আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার সুরিটোলা স্কুলের মাঠে খেলছিল একদল শিশু। পাশেই এক থুত্থুরে বুড়োর টং দোকান। জিজ্ঞেস করে জানা গেল, দোকানির বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। সুরিটোলা পুকুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি হেসে বললেন, ‘আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ঠিক এখানেই ছিল সুরিটোলা পুকুর।’
ঢাকার পুরোনো কিছু পুকুর খুঁজতে গিয়ে এ রকম অভিজ্ঞতা এ প্রতিবেদকের কয়েকবারই হয়েছে। জলাশয়ের জায়গায় পাওয়া গেছে মাটি ফেলে ভরাট করা জমি, স্কুলভবন বা বিপণিবিতান।
বংশালের অদূরেই মুকিম বাজার এলাকা। সেখানে ছিল বাগিচা পুকুর এবং মৌলভি তালবা নামের দুটি পুকুর। তবে খোঁজ করে দেখা যায়, স্থানীয় লোকের অধিকাংশই এগুলোর নামও শোনেননি। শেষমেশ রিপন নামের ৬০ বছর বয়সী এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বর্তমান ভৈরব মার্কেট এবং জাফর মার্কেটের জায়গাতেই একসময় দুটি পুকুর ছিল। সেগুলো ভরাট হয়ে গেছে প্রায় ৪০ বছর আগে। আবেগপ্রবণ হয়ে প্রৌঢ় রিপন বললেন, ‘এ পুকুরগুলোয় একসময় কত সাঁতার কাটছি, কত মাছ ধরছি!’
বাগিচা পুকুরের কাছাকাছি থাকা শামসাবাদ পুকুরও অস্তিত্ব হারিয়েছে। আনুমানিক চার দশক আগের পুকুরটি ভরাট হয়ে পরিণত হয়েছে শামসাবাদ খেলার মাঠে। মোহাম্মদপুর অঞ্চলের বছিলা ভাঙা মসজিদের কাছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন শত বছরের পুরোনো একটি পুকুর ছিল। স্থানীয়রা জানালেন ২০১৬ সালেই সেটি দখল করে ভরাট করা হয়। নির্মাণ করা হয় বাড়ি।
ঢাকা শহরজুড়েই একসময় ছিল এ রকম বহু পুকুর ও জলাভূমি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জমির দাম দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় বলি হয়েছে তার একটা বড় অংশ। এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঐতিহ্যবাহী পুকুরও।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) ২০২১ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, তিন-চার দশকে ঢাকার প্রায় ১৯০০ পুকুর ও জলাশয় দখল এবং ভরাট হয়েছে। ১৯৮৫ সালেও শহরে ২ হাজারের বেশি পুকুর ছিল। আরডিআরসির তখনকার হিসাবে (২০২১) ছোট-বড় মিলিয়ে পুকুরের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৪১।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুকুর ও জলাশয় শুধু একটি জনপদ বা শহরের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য জরুরি নয়, তা ঐতিহ্যেরও অংশ। একটি জনপদের নাগরিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে এসব জলাশয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহরে সরকারি পুকুরের পাশাপাশি বহু ব্যক্তিমালিকানা পুকুরও ছিল। অনেকেই নিজেদের ইচ্ছেমতো সেগুলো ভরাট করে ফেলেছেন।
‘এই পুকুরগুলোয় একসময় কত সাঁতার কাটছি, কত মাছ ধরছি!’ প্রৌঢ় রিপন মুকিম বাজারের ভরাট হওয়া বাগিচা পুকুর ও মৌলভি তালবা নিয়ে আক্ষেপ করে
সরকার ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণে আইন করে। সে আইনে বলা হয়েছে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করা বা সে জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না।
অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আইন হলেও তা যথাযথভাবে কার্যকর করা হচ্ছে কি না, কোনো সংশ্লিষ্ট সংস্থা সেটার দেখভাল করার কার্যক্রম নেয়নি।
পুরান ঢাকায় এখনো টিকে রয়েছে শতবর্ষী কয়েকটি পুকুর। এর মধ্যে রয়েছে নবাববাড়ী পুকুর বা গোলতালাব, বংশালের পঞ্চায়েত পুকুর, আলুবাজার পুকুর, হোসেনি দালান পুকুর, ধূপখোলা পুকুর ইত্যাদি। স্থানীয়দের পরিচর্যায় নবাববাড়ী পুকুর ও বংশালের পঞ্চায়েত পুকুরের চেহারা বেশ ভালো। তবে সিক্কাটুলির প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো আলী মোল্লা পুকুরটির অবস্থা বেহাল। অযত্ন-অবহেলায় কোনোমতে টিকে রয়েছে এটি।
নগরের পুকুর ও জলাশয়ের অবস্থা বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, সম্প্রতি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুর ও জলাশয়গুলো আবার খনন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেগুলো মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে, সেগুলোর অবস্থার উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি জলাশয়গুলোতে মাছ চাষের উপযোগিতা বৃদ্ধি করতে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার সুরিটোলা স্কুলের মাঠে খেলছিল একদল শিশু। পাশেই এক থুত্থুরে বুড়োর টং দোকান। জিজ্ঞেস করে জানা গেল, দোকানির বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। সুরিটোলা পুকুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি হেসে বললেন, ‘আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ঠিক এখানেই ছিল সুরিটোলা পুকুর।’
ঢাকার পুরোনো কিছু পুকুর খুঁজতে গিয়ে এ রকম অভিজ্ঞতা এ প্রতিবেদকের কয়েকবারই হয়েছে। জলাশয়ের জায়গায় পাওয়া গেছে মাটি ফেলে ভরাট করা জমি, স্কুলভবন বা বিপণিবিতান।
বংশালের অদূরেই মুকিম বাজার এলাকা। সেখানে ছিল বাগিচা পুকুর এবং মৌলভি তালবা নামের দুটি পুকুর। তবে খোঁজ করে দেখা যায়, স্থানীয় লোকের অধিকাংশই এগুলোর নামও শোনেননি। শেষমেশ রিপন নামের ৬০ বছর বয়সী এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বর্তমান ভৈরব মার্কেট এবং জাফর মার্কেটের জায়গাতেই একসময় দুটি পুকুর ছিল। সেগুলো ভরাট হয়ে গেছে প্রায় ৪০ বছর আগে। আবেগপ্রবণ হয়ে প্রৌঢ় রিপন বললেন, ‘এ পুকুরগুলোয় একসময় কত সাঁতার কাটছি, কত মাছ ধরছি!’
বাগিচা পুকুরের কাছাকাছি থাকা শামসাবাদ পুকুরও অস্তিত্ব হারিয়েছে। আনুমানিক চার দশক আগের পুকুরটি ভরাট হয়ে পরিণত হয়েছে শামসাবাদ খেলার মাঠে। মোহাম্মদপুর অঞ্চলের বছিলা ভাঙা মসজিদের কাছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন শত বছরের পুরোনো একটি পুকুর ছিল। স্থানীয়রা জানালেন ২০১৬ সালেই সেটি দখল করে ভরাট করা হয়। নির্মাণ করা হয় বাড়ি।
ঢাকা শহরজুড়েই একসময় ছিল এ রকম বহু পুকুর ও জলাভূমি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জমির দাম দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় বলি হয়েছে তার একটা বড় অংশ। এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঐতিহ্যবাহী পুকুরও।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) ২০২১ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, তিন-চার দশকে ঢাকার প্রায় ১৯০০ পুকুর ও জলাশয় দখল এবং ভরাট হয়েছে। ১৯৮৫ সালেও শহরে ২ হাজারের বেশি পুকুর ছিল। আরডিআরসির তখনকার হিসাবে (২০২১) ছোট-বড় মিলিয়ে পুকুরের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৪১।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুকুর ও জলাশয় শুধু একটি জনপদ বা শহরের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য জরুরি নয়, তা ঐতিহ্যেরও অংশ। একটি জনপদের নাগরিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে এসব জলাশয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহরে সরকারি পুকুরের পাশাপাশি বহু ব্যক্তিমালিকানা পুকুরও ছিল। অনেকেই নিজেদের ইচ্ছেমতো সেগুলো ভরাট করে ফেলেছেন।
‘এই পুকুরগুলোয় একসময় কত সাঁতার কাটছি, কত মাছ ধরছি!’ প্রৌঢ় রিপন মুকিম বাজারের ভরাট হওয়া বাগিচা পুকুর ও মৌলভি তালবা নিয়ে আক্ষেপ করে
সরকার ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণে আইন করে। সে আইনে বলা হয়েছে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করা বা সে জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না।
অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আইন হলেও তা যথাযথভাবে কার্যকর করা হচ্ছে কি না, কোনো সংশ্লিষ্ট সংস্থা সেটার দেখভাল করার কার্যক্রম নেয়নি।
পুরান ঢাকায় এখনো টিকে রয়েছে শতবর্ষী কয়েকটি পুকুর। এর মধ্যে রয়েছে নবাববাড়ী পুকুর বা গোলতালাব, বংশালের পঞ্চায়েত পুকুর, আলুবাজার পুকুর, হোসেনি দালান পুকুর, ধূপখোলা পুকুর ইত্যাদি। স্থানীয়দের পরিচর্যায় নবাববাড়ী পুকুর ও বংশালের পঞ্চায়েত পুকুরের চেহারা বেশ ভালো। তবে সিক্কাটুলির প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো আলী মোল্লা পুকুরটির অবস্থা বেহাল। অযত্ন-অবহেলায় কোনোমতে টিকে রয়েছে এটি।
নগরের পুকুর ও জলাশয়ের অবস্থা বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, সম্প্রতি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুর ও জলাশয়গুলো আবার খনন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেগুলো মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে, সেগুলোর অবস্থার উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি জলাশয়গুলোতে মাছ চাষের উপযোগিতা বৃদ্ধি করতে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার সুরিটোলা স্কুলের মাঠে খেলছিল একদল শিশু। পাশেই এক থুত্থুরে বুড়োর টং দোকান। জিজ্ঞেস করে জানা গেল, দোকানির বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। সুরিটোলা পুকুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি হেসে বললেন, ‘আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ঠিক এখানেই ছিল সুরিটোলা পুকুর।’
ঢাকার পুরোনো কিছু পুকুর খুঁজতে গিয়ে এ রকম অভিজ্ঞতা এ প্রতিবেদকের কয়েকবারই হয়েছে। জলাশয়ের জায়গায় পাওয়া গেছে মাটি ফেলে ভরাট করা জমি, স্কুলভবন বা বিপণিবিতান।
বংশালের অদূরেই মুকিম বাজার এলাকা। সেখানে ছিল বাগিচা পুকুর এবং মৌলভি তালবা নামের দুটি পুকুর। তবে খোঁজ করে দেখা যায়, স্থানীয় লোকের অধিকাংশই এগুলোর নামও শোনেননি। শেষমেশ রিপন নামের ৬০ বছর বয়সী এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বর্তমান ভৈরব মার্কেট এবং জাফর মার্কেটের জায়গাতেই একসময় দুটি পুকুর ছিল। সেগুলো ভরাট হয়ে গেছে প্রায় ৪০ বছর আগে। আবেগপ্রবণ হয়ে প্রৌঢ় রিপন বললেন, ‘এ পুকুরগুলোয় একসময় কত সাঁতার কাটছি, কত মাছ ধরছি!’
বাগিচা পুকুরের কাছাকাছি থাকা শামসাবাদ পুকুরও অস্তিত্ব হারিয়েছে। আনুমানিক চার দশক আগের পুকুরটি ভরাট হয়ে পরিণত হয়েছে শামসাবাদ খেলার মাঠে। মোহাম্মদপুর অঞ্চলের বছিলা ভাঙা মসজিদের কাছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন শত বছরের পুরোনো একটি পুকুর ছিল। স্থানীয়রা জানালেন ২০১৬ সালেই সেটি দখল করে ভরাট করা হয়। নির্মাণ করা হয় বাড়ি।
ঢাকা শহরজুড়েই একসময় ছিল এ রকম বহু পুকুর ও জলাভূমি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জমির দাম দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় বলি হয়েছে তার একটা বড় অংশ। এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঐতিহ্যবাহী পুকুরও।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) ২০২১ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, তিন-চার দশকে ঢাকার প্রায় ১৯০০ পুকুর ও জলাশয় দখল এবং ভরাট হয়েছে। ১৯৮৫ সালেও শহরে ২ হাজারের বেশি পুকুর ছিল। আরডিআরসির তখনকার হিসাবে (২০২১) ছোট-বড় মিলিয়ে পুকুরের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৪১।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুকুর ও জলাশয় শুধু একটি জনপদ বা শহরের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য জরুরি নয়, তা ঐতিহ্যেরও অংশ। একটি জনপদের নাগরিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে এসব জলাশয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহরে সরকারি পুকুরের পাশাপাশি বহু ব্যক্তিমালিকানা পুকুরও ছিল। অনেকেই নিজেদের ইচ্ছেমতো সেগুলো ভরাট করে ফেলেছেন।
‘এই পুকুরগুলোয় একসময় কত সাঁতার কাটছি, কত মাছ ধরছি!’ প্রৌঢ় রিপন মুকিম বাজারের ভরাট হওয়া বাগিচা পুকুর ও মৌলভি তালবা নিয়ে আক্ষেপ করে
সরকার ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণে আইন করে। সে আইনে বলা হয়েছে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করা বা সে জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না।
অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আইন হলেও তা যথাযথভাবে কার্যকর করা হচ্ছে কি না, কোনো সংশ্লিষ্ট সংস্থা সেটার দেখভাল করার কার্যক্রম নেয়নি।
পুরান ঢাকায় এখনো টিকে রয়েছে শতবর্ষী কয়েকটি পুকুর। এর মধ্যে রয়েছে নবাববাড়ী পুকুর বা গোলতালাব, বংশালের পঞ্চায়েত পুকুর, আলুবাজার পুকুর, হোসেনি দালান পুকুর, ধূপখোলা পুকুর ইত্যাদি। স্থানীয়দের পরিচর্যায় নবাববাড়ী পুকুর ও বংশালের পঞ্চায়েত পুকুরের চেহারা বেশ ভালো। তবে সিক্কাটুলির প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো আলী মোল্লা পুকুরটির অবস্থা বেহাল। অযত্ন-অবহেলায় কোনোমতে টিকে রয়েছে এটি।
নগরের পুকুর ও জলাশয়ের অবস্থা বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, সম্প্রতি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুর ও জলাশয়গুলো আবার খনন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেগুলো মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে, সেগুলোর অবস্থার উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি জলাশয়গুলোতে মাছ চাষের উপযোগিতা বৃদ্ধি করতে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার সুরিটোলা স্কুলের মাঠে খেলছিল একদল শিশু। পাশেই এক থুত্থুরে বুড়োর টং দোকান। জিজ্ঞেস করে জানা গেল, দোকানির বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। সুরিটোলা পুকুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি হেসে বললেন, ‘আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ঠিক এখানেই ছিল সুরিটোলা পুকুর।’
ঢাকার পুরোনো কিছু পুকুর খুঁজতে গিয়ে এ রকম অভিজ্ঞতা এ প্রতিবেদকের কয়েকবারই হয়েছে। জলাশয়ের জায়গায় পাওয়া গেছে মাটি ফেলে ভরাট করা জমি, স্কুলভবন বা বিপণিবিতান।
বংশালের অদূরেই মুকিম বাজার এলাকা। সেখানে ছিল বাগিচা পুকুর এবং মৌলভি তালবা নামের দুটি পুকুর। তবে খোঁজ করে দেখা যায়, স্থানীয় লোকের অধিকাংশই এগুলোর নামও শোনেননি। শেষমেশ রিপন নামের ৬০ বছর বয়সী এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বর্তমান ভৈরব মার্কেট এবং জাফর মার্কেটের জায়গাতেই একসময় দুটি পুকুর ছিল। সেগুলো ভরাট হয়ে গেছে প্রায় ৪০ বছর আগে। আবেগপ্রবণ হয়ে প্রৌঢ় রিপন বললেন, ‘এ পুকুরগুলোয় একসময় কত সাঁতার কাটছি, কত মাছ ধরছি!’
বাগিচা পুকুরের কাছাকাছি থাকা শামসাবাদ পুকুরও অস্তিত্ব হারিয়েছে। আনুমানিক চার দশক আগের পুকুরটি ভরাট হয়ে পরিণত হয়েছে শামসাবাদ খেলার মাঠে। মোহাম্মদপুর অঞ্চলের বছিলা ভাঙা মসজিদের কাছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন শত বছরের পুরোনো একটি পুকুর ছিল। স্থানীয়রা জানালেন ২০১৬ সালেই সেটি দখল করে ভরাট করা হয়। নির্মাণ করা হয় বাড়ি।
ঢাকা শহরজুড়েই একসময় ছিল এ রকম বহু পুকুর ও জলাভূমি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জমির দাম দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় বলি হয়েছে তার একটা বড় অংশ। এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঐতিহ্যবাহী পুকুরও।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) ২০২১ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, তিন-চার দশকে ঢাকার প্রায় ১৯০০ পুকুর ও জলাশয় দখল এবং ভরাট হয়েছে। ১৯৮৫ সালেও শহরে ২ হাজারের বেশি পুকুর ছিল। আরডিআরসির তখনকার হিসাবে (২০২১) ছোট-বড় মিলিয়ে পুকুরের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৪১।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুকুর ও জলাশয় শুধু একটি জনপদ বা শহরের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য জরুরি নয়, তা ঐতিহ্যেরও অংশ। একটি জনপদের নাগরিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে এসব জলাশয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহরে সরকারি পুকুরের পাশাপাশি বহু ব্যক্তিমালিকানা পুকুরও ছিল। অনেকেই নিজেদের ইচ্ছেমতো সেগুলো ভরাট করে ফেলেছেন।
‘এই পুকুরগুলোয় একসময় কত সাঁতার কাটছি, কত মাছ ধরছি!’ প্রৌঢ় রিপন মুকিম বাজারের ভরাট হওয়া বাগিচা পুকুর ও মৌলভি তালবা নিয়ে আক্ষেপ করে
সরকার ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণে আইন করে। সে আইনে বলা হয়েছে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করা বা সে জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না।
অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আইন হলেও তা যথাযথভাবে কার্যকর করা হচ্ছে কি না, কোনো সংশ্লিষ্ট সংস্থা সেটার দেখভাল করার কার্যক্রম নেয়নি।
পুরান ঢাকায় এখনো টিকে রয়েছে শতবর্ষী কয়েকটি পুকুর। এর মধ্যে রয়েছে নবাববাড়ী পুকুর বা গোলতালাব, বংশালের পঞ্চায়েত পুকুর, আলুবাজার পুকুর, হোসেনি দালান পুকুর, ধূপখোলা পুকুর ইত্যাদি। স্থানীয়দের পরিচর্যায় নবাববাড়ী পুকুর ও বংশালের পঞ্চায়েত পুকুরের চেহারা বেশ ভালো। তবে সিক্কাটুলির প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো আলী মোল্লা পুকুরটির অবস্থা বেহাল। অযত্ন-অবহেলায় কোনোমতে টিকে রয়েছে এটি।
নগরের পুকুর ও জলাশয়ের অবস্থা বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, সম্প্রতি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় ভরাট হয়ে যাওয়া পুকুর ও জলাশয়গুলো আবার খনন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেগুলো মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে, সেগুলোর অবস্থার উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি জলাশয়গুলোতে মাছ চাষের উপযোগিতা বৃদ্ধি করতে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৫ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার সুরিটোলা স্কুলের মাঠে খেলছিল একদল শিশু। পাশেই এক থুত্থুরে বুড়োর টং দোকান। জিজ্ঞেস করে জানা গেল, দোকানির বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। সুরিটোলা পুকুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি হেসে বললেন, ‘আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ঠিক এখানেই ছিল সুরিটোলা পুকুর।’
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার সুরিটোলা স্কুলের মাঠে খেলছিল একদল শিশু। পাশেই এক থুত্থুরে বুড়োর টং দোকান। জিজ্ঞেস করে জানা গেল, দোকানির বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। সুরিটোলা পুকুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি হেসে বললেন, ‘আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ঠিক এখানেই ছিল সুরিটোলা পুকুর।’
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৫ মিনিট আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার সুরিটোলা স্কুলের মাঠে খেলছিল একদল শিশু। পাশেই এক থুত্থুরে বুড়োর টং দোকান। জিজ্ঞেস করে জানা গেল, দোকানির বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। সুরিটোলা পুকুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি হেসে বললেন, ‘আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ঠিক এখানেই ছিল সুরিটোলা পুকুর।’
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৫ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার সুরিটোলা স্কুলের মাঠে খেলছিল একদল শিশু। পাশেই এক থুত্থুরে বুড়োর টং দোকান। জিজ্ঞেস করে জানা গেল, দোকানির বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। সুরিটোলা পুকুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি হেসে বললেন, ‘আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ঠিক এখানেই ছিল সুরিটোলা পুকুর।’
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৫ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে