Ajker Patrika

ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থানের প্রত্যাশা ছাত্রসংগঠনগুলোর

ঢাবি সংবাদদাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল। ছবি: ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল। ছবি: ফাইল ছবি

শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক সহাবস্থানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ছাত্রসংগঠনগুলো। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নবগঠিত কমিটির ‘পরিচিত সভায়’ ৯টি ছাত্রসংগঠন এ প্রত্যাশা জানিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে দ্রুত ছাত্রসংসদ চালুর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে গতকাল শনিবার ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য এ সভা আয়োজন করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

সভায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘জুলাইয়ের আগে সকল ছাত্রসংগঠনের সবাই এক সাথে এক জায়গায় বসার কথা আমরা কেবল স্বপ্নে কল্পনা করতাম। আজ তা বাস্তবে দেখছি। সবাই মিলে শহীদদের স্বপ্নের ক্যাম্পাস বিনির্মাণে কাজ করে যাব।’

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে কুঁড়ি হয়ে ফুটেছে নবগঠিত ছাত্রসংগঠনটি। তারা ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিপরীতে মুক্তির আশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা রাখছি, তারা সুষ্ঠুধারার রাজনীতি করে যাবে।’

ছাত্রশিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘জুলাইয়ের আবেদন ছিল সবাই কথা বলতে পারবে। জুলাইয়ে এবং তারপরে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতারা যেভাবে কাজ করেছে, সেভাবে কাজ করে যাবে বলে আশা রাখছি।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, বিরাজনীতি কোনো সমাধান না, সমাধান আদর্শভিত্তিক রাজনীতি। যে রাজনীতি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাবে।

রাজনীতি যেন এককেন্দ্রিক না হয় সে আশা প্রকাশ করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘সবাইকে সাথে নিয়েই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে।’

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘জুলাইয়ের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নতুন এ ছাত্রসংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস রাখছি।’

স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দিন খালেদ বলেন, ‘আমরা এখানে যে সহাবস্থান দেখতে পাচ্ছি, তা নষ্ট করবে অনলাইন। সামনে যেমন থাকি, অনলাইনে আমরা তেমনটা থাকতে পারি না। আমাদের অনলাইন-অফলাইনের সংগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হয়ে প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে আশা রাখছি।’

বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে গণতান্ত্রিক এ যাত্রা ব্যাহত হবে।

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি মেগমল্লার বসু বলেন, ‘নতুন এ সংগঠনের সঙ্গে মতবিরোধ হবে, তবে বিরাজনীতিকরণ হবে না।’

বিগত সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি থেকে দূরে ছিল। আমরা এ সংগঠনের মাধ্যমে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ—সবাইকে রাজনীতিতে আনার এবং ধরে রাখার চেষ্টা করছি। - জাহিদ আহসান, সদস্যসচিব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ

সবাই মিলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং তা যেন অক্ষুণ্ন থাকে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ছাত্র পক্ষের আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ জিহাদ।

সভায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘জুলাইয়ে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। জুলাইয়ের পরে আমরা এখনো সহাবস্থানের রাজনীতি চর্চা করছি। আশা করে সহাবস্থানের এ ধারা বিরাজমান থাকবে।’

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির শূন্য ধারা পূরণে আমরা সাংগঠনিক রূপ নিয়েছি। বিগত সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি থেকে দূরে ছিল। আমরা এ সংগঠনের মাধ্যমে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ—সবাইকে রাজনীতিতে আনার এবং ধরে রাখার চেষ্টা করছি। দেশের স্বার্থে যেন সবাই কাজে আসে, সে চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত