Ajker Patrika

দুই ভাই হত্যা: ফরিদপুরে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ার শেল, ফাঁকা গুলি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮: ২২
Thumbnail image

ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এ সময় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও ইট ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। তাতে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার দাবি তুলে এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচি পালনে সেখানে সমবেত জনতা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, কামারখালী ব্রিজের অদূরে মাঝিবাড়ি, বাগাটের ঘোপঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লোকজন মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও শটগানের গুলি ছোড়ে। তাতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরপর বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ রায়ট কার মোতায়েন করে। তবে হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।

ফরিদপুরে মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, দুই ভাইকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার পাইলট স্কুল থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করা হয়। কোথাও বুঝিয়ে শুনিয়ে, কোথাও টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এ কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকাপ্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যালয়টির পাশের কালীমন্দিরে মূর্তিতে আগুন দেওয়ার অপবাদ দিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করে কয়েকজন নির্মাণশ্রমিককে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। নির্যাতনে আরশাদুল ও আশরাফুল নামের দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হয় আরও পাঁচজন। তবে মূর্তিতে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা এখনো কেউ জানাতে পারেনি। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় প্রশাসন। ঘটনার পর ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ঢাকা রেঞ্জের আইজিপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত আইজিপি মারুফ হোসেন সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত