রাজবাড়ী প্রতিনিধি
বাড়তি লাভের লোভে পড়ে অপরিপক্ব রসুন তুলে বিক্রি করছেন রাজবাড়ীর কৃষকেরা। এতে উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। তাঁরা কৃষকদের অপরিপক্ব রসুন তুলতে নিরুৎসাহিত করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গোয়ালন্দ উপজেলার চর কর্ণেশন এলাকায় দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ রসুনখেত। রসুনের গাছের রং এখনো সবুজ। গাছ মারা যাওয়ার পরে রসুন পরিপক্ব হয়। পরিপক্ব হতে এখনো এক মাস বাকি থাকলেও মাঠ থেকে রসুন তোলার ধুম পড়েছে।
জানা গেছে, বাজারে প্রতি মণ রসুন চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পরে রসুন তুললে মণপ্রতি দাম কিছুটা কমে যেতে পারে, সেই ধারণা থেকে কৃষকেরা এখনোই অপরিপক্ব অবস্থায় তুলে ফেলছেন। এতে বাজারে দাম বেশি পেলেও তাঁরা আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন না।
আকবর নামের এক কৃষক বলেন, ‘এখন রসুন তোলা হচ্ছে বাজারে দাম বেশি বলে। আমরা বাজারে একটু বেশি দাম দেখলে তাড়াতাড়ি সেই ফসল তুলে বিক্রি করে দিই। দাম একটু বেশি পেলেও ফলন কম হচ্ছে। এক মাস পর রসুন তুললে ফলন বেশি হবে। এখন এক মণ পেলে, তখন দুই মণ হবে।’
রশিদ মোল্লা নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘এ বছর বেশি দামে রসুন বীজ কিনতে হয়েছে। সার-কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেশি পড়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার আবাদের খরচ অনেক বেশি পড়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ পড়েছে ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা। আর প্রতি বিঘায় রসুন উৎপাদন হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ মণ। গত বছর বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয়েছিল ৩০ থেকে ৩৫ মণ করে।’
কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে বীজ, সার, শ্রমিক দিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে যে রসুন পাচ্ছি, তাতে লোকসানে পড়তে হবে। এবার ফলন কম রসুনের বর্তমান দাম কমে গেলে লোকসান হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর রাজবাড়ীতে ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৮১৮ টন।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষকেরা বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ব রসুন তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। যেহেতু আগাম ফসলের দাম বেশি পাওয়া যায়, তাই তাঁরা এটি করছেন। অপরিপক্ব রসুন তুললে ওজনে কম হয়। যেহেতু আরও ২৫ থেকে ৩০ দিন পর রসুন তোলার মূল সময়, তাই কৃষকদের পরিপক্ব হলে রসুন তুলতে বলা হচ্ছে।
বাড়তি লাভের লোভে পড়ে অপরিপক্ব রসুন তুলে বিক্রি করছেন রাজবাড়ীর কৃষকেরা। এতে উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। তাঁরা কৃষকদের অপরিপক্ব রসুন তুলতে নিরুৎসাহিত করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গোয়ালন্দ উপজেলার চর কর্ণেশন এলাকায় দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ রসুনখেত। রসুনের গাছের রং এখনো সবুজ। গাছ মারা যাওয়ার পরে রসুন পরিপক্ব হয়। পরিপক্ব হতে এখনো এক মাস বাকি থাকলেও মাঠ থেকে রসুন তোলার ধুম পড়েছে।
জানা গেছে, বাজারে প্রতি মণ রসুন চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পরে রসুন তুললে মণপ্রতি দাম কিছুটা কমে যেতে পারে, সেই ধারণা থেকে কৃষকেরা এখনোই অপরিপক্ব অবস্থায় তুলে ফেলছেন। এতে বাজারে দাম বেশি পেলেও তাঁরা আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন না।
আকবর নামের এক কৃষক বলেন, ‘এখন রসুন তোলা হচ্ছে বাজারে দাম বেশি বলে। আমরা বাজারে একটু বেশি দাম দেখলে তাড়াতাড়ি সেই ফসল তুলে বিক্রি করে দিই। দাম একটু বেশি পেলেও ফলন কম হচ্ছে। এক মাস পর রসুন তুললে ফলন বেশি হবে। এখন এক মণ পেলে, তখন দুই মণ হবে।’
রশিদ মোল্লা নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘এ বছর বেশি দামে রসুন বীজ কিনতে হয়েছে। সার-কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেশি পড়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার আবাদের খরচ অনেক বেশি পড়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ পড়েছে ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা। আর প্রতি বিঘায় রসুন উৎপাদন হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ মণ। গত বছর বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয়েছিল ৩০ থেকে ৩৫ মণ করে।’
কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে বীজ, সার, শ্রমিক দিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে যে রসুন পাচ্ছি, তাতে লোকসানে পড়তে হবে। এবার ফলন কম রসুনের বর্তমান দাম কমে গেলে লোকসান হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর রাজবাড়ীতে ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৮১৮ টন।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কৃষকেরা বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ব রসুন তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। যেহেতু আগাম ফসলের দাম বেশি পাওয়া যায়, তাই তাঁরা এটি করছেন। অপরিপক্ব রসুন তুললে ওজনে কম হয়। যেহেতু আরও ২৫ থেকে ৩০ দিন পর রসুন তোলার মূল সময়, তাই কৃষকদের পরিপক্ব হলে রসুন তুলতে বলা হচ্ছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হবে। জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
২ ঘণ্টা আগেসভায় যোগ দিতে সরকারি গাড়িতেই রাজশাহী এসেছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে। রাজধানীর ২১টি স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব পশুর হাটে আজ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে হাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। অফিস-আদালতের ছুটি শুরু হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের পশুর
২ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহা সামনে রেখে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্তে পুশ ইন, গরু চোরাচালান ও কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।
২ ঘণ্টা আগে