Ajker Patrika

বারের নির্বাচনে কায়সার কামালের ভূমিকার তদন্ত চাইলেন ব্যারিস্টার খোকন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বারের নির্বাচনে কায়সার কামালের ভূমিকার তদন্ত চাইলেন ব্যারিস্টার খোকন 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ভূমিকা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বারের দক্ষিণ হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

বারের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘তারেক রহমান আমাদের প্যানেল ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছেন ভোট গণনায় না যেতে? তিনি বলেছেন দায়িত্ব না নিতে? এই বালক কায়সার কামাল কে? সে সরকারের এজেন্ট। সরকারকে ওয়াকওভার দিতে চেয়েছিল। সরকারকে জেতানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছে।’

খোকন বলেন, ‘ভোট গণনার সময় আমরা সবাই থাকলে ১৪টি পদের মধ্যে অন্তত ১২টিতে জয়ী হতাম। আমরা জয়ী হলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের আন্দোলন শক্তিশালী হতো। প্যানেল ঘোষণার পর কায়সার কামাল বিভিন্ন জেলায় লোকজন নিয়ে অবকাশ যাপন করেছেন। তারেক রহমানের ঘোষিত প্যানেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সে চায়নি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক।’

কায়সার কামালকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীর স্ত্রীর সঙ্গে কায়সার কামালের পরকীয়া ছিল। ধরা পড়ার পর মামলা হয়। তাতে ওই নারীর সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবেন না– এমন মুচলেকা দিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। পরে আবারও যোগাযোগ করে বিয়ে করেছেন ওই নারীকে। সাত মাসের সন্তান থাকলেও বিয়ের কাবিন নেই।’

কায়সার কামালের বহিষ্কার চেয়ে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘যার এরকম নৈতিক স্খলন, সে কীভাবে নেতা হয়? সে আত্মস্বীকৃত অপরাধী। নৈতিক স্খলনের কারনে তার আইনজীবী সমিতির পদ কীভাবে থাকে?’

কোনো আইনজীবী সংগঠনে তাকে রাখা উচিত না। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলেও অভিযোগ রয়েছে। বিএনপি থেকে কায়সার কামালকে বহিষ্কার করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘১৮ বছর বয়স থেকে আমি বিএনপি করছি। বিএনপিতে বর্তমানে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে কায়সার কামালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন খোকনের সমর্থক আইনজীবীরা। তারা তার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বারের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে গত শনিবার অব্যাহতি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে বিজয়ী খোকন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত