Ajker Patrika

পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে দুপুরের মধ্যে: ডিএমপি কমিশনার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ০৬
পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে দুপুরের মধ্যে: ডিএমপি কমিশনার 

পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। 

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার রোজার মধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তাই এবার পয়লা বৈশাখে কোনো খাবারের দোকানে খোলা থাকবে না। রোজার মাস চলমান থাকায় এবার ২টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। দুপুর ১টার পর কাউকে এই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’   

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে অনুষ্ঠান এলাকায় যানবাহন বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে তল্লাশি করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ এলাকা নজরদারিতে থাকবে।’

পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেখানে অনেক মানুষ একত্রিত হয় সেখানে নারীরা ইভটিজিং এর শিকার হন। বৈশাখ উপলক্ষে আগত আমাদের মায়েরা, বোনেরা ও সন্তানরা ইভটিজিং ও খারাপ আচরণের শিকার হন। সেটি চিহ্নিত করার জন্য আমাদের সাদা পোশাকে উল্লেখযোগ্য সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে।’

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙালির প্রাণের উৎসব, বাংলা বর্ষ বরণ উৎসব। করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় এবার বর্ষ বরণ আয়োজন করা হয়েছে। সীমিত আকারে এবার আয়োজন হবে।’ 

বর্ষ বরণে অন্যান্য বছর থেকে এবার একটু ভিন্নতা থাকবে। রমজানের কারণে পান্তা ভাত ও মেলায় খাবারের দোকান থাকছে না। অনুষ্ঠানটি সীমিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দুপুর ২টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। যাতে মানুষ এখান থেকে বের হয়ে খুব সহজে বাড়ি ফিরে ইফতার করতে পারে। 

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট থাকবে। যেখানে প্রত্যেকটি মানুষকে চেকের ভেতর দিয়ে এই এলাকায় প্রবেশ করতে হবে। এই এলাকায় সকল যানবাহন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সোয়াত ও ডিস্পোজাল ইউনিট মোতায়েন থাকবে। আজ এবং আগামীকাল পর্যন্ত পুরো এলাকা সার্চ করা হবে। পাশাপাশি পুরো চত্বর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। পুরো এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, সোয়াত, ডগ স্কয়াটের পাশাপাশি রমনার লেকে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মোতায়েন থাকবে। 

ছোট শিশুদের না আনার অনুরোধ জানিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই এলাকায় শিশুদের না আনার অনুরোধ করছি কারণ এই এলাকায় খাবারের কোনো দোকান থাকবে না। মুখোশ পরে আসা যাবে না। উচ্চ শব্দ তৈরি করে এমন বাদ্যযন্ত্র আনা যাবে না।’  

মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দিতে হলে চেকের ভেতর দিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের বিশেষ আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হলে আগে চেকিং হয়ে প্রবেশ করতে হবে। মাঝ রাস্তায় চাইলেই কেউরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সদস্যরা কঠোর আচরণ করতে পারে।’  

বেলা ১১টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে হবে। আর দুপুর ২টার মধ্যে রমনা এলাকায় মেলা গুটিয়ে ফেলতে হবে। ১টার পরে প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে পুরো এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত