নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সামান্য জটিলতা থাকলেও বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথম দিন শেষ হয়েছে রাজধানীর বস্তিবাসীর টিকাদান কর্মসূচি। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হয়েছিল টিকাদান। তবে টিকা নিতে পেরে খুশি বস্তিবাসী।
বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব বস্তির জন্য ৫ লাখ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজ দেওয়া হয়েছে কড়াইল বস্তিতে। এখানে তিন লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথম দিনে দেওয়ার কথা ১৫ হাজার নারী-পুরুষকে।
তাৎক্ষণিক নিবন্ধন ছাড়াও সুরক্ষা আ্যাপে নিবন্ধন করেও যারা এত দিন টিকার এসএমএস পাননি, তারাও এতে টিকা নিতে পারছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কড়াইল বস্তির এরশাদ মাঠে (পল্লিবন্ধু এরশাদ বিদ্যালয়) গিয়ে দেখা যায়, টিকা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। যাদের অধিকাংশই নারী। কিন্তু দু-একজন ছাড়া কারও মুখেই মাস্ক ছিল না, ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
এই কেন্দ্রের ৭টি বুথের প্রত্যেকটিতে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। এই কেন্দ্রসহ প্রতিটিতে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকা নিতে মাস্ক ছাড়া লাইনে দাঁড়িয়ে রোকসানা আক্তার। তেইশোর্ধ্ব এই নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার স্বামী অফিস করার কারণে আগেই টিকা নিতে পেরেছেন। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। সরকার আমাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছে, এটা আমাদের জন্য আনন্দের।'
টিকা নেওয়া তানজিলা বেগম (২৪) বলেন, 'অফিস থেকে টিকার জন্য বারবার বলা হচ্ছিল। কিন্তু বয়স ২৫ না হওয়ায় নিতে পারিনি। এখন ১৮ হলেই নেওয়া যাচ্ছে, তাই টিকা নিতে এসেছি।'
দুই মাস আগে নিবন্ধন করেছেন আবুল হোসেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এসএমএস আসেনি। তাই, সত্তোর্ধ্ব এই চা বিক্রেতা আজ এসেছেন টিকা নিতে।
আজকের পত্রিকাকে আবুল হোসেন বলেন, 'আমার পোলারা টিকা পেলেও নিবন্ধন করেও আমি এখনো টিকা নিতে পারিনি। এর আগে গণ টিকার সময়েও ফিরে গেছি। তাই এখন টিকা নিতে এসেছি।'
সকাল সাড়ে ৮টায় টিকাদান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় প্রায় সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে টিকাদান। শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়।
টিকাদানে নিয়োজিত রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক শাহরিয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, এ কেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় নারীর চেয় সংখ্যা অনেক বেশি। যারা আগে নিবন্ধন করেছেন তাদের কার্ড দেখে টিকা দেওয়া হচ্ছে। যারা নতুন তাদেরকে গতরাতে টোকেন দেওয়া হয়েছে। তাই, দ্রুত এগোচ্ছে। এ ছাড়া যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই, তাদেরকে জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটিতে সব বস্তিবাসীর জন্য ৫ লাখ টিকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে কড়াইলে বস্তিবাসী যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে তারা কেউ বাদ যাবে না। ৭টা কেন্দ্রে ২৫টা বুথে আমাদের শতাধিক কর্মী কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য একদিনে ১৫ হাজার করে টিকা প্রদান। যে পর্যন্ত সবাইকে টিকা নিশ্চিত না করা হবে, সে কদিন আমরা টিকা দিয়ে যাব।
সামান্য জটিলতা থাকলেও বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথম দিন শেষ হয়েছে রাজধানীর বস্তিবাসীর টিকাদান কর্মসূচি। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হয়েছিল টিকাদান। তবে টিকা নিতে পেরে খুশি বস্তিবাসী।
বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব বস্তির জন্য ৫ লাখ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজ দেওয়া হয়েছে কড়াইল বস্তিতে। এখানে তিন লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথম দিনে দেওয়ার কথা ১৫ হাজার নারী-পুরুষকে।
তাৎক্ষণিক নিবন্ধন ছাড়াও সুরক্ষা আ্যাপে নিবন্ধন করেও যারা এত দিন টিকার এসএমএস পাননি, তারাও এতে টিকা নিতে পারছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কড়াইল বস্তির এরশাদ মাঠে (পল্লিবন্ধু এরশাদ বিদ্যালয়) গিয়ে দেখা যায়, টিকা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। যাদের অধিকাংশই নারী। কিন্তু দু-একজন ছাড়া কারও মুখেই মাস্ক ছিল না, ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
এই কেন্দ্রের ৭টি বুথের প্রত্যেকটিতে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। এই কেন্দ্রসহ প্রতিটিতে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকা নিতে মাস্ক ছাড়া লাইনে দাঁড়িয়ে রোকসানা আক্তার। তেইশোর্ধ্ব এই নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার স্বামী অফিস করার কারণে আগেই টিকা নিতে পেরেছেন। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। সরকার আমাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছে, এটা আমাদের জন্য আনন্দের।'
টিকা নেওয়া তানজিলা বেগম (২৪) বলেন, 'অফিস থেকে টিকার জন্য বারবার বলা হচ্ছিল। কিন্তু বয়স ২৫ না হওয়ায় নিতে পারিনি। এখন ১৮ হলেই নেওয়া যাচ্ছে, তাই টিকা নিতে এসেছি।'
দুই মাস আগে নিবন্ধন করেছেন আবুল হোসেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এসএমএস আসেনি। তাই, সত্তোর্ধ্ব এই চা বিক্রেতা আজ এসেছেন টিকা নিতে।
আজকের পত্রিকাকে আবুল হোসেন বলেন, 'আমার পোলারা টিকা পেলেও নিবন্ধন করেও আমি এখনো টিকা নিতে পারিনি। এর আগে গণ টিকার সময়েও ফিরে গেছি। তাই এখন টিকা নিতে এসেছি।'
সকাল সাড়ে ৮টায় টিকাদান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় প্রায় সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে টিকাদান। শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়।
টিকাদানে নিয়োজিত রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক শাহরিয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, এ কেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় নারীর চেয় সংখ্যা অনেক বেশি। যারা আগে নিবন্ধন করেছেন তাদের কার্ড দেখে টিকা দেওয়া হচ্ছে। যারা নতুন তাদেরকে গতরাতে টোকেন দেওয়া হয়েছে। তাই, দ্রুত এগোচ্ছে। এ ছাড়া যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই, তাদেরকে জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটিতে সব বস্তিবাসীর জন্য ৫ লাখ টিকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে কড়াইলে বস্তিবাসী যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে তারা কেউ বাদ যাবে না। ৭টা কেন্দ্রে ২৫টা বুথে আমাদের শতাধিক কর্মী কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য একদিনে ১৫ হাজার করে টিকা প্রদান। যে পর্যন্ত সবাইকে টিকা নিশ্চিত না করা হবে, সে কদিন আমরা টিকা দিয়ে যাব।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে