Ajker Patrika

মেট্রো স্টেশনে হামলার সমন্বয় ও নেতৃত্বে দুই ছাত্রদল নেতা, দাবি ডিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মেট্রো স্টেশনে হামলার সমন্বয় ও নেতৃত্বে দুই ছাত্রদল নেতা, দাবি ডিবির

রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম (দক্ষিণ)।

ডিবি জানায়, পরিকল্পিতভাবে মিরপুরে মেট্রোরেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই হামলায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ অংশ নেয়। হামলার সমন্বয় করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার। এ ছাড়া দেশের ‍গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় হামলার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের (মিশুক)। 

একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বজলুল রহমান (বিজয়) ও ছাত্রদলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ–সভাপতি মো. ফেরদৌস (রুবেল)। 

আজ রোববার ‍দুপুরে রাজধানীর রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

ডিবি প্রধান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত–বিএনপির সন্ত্রাসীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। বিশেষ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেলে আগুন লাগিয়েছে, সেতু ভবনে আগুন লাগিয়েছে। পুলিশ সদস্যদের ওপর যারা হামলা করেছে ও হত্যা করেছে, আমরা তাদের যেখানেই থাকুক না কেন একে একে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল আজ বন্ধ। আপনারা জানেন, গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামায়াত–বিএনপির সন্ত্রাসীরা মিরপুরের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করেছে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। 

তিনি বলেন, মেট্রো স্টেশনে হামলার মাস্টার মাইন্ড ও নেতৃত্বদাতা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হান্নান। হান্নান তাঁর সহযোগীদের নিয়ে বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল ইসলাম নীরবের নির্দেশনায় মেট্রো স্টেশনে আগুন দেয়। এই ঘটনায় আরও দুজন নেতার নাম প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে বিএনপি নেতা শ্রাবণ আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির নেতারা চার–পাঁচজনকে দায়িত্ব দেয়। মেট্রো স্টেশনে আগুন দিয়ে ধ্বংস করার নির্দেশনা দেওয়া হয় যেন সাধারণ মানুষ মেট্রোতে আর চলাচল করতে না পারে। 

ডিএমপির ডিবি প্রধান আরও বলেন, মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন ও দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অনেকের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে ডিবি অভিযান চালাচ্ছে। 

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আপনার জানেন গাজীপুরের সাবেক মেয়রের সহকারীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন পথচারীকে পুলিশ ভেবে মেরে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। জড়িতরা বাংলাদেশের উন্নয়নের পক্ষের কোনো লোক না। তারা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে। অনেকে মনে করছে, ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে বেঁচে যাবেন। সেটা হবে না। মামলা হয়েছে। ডিবি তদন্ত করছে। আমরা জড়িত কাউকে ছাড় দেব না। 

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। এই আন্দোলনকে ঘিরে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করা হয়। এই সব কিছুই পরিকল্পিত। এই ঘটনায় ইন্ধনদাতা, অস্ত্রদাতাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
মাওলানা মো. মুহিবুল্লাহ মাদানীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
মাওলানা মো. মুহিবুল্লাহ মাদানীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নিখোঁজ বিটিসিএল টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মাওলানা মো. মুহিবুল্লাহ (৬০) মাদানীকে পঞ্চগড় থেকে শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড় শহরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় একটি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, তবে তাঁর জ্ঞান এখনো ফেরেনি বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজাদি আন্দোলনের আমির আতাউর রহমান বিক্রমপুরী।

‎আতাউর রহমান জানান, পঞ্চগড়ের যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন তাঁকে ফোন করে জানান যে বৃহস্পতিবার ভোরে পঞ্চগড়ের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় একটি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় মাওলানা মুহিবুল্লাহকে দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

‎স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাওলানা মুহিবুল্লাহ চলমান সামাজিক অবক্ষয়, পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও উগ্রপন্থী সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে জুমার খুতবায় বয়ান করার পর থেকে ১২ বার তিনি হুমকি পেয়েছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।

‎টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, মাওলানা মুহিবুল্লাহকে পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা মহানগরীর লবণচরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লি এলাকার ৪ নম্বর কাশেম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি বেগম (৪৫)। তিনি আটক মো. নাজমুল হাসান মোল্লার (৫৫) স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী নাজমুল হাসান আজ সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী ডলি বেগমকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে নাজমুল হাসান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশী রিকশাচালক আরিফ নগরীর লায়ন্স স্কুলের সামনে থেকে ধরে এনে তাঁকে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে আটক করে। পেশায় রাজমিস্ত্রি নাজমুল হাসান খুলনার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। নিহত ডলি বেগম পাইকগাছা শান্তা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পাশের ঘরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তাঁরা এগিয়ে যান। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ডলি বেগমকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্বামী নাজমুল হাসান এ সময় পেছনের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

অন্য ভাড়াটিয়ারা তাৎক্ষণিকভাবে ডলি বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুলের মেয়ে সাদিয়া জানান, প্রায়ই তাঁর মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। ঝগড়ার জেরে তাঁর মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন তাঁর বাবা।

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করি। যে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতির ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত দৈনিক কালবেলার সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত দৈনিক কালবেলার সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির (বাকসাস) সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির ছাত্রদলের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিষয়টি দেখে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়া কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহত হন। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি। এক বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিহাব আল নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

এদিকে ঘটনার বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমি খোঁজ দিচ্ছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এর কিছুক্ষণ পরই ছাত্রদলের অভিযুক্ত ওই নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

ছাত্রদলের সহসভাপতি পদমর্যাদার দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাভারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ: প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, আহত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে প্রতিপক্ষের হামলায় আবু সাঈদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্তত আটজন। গতকাল বুধবার রাতে বনগাঁও ইউনিয়নের বেরাইদ এলাকায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন (৪৮) ছাড়াও একই এলাকার আরিফ হোসেন (৪০), সনি মোল্লা (৬০), মোস্তফা (৫০), জবেদ আলী (৩২), আনন্দ (১৮), আরাফাত (১৮) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০) রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আবু সাঈদ নামের একজন মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে বাবুল হোসেন প্রায় চার মাস আগে এলাকা ছেড়ে চলে যান।

তাঁরা জানান, টানা চার মাস পর বাবুল হোসেন গতকাল এলাকায় ফেরেন। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন বাবুল হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বাবুল হোসেন তখন বেরাইদ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সজীব হোসেন বলেন, জাকির হোসেনের লোকজনের কাছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছিল। ওই সব অস্ত্র দিয়ে তারা বাবুল হোসেনের ওপর হামলা চালালে আবু সাঈদসহ স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। এ সময় জাকির হোসেনের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবুল হোসেন ও তাঁর চাচাতো ভাই আবু সাঈদসহ ৯ জন আহত হন।

সজীব হোসেন আরও বলেন, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবু সাঈদ মারা যান। তাঁর মাথায় অনেকগুলো কোপের আঘাত ছিল। অন্য ব্যক্তিদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় একজন নেতা ও একজন জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজন এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে এলাকায় আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। গত বছর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা ও হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত