Ajker Patrika

ডা. এনামের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৮: ২০
ডা. এনামের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। 
 
তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ ঢাকা-১৯ আসন থেকে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার আনোয়ার জংয়ের ছেলে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের ভাগ্য টলে যায়, আর খুলে যায় এনামুর রহমানের ভাগ্য। এনামুর রহমান সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান। 

দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রানা প্লাজা ধসের পর ভবনমালিক সোহেল রানাকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। তাঁর পরিবর্তে মনোনয়ন দেওয়া হয় বর্তমান সংসদ সদস্য ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানকে। তিনি রানা প্লাজার আহত শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আলোচনায় আসেন। 
 
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে গত ১০ বছরে তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদকে সাভার ও আশুলিয়া দেখা যায়নি। তিনি রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন না। এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 
 
তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ বলেন, ‘২০০৮ সালে দেশের সর্বোচ্চসংখ্যক ভোট পেয়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। এরপরও ২০১৪ সালে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। মনোনয়ন না পেলেও আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। টানা ১০ বছর আমি নীরব ছিলাম। এবার আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম এবং আমার প্রত্যাশা ছিল আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাই ভাবলাম জনপ্রিয়তার একটা পরীক্ষা হওয়া দরকার। এ জন্যই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।’ 
 
অন্যদিকে সাইফুল ইসলাম ছিলেন ধামশোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে তিনি সম্প্রতি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। 

দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলের উচ্চপর্যায়ের একটি অংশের ইঙ্গিত পেয়েই তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এ কারণেই চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তৃণমূলের ইচ্ছা ও জনপ্রিয়তার বিবেচনায় আমি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। এতে দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোনো আপত্তি নেই। অবাদ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্যই তিনি এ সুযোগ দিয়েছেন।’ 

এ বিষয়ে সাভার ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, এলাকায় তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ ও সাইফুল ইসলামের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের সমর্থন রয়েছে। তাই এই দুই নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে এনামুর রহমানের পক্ষে বিজয়ী হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত