নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় হৃদ্রোগ হাসপাতালে ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নানকের আগমনকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছিল সাজসাজ রব। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা দলবলে যোগ দেন নানকের নির্বাচনী সভায়। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
সকাল ১০টায় গাড়িবহর নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক হাসপাতালে প্রবেশ করলেই চিকিৎসক-নার্সরা স্লোগানে দিতে থাকেন, ‘নানক ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছার স্বাগতম। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ আওয়ামী লীগের এই নেতাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় গেটে রোগী ও রোগীর স্বজনদের জটলা তৈরি হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এর আগেও তিনি এই আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
হৃদ্রোগ হাসপাতালের রোগীদের ভিড় ঠেলে চিকিৎসকেরা নৌকার প্রার্থীকে নিয়ে যান হাসপাতালের দক্ষিণ ব্লকের আটতলার কনফারেন্স রুমে। সেখানে নানকের নির্বাচনী সভা আয়োজনে আগে থেকেই সব প্রস্তুত ছিল।
জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগের দিন অর্থাৎ গতকাল বুধবার সর্বস্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবক-সেবিকা ও কর্মচারীদের নির্বাচনী সভায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই নির্বাচনী সভার কারণে হাসপাতালে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনেরা ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। বেলা ১১টার সময় হাসপাতালে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে কথা হয় রাহেলা বেগমের সঙ্গে। তিনি এসেছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে। তাঁর স্বামী শাহে আলম (৬০) পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রাহেলা বলেন, হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাঁর স্বামী। সকালে ডাক্তার দেখার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনো নেতা আসায় ডাক্তার আসতে দেরি করছেন।
হাসপাতালে নির্বাচনী সভার আয়োজন ও তাতে সর্বস্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবক-সেবিকা ও কর্মচারীদের যোগ দেওয়ার বিষয়টি নীতি ও বিধিসম্মত কিনা জানতে চাইলে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এড়িয়ে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
আহমেদুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর কবির নানক ওই আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তিনি তার ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অতি উৎসাহী লোকজন অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করেছেন। এই অতি উৎসাহীদের কারণেই সাধারণ বিষয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।’
ওই সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক মোহাম্মদপুর ও শেরেবাংলা নগরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সবার কাছে নৌকায় ভোট চান। নানক বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি। নৌকা মার্কা নিয়ে দাঁড়িয়েছি। ভোট ভিক্ষা করার জন্য।’
৭ তারিখে ভোট দিতে কারা যাবেন সম্মতি জানতে চান তিনি। এ সময় উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। বিশ্ব মোড়লদের খবরদারির জবাব দিতেই ভোট উৎসবে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান নৌকার এই প্রার্থী।
তিনি দুবার সংসদ সদস্য থাকাকালীন নির্বাচনী এলাকার চিত্র অনেক পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘আগে মোহাম্মদপুর-আদাবরের মানুষ গুলির শব্দে ঘুমাতে যেত। খুনের সংবাদ দিয়ে দিনের যাত্রা শুরু করত। মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ছিল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। মাদকের স্বর্গরাজ্য। এই এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি। অনেক পরিবর্তন করেছি।’
সভাস্থলে চিকিৎসক ও নার্স নেতারা আলাদা করে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাঁরা নৌকার পক্ষে উপস্থিত সবার কাছে লিফলেট বিতরণ করেন। নির্বাচনী স্লোগান দেন উপস্থিত চিকিৎসক ও নার্সরা।
অনুষ্ঠানে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক মীর জামাল উদ্দিন নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, ‘যে যেখানে ভোটার আছি, ৭ তারিখে ভোটকেন্দ্রে যাব এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নানক ভাইকে জয়যুক্ত করে আনব।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ডা. জুলফিকার আলী লেলিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বাবু প্রমুখ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় হৃদ্রোগ হাসপাতালে ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নানকের আগমনকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছিল সাজসাজ রব। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা দলবলে যোগ দেন নানকের নির্বাচনী সভায়। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
সকাল ১০টায় গাড়িবহর নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক হাসপাতালে প্রবেশ করলেই চিকিৎসক-নার্সরা স্লোগানে দিতে থাকেন, ‘নানক ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছার স্বাগতম। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ আওয়ামী লীগের এই নেতাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় গেটে রোগী ও রোগীর স্বজনদের জটলা তৈরি হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এর আগেও তিনি এই আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
হৃদ্রোগ হাসপাতালের রোগীদের ভিড় ঠেলে চিকিৎসকেরা নৌকার প্রার্থীকে নিয়ে যান হাসপাতালের দক্ষিণ ব্লকের আটতলার কনফারেন্স রুমে। সেখানে নানকের নির্বাচনী সভা আয়োজনে আগে থেকেই সব প্রস্তুত ছিল।
জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগের দিন অর্থাৎ গতকাল বুধবার সর্বস্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবক-সেবিকা ও কর্মচারীদের নির্বাচনী সভায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই নির্বাচনী সভার কারণে হাসপাতালে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনেরা ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। বেলা ১১টার সময় হাসপাতালে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে কথা হয় রাহেলা বেগমের সঙ্গে। তিনি এসেছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে। তাঁর স্বামী শাহে আলম (৬০) পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রাহেলা বলেন, হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাঁর স্বামী। সকালে ডাক্তার দেখার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনো নেতা আসায় ডাক্তার আসতে দেরি করছেন।
হাসপাতালে নির্বাচনী সভার আয়োজন ও তাতে সর্বস্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবক-সেবিকা ও কর্মচারীদের যোগ দেওয়ার বিষয়টি নীতি ও বিধিসম্মত কিনা জানতে চাইলে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এড়িয়ে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
আহমেদুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর কবির নানক ওই আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তিনি তার ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অতি উৎসাহী লোকজন অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করেছেন। এই অতি উৎসাহীদের কারণেই সাধারণ বিষয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।’
ওই সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক মোহাম্মদপুর ও শেরেবাংলা নগরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সবার কাছে নৌকায় ভোট চান। নানক বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি। নৌকা মার্কা নিয়ে দাঁড়িয়েছি। ভোট ভিক্ষা করার জন্য।’
৭ তারিখে ভোট দিতে কারা যাবেন সম্মতি জানতে চান তিনি। এ সময় উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। বিশ্ব মোড়লদের খবরদারির জবাব দিতেই ভোট উৎসবে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান নৌকার এই প্রার্থী।
তিনি দুবার সংসদ সদস্য থাকাকালীন নির্বাচনী এলাকার চিত্র অনেক পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘আগে মোহাম্মদপুর-আদাবরের মানুষ গুলির শব্দে ঘুমাতে যেত। খুনের সংবাদ দিয়ে দিনের যাত্রা শুরু করত। মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ছিল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। মাদকের স্বর্গরাজ্য। এই এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি। অনেক পরিবর্তন করেছি।’
সভাস্থলে চিকিৎসক ও নার্স নেতারা আলাদা করে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাঁরা নৌকার পক্ষে উপস্থিত সবার কাছে লিফলেট বিতরণ করেন। নির্বাচনী স্লোগান দেন উপস্থিত চিকিৎসক ও নার্সরা।
অনুষ্ঠানে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক মীর জামাল উদ্দিন নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, ‘যে যেখানে ভোটার আছি, ৭ তারিখে ভোটকেন্দ্রে যাব এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নানক ভাইকে জয়যুক্ত করে আনব।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ডা. জুলফিকার আলী লেলিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বাবু প্রমুখ।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে