নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। আজ শনিবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সাংবাদিকেরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী বলেন, ‘গণমাধ্যমের ওপর অব্যাহত আক্রমণের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র আমরা বুঝে নিতে পারি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সরকার এই বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই আইন। রাতের অন্ধকারে ভোট সমাপ্ত করে দেবে, আর গণমাধ্যম যেন কিছু বলতে না পারে, সে জন্য এই আইন প্রণয়ন। কোনো জনস্বার্থে এই আইন করা হয়নি। এখন পর্যন্ত দুই হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে এই আইনে। এসবের অধিকাংশই হচ্ছে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে।’
দেশের দুরবস্থার কথা প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের জন্য কাল হয়েছে মন্তব্য করে রফিউর রাব্বী বলেন, ‘কোনো আইন করে সরকার নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আইয়ুব বহু আইন করেছিল সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে। খাবারের স্বাধীনতা কোনো দিনমজুরের একার কথা নয়, এটা সারা দেশের মানুষের কথা। মানুষের এই হাহাকার, দুরবস্থার কথা প্রকাশ করাই তার কাল হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর তাঁবেদার প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত সংবাদকে রেফারেন্স টেনে যুবলীগ দিয়ে মামলা করা হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর বুলেট যেই কলমের দিকে ধেয়ে আসে না, সেই কলম বিক্রি হয়ে গেছে। সুতরাং, এটা পরিষ্কার কে সত্য, আর কে মিথ্যা। বিএনপির শাসন আমলেও প্রথম আলো শাসকগোষ্ঠীর মাথাব্যথা ছিল, আজকেও বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
রফিউর রাব্বী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যেদিন শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হলো, সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এই দেশে কোথায় আইন নিজস্ব গতিতে চলে? যখন ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীরা অপরাধ করে তখন তো আইন তাদের দেখে না। ত্বকী, সাগর রুনি, তনু হত্যার বিচার হয় না। আইন শাসকগোষ্ঠী নিজেদের মতো করে বানিয়ে নিজেদের মতো চালাচ্ছেন। জনগণের বিরুদ্ধে একের পর এক আইন বানিয়ে চলছে। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যত মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার ও আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহিন মাহমুদের সঞ্চালনায় ও সভাপতি ভবানী শংকর রায় সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সাংবাদিক ও কবি হালিম আজাদ, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, মহিলা পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, ন্যাপ জেলা সভাপতি আওলাদ হোসেন, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন, গণসংহতির জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বাসদ নেতা আবু নাইম খান বিপ্লব প্রমুখ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। আজ শনিবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সাংবাদিকেরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী বলেন, ‘গণমাধ্যমের ওপর অব্যাহত আক্রমণের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র আমরা বুঝে নিতে পারি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সরকার এই বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই আইন। রাতের অন্ধকারে ভোট সমাপ্ত করে দেবে, আর গণমাধ্যম যেন কিছু বলতে না পারে, সে জন্য এই আইন প্রণয়ন। কোনো জনস্বার্থে এই আইন করা হয়নি। এখন পর্যন্ত দুই হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে এই আইনে। এসবের অধিকাংশই হচ্ছে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে।’
দেশের দুরবস্থার কথা প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের জন্য কাল হয়েছে মন্তব্য করে রফিউর রাব্বী বলেন, ‘কোনো আইন করে সরকার নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আইয়ুব বহু আইন করেছিল সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে। খাবারের স্বাধীনতা কোনো দিনমজুরের একার কথা নয়, এটা সারা দেশের মানুষের কথা। মানুষের এই হাহাকার, দুরবস্থার কথা প্রকাশ করাই তার কাল হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর তাঁবেদার প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত সংবাদকে রেফারেন্স টেনে যুবলীগ দিয়ে মামলা করা হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর বুলেট যেই কলমের দিকে ধেয়ে আসে না, সেই কলম বিক্রি হয়ে গেছে। সুতরাং, এটা পরিষ্কার কে সত্য, আর কে মিথ্যা। বিএনপির শাসন আমলেও প্রথম আলো শাসকগোষ্ঠীর মাথাব্যথা ছিল, আজকেও বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
রফিউর রাব্বী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যেদিন শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হলো, সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এই দেশে কোথায় আইন নিজস্ব গতিতে চলে? যখন ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীরা অপরাধ করে তখন তো আইন তাদের দেখে না। ত্বকী, সাগর রুনি, তনু হত্যার বিচার হয় না। আইন শাসকগোষ্ঠী নিজেদের মতো করে বানিয়ে নিজেদের মতো চালাচ্ছেন। জনগণের বিরুদ্ধে একের পর এক আইন বানিয়ে চলছে। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যত মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার ও আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহিন মাহমুদের সঞ্চালনায় ও সভাপতি ভবানী শংকর রায় সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সাংবাদিক ও কবি হালিম আজাদ, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, মহিলা পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, ন্যাপ জেলা সভাপতি আওলাদ হোসেন, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন, গণসংহতির জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বাসদ নেতা আবু নাইম খান বিপ্লব প্রমুখ।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১৪ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
১৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩১ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে