালেও হয়তো ওই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। শিশুটি মারা যাওয়ার পর রান্নার সবকিছু আর মোবাইল ফোন ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান গৃহকর্ত্রী সাথী।
কলাবাগান থানা-পুলিশের দাবি, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে অজ্ঞাত ফোনে গৃহকর্মী মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কটি বাসায় খোঁজও নেয়। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেওয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি মালিক সমিতির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত গৃহকর্মী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আনুমানিক ৪৮ ঘণ্টা পর গতকাল (২৬ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহালে পুলিশ দেখতে পায়, শরীরে অনেক নতুন ও পুরোনো আঘাতের চিহ্ন। মুখে ফেনা, শরীর ফোলা। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে ওই শিশু গৃহকর্মীর সুরতহাল রিপোর্ট করেন কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নার্গিস আক্তার। সুরতহাল রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, কপালে দাগ আছে, বাঁ ও ডান চোখে আঘাতের চিহ্ন, মুখমণ্ডল ফোলা, বুকে কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। বাঁ হাতে দাগ আছে এবং ডান হাতের আঙুলে আঘাতের চিহ্ন আছে। বাঁ ও ডান পায়ে হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন আছে।
পুলিশ বলছে, নিহতের পরিচয় শনাক্তে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ দুপুরে কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না অভিযুক্ত নারীর। ওই বাসায় যে গৃহকর্মী আছে, তা অনেকে জানলেও দেখেছেন খুব কমই। গৃহকর্মীর মৃত্যুর পর ওই নারীও লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি। ওই নারীর গ্রামের বাড়ি পাবনা সদরে। আমরা সেখানকার লোকাল থানাতেও নিহতের সুরতহালকালীন তোলা ছবি পাঠিয়েছি। এখনো পরিচয় শনাক্ত হয়নি।’
কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, ‘নানাভাবেই পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে; কিন্তু পাইনি। অভিযুক্ত নারীর নিকটাত্মীয় ও পরিচিতদের মাধ্যমে শুনেছি নিহত গৃহকর্মী এতিম। তবে সেটিও নিশ্চিত নয়। পরিচয় না মিললে আজই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
কলাবাগান থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ই-১-এর বাসিন্দা সাথী আক্তার পারভীন তাঁর শিশুসন্তান আর ওই গৃহকর্মী নিয়ে বসবাস করতেন। সাথী ২০১৬ সালে এই বাসায় ওঠেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় একাই থাকতেন। তিন বছর ধরে নিহত গৃহকর্মী ওই বাসায় কাজ করছিল।
দুই বছর ধরে ভবনটির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে সাথী ও তাঁর স্বামী ডাক্তার শহীদুল হক রাহাত এখানে বসবাস করতেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব হওয়ায় তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। নিজেকে এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিলেও আদতে তিনি কী করেন, কেউ জানি না। সাথী আক্তার প্রভাব খাটিয়ে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এমনকি মারধরও করেছেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকে (২০২০ সাল থেকে) তিনি বাসার কোনো সার্ভিস চার্জও পরিশোধ করেননি। এই ভবনের দায়িত্বে আসার আমার দুই বছর হলো। কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখতেন। কারও সঙ্গে মিশতেন না। সার্ভিস চার্জ ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বকেয়া পড়েছে। চাইতে গেলে তিনি খারাপ আচরণ করেন। বলেন যা দেওয়ার স্বামী দেবে। ডিভোর্স সংক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মামলাও চলছে বলে শুনেছি।’
ওসি সাইফুল বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, অভিযুক্ত সাথী আক্তার পারভীনের দুই স্বামী। প্রথম স্বামীর নাম মামুন। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁর ঘরে কন্যাসন্তানও রয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একজন চিকিৎসকের সঙ্গে বিবাহ হয়। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হয় ২০২০ সালে। ওই স্বামীর পরিচয়েই তিনি ফ্ল্যাটটিতে ২০১৬ সাল থেকে থাকেন। ডিভোর্সের পর সাথীর স্বামী ঢাকা থেকে চলে যান এবং তিনি এখন যশোরে থাকেন। সাথীর চিকিৎসক স্বামীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি, ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে তিনি আর এ বাসায় আসেন না। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ওই গৃহকর্মীকে বাসায় এনেছিলেন সাথী। এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ায় এই ফ্ল্যাটও বিক্রি করে দেন।’
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত বৃহস্পতিবারের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৯টা ৪ মিনিটে নিজের শিশুসন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যান সাথী আক্তার। এর ৫ মিনিট পর ৯টা ৯ মিনিটে আবারও ফিরে আসেন। পরবর্তীকালে ৮ মিনিট পরে আবার বেরিয়ে যান। পরে তিনি আর ফেরেননি। ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার পর সেদিন ওই সময়ই তিনি বাসা থেকে লাপাত্তা হন।
রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পেরোলেও আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কলাবাগান থানা-পুলিশ। ফলে এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা গৃহকর্ত্রী সাথীরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে আজ দুপুরে গৃহকর্মীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. তৌহিদা বেগম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
গতকাল ঘটনার পর সরেজমিন দেখা যায়, বেডরুমের খাটে আড়াআড়িভাবে চিত হয়ে পড়ে আছে আনুমানিক সাত-আট বছর বয়সী অজ্ঞাত গৃহকর্মীর মরদেহ। বাসার সবকিছু স্বাভাবিক। রান্না ঘরে পানিতে ভেজানো মাছ, পাত্রে ডিম, পাতিলে ভেজানো ছিল রান্নার চালও। কিন্তু কেউ নেই রান্না করার। বাসার গৃহকর্ত্রী সাথী আক্তার পারভীন নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও নিয়ে যাননি। শুধু নিজের তিন বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর পাঁচ মিনিট পর ফিরে আসেন। তবে এরপর আবার তিনি বেরিয়ে যান।
পুলিশের ধারণা, কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ওই বাসায় প্রায়ই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হতো। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালেও হয়তো ওই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। শিশুটি মারা যাওয়ার পর রান্নার সবকিছু আর মোবাইল ফোন ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান গৃহকর্ত্রী সাথী।
কলাবাগান থানা-পুলিশের দাবি, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে অজ্ঞাত ফোনে গৃহকর্মী মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কটি বাসায় খোঁজও নেয়। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেওয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি মালিক সমিতির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত গৃহকর্মী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আনুমানিক ৪৮ ঘণ্টা পর গতকাল (২৬ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহালে পুলিশ দেখতে পায়, শরীরে অনেক নতুন ও পুরোনো আঘাতের চিহ্ন। মুখে ফেনা, শরীর ফোলা। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে ওই শিশু গৃহকর্মীর সুরতহাল রিপোর্ট করেন কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নার্গিস আক্তার। সুরতহাল রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, কপালে দাগ আছে, বাঁ ও ডান চোখে আঘাতের চিহ্ন, মুখমণ্ডল ফোলা, বুকে কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। বাঁ হাতে দাগ আছে এবং ডান হাতের আঙুলে আঘাতের চিহ্ন আছে। বাঁ ও ডান পায়ে হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন আছে।
পুলিশ বলছে, নিহতের পরিচয় শনাক্তে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ দুপুরে কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না অভিযুক্ত নারীর। ওই বাসায় যে গৃহকর্মী আছে, তা অনেকে জানলেও দেখেছেন খুব কমই। গৃহকর্মীর মৃত্যুর পর ওই নারীও লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি। ওই নারীর গ্রামের বাড়ি পাবনা সদরে। আমরা সেখানকার লোকাল থানাতেও নিহতের সুরতহালকালীন তোলা ছবি পাঠিয়েছি। এখনো পরিচয় শনাক্ত হয়নি।’
কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, ‘নানাভাবেই পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে; কিন্তু পাইনি। অভিযুক্ত নারীর নিকটাত্মীয় ও পরিচিতদের মাধ্যমে শুনেছি নিহত গৃহকর্মী এতিম। তবে সেটিও নিশ্চিত নয়। পরিচয় না মিললে আজই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
কলাবাগান থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ই-১-এর বাসিন্দা সাথী আক্তার পারভীন তাঁর শিশুসন্তান আর ওই গৃহকর্মী নিয়ে বসবাস করতেন। সাথী ২০১৬ সালে এই বাসায় ওঠেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় একাই থাকতেন। তিন বছর ধরে নিহত গৃহকর্মী ওই বাসায় কাজ করছিল।
দুই বছর ধরে ভবনটির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে সাথী ও তাঁর স্বামী ডাক্তার শহীদুল হক রাহাত এখানে বসবাস করতেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব হওয়ায় তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। নিজেকে এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিলেও আদতে তিনি কী করেন, কেউ জানি না। সাথী আক্তার প্রভাব খাটিয়ে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এমনকি মারধরও করেছেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকে (২০২০ সাল থেকে) তিনি বাসার কোনো সার্ভিস চার্জও পরিশোধ করেননি। এই ভবনের দায়িত্বে আসার আমার দুই বছর হলো। কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখতেন। কারও সঙ্গে মিশতেন না। সার্ভিস চার্জ ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বকেয়া পড়েছে। চাইতে গেলে তিনি খারাপ আচরণ করেন। বলেন যা দেওয়ার স্বামী দেবে। ডিভোর্স সংক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মামলাও চলছে বলে শুনেছি।’
ওসি সাইফুল বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, অভিযুক্ত সাথী আক্তার পারভীনের দুই স্বামী। প্রথম স্বামীর নাম মামুন। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁর ঘরে কন্যাসন্তানও রয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একজন চিকিৎসকের সঙ্গে বিবাহ হয়। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হয় ২০২০ সালে। ওই স্বামীর পরিচয়েই তিনি ফ্ল্যাটটিতে ২০১৬ সাল থেকে থাকেন। ডিভোর্সের পর সাথীর স্বামী ঢাকা থেকে চলে যান এবং তিনি এখন যশোরে থাকেন। সাথীর চিকিৎসক স্বামীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি, ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে তিনি আর এ বাসায় আসেন না। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ওই গৃহকর্মীকে বাসায় এনেছিলেন সাথী। এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ায় এই ফ্ল্যাটও বিক্রি করে দেন।’
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত বৃহস্পতিবারের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৯টা ৪ মিনিটে নিজের শিশুসন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যান সাথী আক্তার। এর ৫ মিনিট পর ৯টা ৯ মিনিটে আবারও ফিরে আসেন। পরবর্তীকালে ৮ মিনিট পরে আবার বেরিয়ে যান। পরে তিনি আর ফেরেননি। ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার পর সেদিন ওই সময়ই তিনি বাসা থেকে লাপাত্তা হন।
যশোরের চৌগাছায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৭ মে) বিকেলে সাতজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
১ মিনিট আগেফরিদপুরে দেড়লাখ টাকায় বিক্রি করা ৮ মাসের শিশু তানহাকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। আদালতের আদেশে ওই শিশুর মাকে নিয়ে আজ বুধবার নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতি ইউনিয়নে কুবাত শেখের বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়।
৮ মিনিট আগেরাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে আফতাব আহমেদ আবির (২০) নামের এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে ছিনতাইকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) অন্তর্ভুক্ত শ্রমিকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। টাকা না পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এমন কাজটি করছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে।
৩২ মিনিট আগে