নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির যেসব ধারা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে তাই আর রক্তপাত, সহিংসতার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেইশিং। রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আজ শুক্রবার এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, ‘আমরা সকলে কাজ করার ফলে এই পার্বত্য শান্তি চুক্তি করা সম্ভব হয়েছে। এই চুক্তি করতে একটি বুলেটও খরচ করতে হয়নি। চুক্তির আগে যে পরিবেশ ছিল সে পরিবেশ আর কখনো ফিরে আসুক সেটা আমরা কখনো চাই না। চাঁদাবাজি, খুন, অস্ত্র, সহিংসতা এগুলো আমাদের সুখ দেবে না। তাই এগুলো যাতে আর ফিরে না আসে সে জন্য সব পক্ষকেই আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কমিটি করে দিয়েছেন। চুক্তি বাস্তবায়নে আমাদের আন্তরিকতা লাগবে, খোলা মন লাগবে, তবেই আমরাই সমাধানে পৌঁছতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হচ্ছে, তবে চাকরি ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য বিসিএসে কোটা রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই এই চুক্তি করা হয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার ফল। চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সোলার প্যানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। দেড় হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’
মুখ্য আলোচক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, ‘এই শান্তি চুক্তির পর তিন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। কেউ কেউ বলছেন চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ২৮টি ধারা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো যেসব ধারা বাস্তবায়ন হয়নি তা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি। পাহাড়ের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শান্তি চুক্তি করেছিলেন। যারা বলেন কিছুই হয়নি তাদের সঙ্গে আমি এক নই, আবার চুক্তির সবকিছু বাস্তবায়ন হয়ে গেছে যারা বলেন তাও ঠিক নয়।’
কিশোর ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘শান্তি চুক্তির পর ২৬টি উপজেলায় এখন কলেজ আছে, রাস্তাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। বিভিন্ন কমিশন ও বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে এগুলো দুর্বল অবস্থায় আছে। এই দুর্বলতা দূর করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আগের মত অতটা অবহেলিত নেই। তবে শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। বিসিএস দিয়ে পাহাড়ের অনেক ছেলে মেয়েরা লিখিত দিয়ে ভাইভা পর্যন্ত আসে। কিন্তু এখান থেকে তারা ঝরে যায়। তাই এই পর্যায়ে কোটার বিষয়টি যাতে বিবেচনা করা হয় সে আহ্বান জানাচ্ছি।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি গৌতম চাকমাসহ অন্যরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির যেসব ধারা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে তাই আর রক্তপাত, সহিংসতার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেইশিং। রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আজ শুক্রবার এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, ‘আমরা সকলে কাজ করার ফলে এই পার্বত্য শান্তি চুক্তি করা সম্ভব হয়েছে। এই চুক্তি করতে একটি বুলেটও খরচ করতে হয়নি। চুক্তির আগে যে পরিবেশ ছিল সে পরিবেশ আর কখনো ফিরে আসুক সেটা আমরা কখনো চাই না। চাঁদাবাজি, খুন, অস্ত্র, সহিংসতা এগুলো আমাদের সুখ দেবে না। তাই এগুলো যাতে আর ফিরে না আসে সে জন্য সব পক্ষকেই আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কমিটি করে দিয়েছেন। চুক্তি বাস্তবায়নে আমাদের আন্তরিকতা লাগবে, খোলা মন লাগবে, তবেই আমরাই সমাধানে পৌঁছতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হচ্ছে, তবে চাকরি ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য বিসিএসে কোটা রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই এই চুক্তি করা হয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার ফল। চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সোলার প্যানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। দেড় হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’
মুখ্য আলোচক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, ‘এই শান্তি চুক্তির পর তিন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। কেউ কেউ বলছেন চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ২৮টি ধারা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো যেসব ধারা বাস্তবায়ন হয়নি তা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি। পাহাড়ের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শান্তি চুক্তি করেছিলেন। যারা বলেন কিছুই হয়নি তাদের সঙ্গে আমি এক নই, আবার চুক্তির সবকিছু বাস্তবায়ন হয়ে গেছে যারা বলেন তাও ঠিক নয়।’
কিশোর ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘শান্তি চুক্তির পর ২৬টি উপজেলায় এখন কলেজ আছে, রাস্তাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। বিভিন্ন কমিশন ও বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে এগুলো দুর্বল অবস্থায় আছে। এই দুর্বলতা দূর করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আগের মত অতটা অবহেলিত নেই। তবে শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। বিসিএস দিয়ে পাহাড়ের অনেক ছেলে মেয়েরা লিখিত দিয়ে ভাইভা পর্যন্ত আসে। কিন্তু এখান থেকে তারা ঝরে যায়। তাই এই পর্যায়ে কোটার বিষয়টি যাতে বিবেচনা করা হয় সে আহ্বান জানাচ্ছি।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি গৌতম চাকমাসহ অন্যরা।
রাজধানীর হাতিরঝিল মোড়ল গলিতে এক যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
১ মিনিট আগে২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীতে নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরের বাস রুট যৌক্তিকীকরণ এবং প্রতি রুটে অভিন্ন কোম্পানির অধীনে বাস সার্ভিস চালুর একটি উদ্যোগ নিয়েছিল বিগত সরকার। এজন্য ২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প শুরু করা হয় ২০২০ সালের ১ মার্চ।
৩২ মিনিট আগেপুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
৫ ঘণ্টা আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে