শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

‘পার্শ্ববর্তী দেশসহ অনেক স্থানেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। তবে সংক্রমণের হার অতিমাত্রায় বাড়লে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আজ শনিবার বেলা সারে ১১টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। 

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে কারিগরি কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী দু-এক দিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা আগের চেয়ে ৪০০ গুণ বেশি। এর ফলে রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন যানবাহনে বিশেষ করে বাস-লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার নির্দেশনা আসছে। দু-এক দিনের মধ্যে এসংক্রান্ত নির্দেশনা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। 

জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ায় চিকিৎসার জন্য দেশের হাসপাতালগুলোকে পুনরায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের মতো ওমিক্রনও মোকাবিলা করা হবে। তবে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী হলে সমস্যা তৈরি হবে। তাই করোনায় যাতে আক্রান্ত হতে না হয়, এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই এখনো দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। কলকারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে। এই পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দোকানপাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার না করলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে জেলা-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। 

মন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রনে যুক্তরাজ্যে এক লাখ ও আমেরিকায় চার লাখ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে। আমাদের দেশে এই অবস্থা হোক আমরা চাই না। আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রাথমিকভাবে মাস্ক আমাদের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাবে। সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আমরা কঠোরতা অবলম্বন করব। সারা দেশে নির্বাচন হচ্ছে, বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ 

শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. যোবায়ের, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।