নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’দের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই পদে কর্মরতরা মানববন্ধন করে এই দাবি জানায়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো—আইন অনুযায়ী কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও কাজের নীতিমালা প্রণয়ন, উৎসবভাতা পুনর্বহাল ও বেতনবৈষম্য দূরীকরণ, বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা এবং
যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি ও মৃত্যুবরণ করা ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’দের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’ পদে সারা দেশে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ। তাদের একই ব্যক্তির দুই পরিচয়। দিনে স্কুলের দপ্তরি আর রাতে প্রহরী। ফলে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই থাকতে হচ্ছে কাজের মধ্যে। দুই পদে কাজ করা কর্মীরা বলছেন, প্রহরী পদ তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত ও গতিশীল করতে দেশব্যাপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’ পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও আমরা ন্যায্য বেতন-ভাতা পাই না। তার মধ্যে আবার বিভিন্ন উপজেলায় বেতনবৈষম্য রয়েছে। কোনো উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা আবার কোথাও ১৬ হাজার ১৩০ টাকা করে বেতন পাচ্ছে। আবার কোনো উপজেলায় উৎসব ভাতা পাচ্ছে, কোথাও পাচ্ছে না।’
নাছির উদ্দিন বলেন, ‘অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে আমাদের দিনে দাপ্তরিক কাজ ও রাতে পাহারার দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পালন করতে গিয়ে আমরা স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া ‘‘দপ্তরি কাম প্রহরী’’রা নানাভাবে সমস্যায় জর্জরিত।’
নাছির উদ্দিনের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’দের ডিউটি সার্বক্ষণিক বলতে স্কুল টাইম। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাঠ পর্যায়ে তাদের দিয়ে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করানো হয়। অনেক সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করেন।
এদিকে গতকাল বুধবার একই দাবিতে মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে তাঁরা বলেন, ‘আমরা কারও বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে আসিনি। আমরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। তাই অধিকার আদায়ে গতকাল বুধবার সকালে অধিদপ্তরের সামনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু পুলিশ শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে অন্যায়ভাবে হামলা করে।’
আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের হামলায় ৭০ জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। আহতদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’দের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই পদে কর্মরতরা মানববন্ধন করে এই দাবি জানায়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো—আইন অনুযায়ী কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও কাজের নীতিমালা প্রণয়ন, উৎসবভাতা পুনর্বহাল ও বেতনবৈষম্য দূরীকরণ, বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা এবং
যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি ও মৃত্যুবরণ করা ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’দের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’ পদে সারা দেশে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ। তাদের একই ব্যক্তির দুই পরিচয়। দিনে স্কুলের দপ্তরি আর রাতে প্রহরী। ফলে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই থাকতে হচ্ছে কাজের মধ্যে। দুই পদে কাজ করা কর্মীরা বলছেন, প্রহরী পদ তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত ও গতিশীল করতে দেশব্যাপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’ পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও আমরা ন্যায্য বেতন-ভাতা পাই না। তার মধ্যে আবার বিভিন্ন উপজেলায় বেতনবৈষম্য রয়েছে। কোনো উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা আবার কোথাও ১৬ হাজার ১৩০ টাকা করে বেতন পাচ্ছে। আবার কোনো উপজেলায় উৎসব ভাতা পাচ্ছে, কোথাও পাচ্ছে না।’
নাছির উদ্দিন বলেন, ‘অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে আমাদের দিনে দাপ্তরিক কাজ ও রাতে পাহারার দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পালন করতে গিয়ে আমরা স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া ‘‘দপ্তরি কাম প্রহরী’’রা নানাভাবে সমস্যায় জর্জরিত।’
নাছির উদ্দিনের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ‘দপ্তরি কাম প্রহরী’দের ডিউটি সার্বক্ষণিক বলতে স্কুল টাইম। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাঠ পর্যায়ে তাদের দিয়ে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করানো হয়। অনেক সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করেন।
এদিকে গতকাল বুধবার একই দাবিতে মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে তাঁরা বলেন, ‘আমরা কারও বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে আসিনি। আমরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। তাই অধিকার আদায়ে গতকাল বুধবার সকালে অধিদপ্তরের সামনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু পুলিশ শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে অন্যায়ভাবে হামলা করে।’
আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের হামলায় ৭০ জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। আহতদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাড়ির মালিক জজ মিয়াকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
১৫ মিনিট আগেরাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন নাইমুর রহমান সিফাত (২৯) নামের এক যুবক। নিখোঁজের চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো সন্ধান পায়নি ওই যুবকের পরিবার। সিফাতের সন্ধান চেয়ে আকুতি জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
১৯ মিনিট আগেনিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনে। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
২৬ মিনিট আগেহবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মো. ফরিদুর রহমানকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের শ্মশানঘাটস্থ সদর উপজেলা এনসিপির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ দাবি করেন পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আ
৩৯ মিনিট আগে