কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল আটকে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগের পর ওই ট্রাফিক সার্জেন্টকে প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম—বি এম শফিউর রহমান। ভুক্তভোগী মোটরসাইকেলের চালক হলেন মো. কয়েস মিয়া। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কয়েস মিয়া মোটরসাইকেলযোগে ময়মনসিংহের নিজ বাড়ি থেকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বটতলা ট্রাফিক বক্সের সামনে এলে পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুন মোটরসাইকেল থামাতে বলেন। পরে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার একপর্যায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় বটতলা ট্রাফিক বক্সে নিয়ে যাওয়া হয় কয়েস মিয়াকে। সেখানে কয়েসকে বলা হয় ২৫ হাজার টাকার মামলা হবে।
এ সময় কয়েস মিয়া ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুনকে বলেন, ‘আমাকে মামলা দিয়েন না, আমার কাছে ৫০০-৬০০ টাকা আছে তা নিয়ে আমার মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেন।’
তখন হুমায়ুন কয়েস মিয়াকে বলেন, ‘৪ হাজার টাকা বাড়ি থেকে আনেন।’
একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুন কয়েস মিয়াকে ২ হাজার টাকা আনতে বলেন। পরে কয়েস মিয়া নগদ ৫০০ টাকা হুমায়ুনকে দেন। এ সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমানও পুলিশ বক্সে উপস্থিত ছিলেন। পরে কয়েস মিয়া তাঁর প্রতিবন্ধী ছোট ভাই ফয়েজ মিয়াকে ঘটনাটি জানায়। তারপর ফয়েজ মিয়া বাড়ি থেকে কয়েস মিয়ার বিকাশ নম্বরে ১ হাজার টাকা পাঠান। সেই এক হাজার টাকা কয়েস মিয়া ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমানের বিকাশ নম্বরে পাঠান। মোট এক হাজার পাঁচশত টাকা দেওয়ার পর কয়েস মিয়ার মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমান গত ২০ মে কিশোরগঞ্জে বদলি হয়ে আসেন। কিশোরগঞ্জে আসার পর থেকেই ঘুষ বাণিজ্যের একটি বড় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘুষ না দিলে তাঁর সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ট্রাক, ট্রাক্টর, সিএনজিচালক ও মোটরসাইকেল আরোহীরা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে জেলা শহরের গাইটাল আন্তজেলা বাসস্ট্যান্ডে মোটরসাইকেল আটকে আরোহীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের পর তাঁকে ১৪ দিন কর্মবিরতিতে রাখা হয়। পরে প্রভাবশালী মহলের চাপে তাঁকে পুনরায় ডিউটি দেওয়া হয়। যার তদন্ত এখনো চলছে।
ভুক্তভোগী কয়েস মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে মোট ১৫০০ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেওয়া হয়। আমার কাছে টাকা ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ মতো। বাড়ি থেকে বিকাশে টাকা এনে ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমানের বিকাশ নম্বরে দেই। আমার ভাইটা প্রতিবন্ধী। তাদের চাপে প্রতিবন্ধী ভাইটা বাজারে গিয়ে আমার বিকাশে টাকা পাঠায়।’
এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট বি এম শফিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাইবার ক্রাইমে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।
ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগকারীকে বলা হয়েছে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ট্রাফিক সার্জেন্ট বি এম শফিউর রহমানকে আপাতত ডিউটি থেকে ক্লোজ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘তাঁর (ট্রাফিক সার্জেন্ট বি এম শফিউর রহমান) বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল আটকে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগের পর ওই ট্রাফিক সার্জেন্টকে প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম—বি এম শফিউর রহমান। ভুক্তভোগী মোটরসাইকেলের চালক হলেন মো. কয়েস মিয়া। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কয়েস মিয়া মোটরসাইকেলযোগে ময়মনসিংহের নিজ বাড়ি থেকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বটতলা ট্রাফিক বক্সের সামনে এলে পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুন মোটরসাইকেল থামাতে বলেন। পরে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার একপর্যায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় বটতলা ট্রাফিক বক্সে নিয়ে যাওয়া হয় কয়েস মিয়াকে। সেখানে কয়েসকে বলা হয় ২৫ হাজার টাকার মামলা হবে।
এ সময় কয়েস মিয়া ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুনকে বলেন, ‘আমাকে মামলা দিয়েন না, আমার কাছে ৫০০-৬০০ টাকা আছে তা নিয়ে আমার মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেন।’
তখন হুমায়ুন কয়েস মিয়াকে বলেন, ‘৪ হাজার টাকা বাড়ি থেকে আনেন।’
একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুন কয়েস মিয়াকে ২ হাজার টাকা আনতে বলেন। পরে কয়েস মিয়া নগদ ৫০০ টাকা হুমায়ুনকে দেন। এ সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমানও পুলিশ বক্সে উপস্থিত ছিলেন। পরে কয়েস মিয়া তাঁর প্রতিবন্ধী ছোট ভাই ফয়েজ মিয়াকে ঘটনাটি জানায়। তারপর ফয়েজ মিয়া বাড়ি থেকে কয়েস মিয়ার বিকাশ নম্বরে ১ হাজার টাকা পাঠান। সেই এক হাজার টাকা কয়েস মিয়া ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমানের বিকাশ নম্বরে পাঠান। মোট এক হাজার পাঁচশত টাকা দেওয়ার পর কয়েস মিয়ার মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমান গত ২০ মে কিশোরগঞ্জে বদলি হয়ে আসেন। কিশোরগঞ্জে আসার পর থেকেই ঘুষ বাণিজ্যের একটি বড় সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘুষ না দিলে তাঁর সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ট্রাক, ট্রাক্টর, সিএনজিচালক ও মোটরসাইকেল আরোহীরা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে জেলা শহরের গাইটাল আন্তজেলা বাসস্ট্যান্ডে মোটরসাইকেল আটকে আরোহীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের পর তাঁকে ১৪ দিন কর্মবিরতিতে রাখা হয়। পরে প্রভাবশালী মহলের চাপে তাঁকে পুনরায় ডিউটি দেওয়া হয়। যার তদন্ত এখনো চলছে।
ভুক্তভোগী কয়েস মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে মোট ১৫০০ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেওয়া হয়। আমার কাছে টাকা ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ মতো। বাড়ি থেকে বিকাশে টাকা এনে ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমানের বিকাশ নম্বরে দেই। আমার ভাইটা প্রতিবন্ধী। তাদের চাপে প্রতিবন্ধী ভাইটা বাজারে গিয়ে আমার বিকাশে টাকা পাঠায়।’
এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট বি এম শফিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাইবার ক্রাইমে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।
ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগকারীকে বলা হয়েছে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ট্রাফিক সার্জেন্ট বি এম শফিউর রহমানকে আপাতত ডিউটি থেকে ক্লোজ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘তাঁর (ট্রাফিক সার্জেন্ট বি এম শফিউর রহমান) বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাটোরের বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আটজন নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক মো. মহির উদ্দিনকে ( ৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৫, সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্প থেকে জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেআজ ২৩ জুলাই, ২০২৫। ২০০২ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শামসুন্নাহার হলে ছাত্রীদের ওপর তৎকালীন পুলিশ বাহিনী বর্বরোচিত হামলা চালায়। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত হল প্রাধ্যক্ষকে সরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেদিন গভীর রাতে শামসুন্নাহার হলের গেট ভেঙে সাধারণ ছাত্রীদের ওপর এই হামলা চালান
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘অনেকে ভাবছেন, আমাদের লড়াই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমাদের সামনে দীর্ঘ পথ, দীর্ঘ লড়াই। সেই পথে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে হবে।’
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরে তিন বছর আগে মিথ্যা ঘোষণায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও সিগারেট আমদানির ঘটনায় একটি ব্যাগ ও লাগেজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় চার কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ওই আমদানির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহত
২ ঘণ্টা আগে