ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)
ভালোবেসে শিবচরের যুবককে বিয়ে করলেন ইন্দোনেশীয় তরুণী। গতকাল শুক্রবার ধুমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে তাঁদের বিয়ে। রাত অবধি নানা আয়োজনে মুগ্ধ হন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা।
মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামের মো. লাল মিয়া মাদবরের মেজো ছেলে শামীম মাদবরের সঙ্গে বিয়ে হয় ইন্দোনেশিয়র নাগরিক ইফহার।
বাংলাদেশি শামীম এবং ইন্দোনেশীয় ইফহা দুজনেই কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুর থাকেন। গত ৬ বছর ধরে শামীম সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। আর ইফহা সেখানে কসমেটিকসের ব্যবসায় করছেন। সেখানেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম পরিচয়। এর পর দেখা-সাক্ষাৎ হয়। সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। তারপর দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে করেন এই যুগল।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে থাকা অবস্থাতেই শামীম তাঁর পরিবারকে বিষয়টি জানান। বিদেশি তরুণীকে বিয়ের ব্যাপারে শামীমের পরিবার প্রথম দিকে রাজি হয়নি। অন্যদিকে ইফহার পরিবারও এই সম্পর্ক বিয়েতে গড়াক তা চায়নি। উভয় পরিবারকে বোঝাতে সক্ষম হলে গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন শামীম। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহাও আসেন বাংলাদেশে। শামীম মাদবরের পরিবার সানন্দে গ্রহণ করেন ওই তরুণীকে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত চলে বিয়ের অনুষ্ঠান।
শামীমের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বাভাবিকভাবেই ভিনদেশি মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে হোক এটা পরিবার মেনে নিতে চায় না। কিন্তু ওরা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবাসে, তাই তাঁদের সুখের কথা ভেবে রাজি হয়েছেন তাঁরা। বিয়ের অনুষ্ঠানও ধুমধামের সঙ্গে হয়েছে।
সালমা আক্তার নামে প্রতিবেশী বলেন, ‘বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে। গ্রামের লোকজন সকাল থেকে দেখতে আসছে। সবার মধ্যে কৌতূহল। বিদেশি হলেও টুকটাক বাংলা বলতে পারে। মেয়েটি খুবই হাসিখুশি থাকে। সবার সঙ্গে আনন্দ নিয়ে আছে এখানে।’
এদিকে বিদেশি তরুণীকে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, ‘বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কিছুদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীমের সঙ্গে আমার ছোট ছেলে সুমনেরও বিয়ে দিয়েছি। এক সঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।’
শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্কে প্রেমে গড়ায়। আমাদের কারও পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা নিজেদের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের জন্যই ইফহা বাংলাদেশে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আর ইফহা বিয়ের সিদ্ধান্তে আসার পর থেকেই ভেবে রেখেছি বিয়েতে পরিবারের কাছ থেকে কোনো টাকা নেব না। নিজেরা বিয়ের আয়োজনের জন্য টাকা জমিয়েছি। আমরা দুজনই সিঙ্গাপুরে নিজ নিজ কাজ করি, উপার্জন করি। পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়াও ভালো। দোয়া করবেন বাকি জীবন যেন সুখে কাটে।’
ইফহা বলেন, ‘আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।’
ভালোবেসে শিবচরের যুবককে বিয়ে করলেন ইন্দোনেশীয় তরুণী। গতকাল শুক্রবার ধুমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে তাঁদের বিয়ে। রাত অবধি নানা আয়োজনে মুগ্ধ হন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা।
মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামের মো. লাল মিয়া মাদবরের মেজো ছেলে শামীম মাদবরের সঙ্গে বিয়ে হয় ইন্দোনেশিয়র নাগরিক ইফহার।
বাংলাদেশি শামীম এবং ইন্দোনেশীয় ইফহা দুজনেই কাজের সুবাদে সিঙ্গাপুর থাকেন। গত ৬ বছর ধরে শামীম সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। আর ইফহা সেখানে কসমেটিকসের ব্যবসায় করছেন। সেখানেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম পরিচয়। এর পর দেখা-সাক্ষাৎ হয়। সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। তারপর দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে করেন এই যুগল।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে থাকা অবস্থাতেই শামীম তাঁর পরিবারকে বিষয়টি জানান। বিদেশি তরুণীকে বিয়ের ব্যাপারে শামীমের পরিবার প্রথম দিকে রাজি হয়নি। অন্যদিকে ইফহার পরিবারও এই সম্পর্ক বিয়েতে গড়াক তা চায়নি। উভয় পরিবারকে বোঝাতে সক্ষম হলে গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন শামীম। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহাও আসেন বাংলাদেশে। শামীম মাদবরের পরিবার সানন্দে গ্রহণ করেন ওই তরুণীকে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত চলে বিয়ের অনুষ্ঠান।
শামীমের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বাভাবিকভাবেই ভিনদেশি মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে হোক এটা পরিবার মেনে নিতে চায় না। কিন্তু ওরা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবাসে, তাই তাঁদের সুখের কথা ভেবে রাজি হয়েছেন তাঁরা। বিয়ের অনুষ্ঠানও ধুমধামের সঙ্গে হয়েছে।
সালমা আক্তার নামে প্রতিবেশী বলেন, ‘বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে। গ্রামের লোকজন সকাল থেকে দেখতে আসছে। সবার মধ্যে কৌতূহল। বিদেশি হলেও টুকটাক বাংলা বলতে পারে। মেয়েটি খুবই হাসিখুশি থাকে। সবার সঙ্গে আনন্দ নিয়ে আছে এখানে।’
এদিকে বিদেশি তরুণীকে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, ‘বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কিছুদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীমের সঙ্গে আমার ছোট ছেলে সুমনেরও বিয়ে দিয়েছি। এক সঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।’
শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্কে প্রেমে গড়ায়। আমাদের কারও পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা নিজেদের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের জন্যই ইফহা বাংলাদেশে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আর ইফহা বিয়ের সিদ্ধান্তে আসার পর থেকেই ভেবে রেখেছি বিয়েতে পরিবারের কাছ থেকে কোনো টাকা নেব না। নিজেরা বিয়ের আয়োজনের জন্য টাকা জমিয়েছি। আমরা দুজনই সিঙ্গাপুরে নিজ নিজ কাজ করি, উপার্জন করি। পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়াও ভালো। দোয়া করবেন বাকি জীবন যেন সুখে কাটে।’
ইফহা বলেন, ‘আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।’
প্রায় নয় ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ থাকা দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব মাইলস্টোনের ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ির ডিপোতে প্রবেশ করেছেন। এ সময়ে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের কড়া পাহারা ছিল। তাঁরা মেট্রো ডিপো দিয়ে ভেতরের রাস্তা দিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ হয়ে বের হয়ে যাবেন
১১ মিনিট আগেমাদারগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেশিক্ষকসংকট, সেশনজটসহ ছয় দফা দাবিতে এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছেন রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রংপুরের পীরগঞ্জে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
২৩ মিনিট আগেকান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কথা শুনে তড়িঘড়ি করে আসলাম। কিন্তু ওর সাথে শেষবারের মতো আর কথা হলো না। দিনে ছয় থেকে সাতবার কথা হতো ওর সাথে। শেষবার বলছিল, “বাবা, তুমি কবে আসবা?” আমি তাকে বলেছিলাম, এখন তো সময় পাচ্ছি না। ঢাকায় যেতে টাকা-পয়সার ব্যাপার-স্যাপার আছে। আগামী মাসের ১৫ তারিখ আমি অবশ্যই
২৮ মিনিট আগে