Ajker Patrika

দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি

ব্যবসার কাজের চাপে ঈদের দিন কোরবানি দিতে পারেননি রাজধানীর বনশ্রীর বাসিন্দা রূহুল আমিন (৬০)। তাই, দ্বিতীয় দিনে আজ কোরবানি দিচ্ছেন তিনি।

মালিবাগের হেলাল উদ্দিনও (৫৪) প্রথম দিন অনেক চাপ থাকায় কোরবানি করেননি। তাই, দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিচ্ছেন। প্রায় প্রতি বছরই তিনি ঈদের পরদিন কোরবানি দিয়ে থাকেন বলে জানান।

শুধু তাঁরা নন আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে অলি–গলিতে অনেককেই পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। নানা ঝামেলার কারণে যারা গতকাল পারেননি, তাঁরা আজ দিচ্ছেন। এ ছাড়া আগামীকাল থেকে কঠোর লকডাউনের কথা শুনে অনেকে তৃতীয় দিনে কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছা করলেও আজই দিচ্ছেন।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বড় একটি অংশ পুরান ঢাকা। যেখানে ঈদের দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানি অনেকটা ঐতিহ্যের মতো। বাড়তি ঝামেলা এড়াতে ও কসাই পাওয়া নিয়ে জটিলতায় দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিয়ে থাকেন স্থানীয়রা।

মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের দিন কসাই পাওয়া অনেক কষ্ট। এ ছাড়া আত্মীয়–স্বজনদের একটু চাপ থাকে। তাই, আগের বছরগুলোর ন্যায় এবার দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।

ঈদে পশু জবাই করতে ব্যস্ত সময় কাটে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। খিলগাঁওয়ের জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলূম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল ঈদের দিন পশু কোরবানির অনেক চাপ ছিল। এদিন ১৪টি গরু জবাই করেছি। গতকালের চেয়ে চাপ কম হলেও মোটামুটি অনেক জায়গায় পশু জবাই হচ্ছে।
পশু জবাইয়ের অনেক স্থানে গরিব অসহায়দের ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের দিন অনেকে ৫ থেকে ১৫ কেজি মাংস সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় বিক্রি করেছেন।

গতকালের ন্যায় আজও বনশ্রী এলাকায় মাংস সংগ্রহের চেষ্টায় নেমেছেন বিলকিস আক্তার। সকাল থেকে দুই জায়গায় গিয়েছেন তিনি।

আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ঈদের দিন সারা দিন ঘুরে ৬ কেজির মতো গোশত পাইছি। বেশির ভাগই বেইচা দিছি। বাকিগুলো ছেলে–মেয়ে নিয়ে খাইছি। কিন্তু আজ ভিড় বেশি।

এদিকে দ্বিতীয় দিনেও বর্জ্য অপসারণ করতে মাঠে নেমেছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। কিছু স্থানে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেলেও অধিকাংশ স্থানেই নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

সিপাহিবাগের পরিচ্ছন্নতাকর্মী রায়হান বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক ভালো হয়েছে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করা গেছে। যেখানেই পশু জবাই হচ্ছে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। অনেকে নিজ উদ্যোগে বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে দিয়ে যাওয়ায় সুবিধা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত