ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে বিষের বোতল নিয়ে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী। শনিবার সকাল থেকে উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কার্তিকপুর গ্রামে তিনি এই দাবি নিয়ে অবস্থান শুরু করেন।
তরুণীর স্বামী মো. ইমরান খান, ওই গ্রামের মৃত শাহজাহান খানের ছেলে।
স্ত্রী চপলার অবস্থানের কথা শুনে ইমরানকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ওই তরুণী একই উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের সিকদার কান্দি গ্রামের মৃত-শহীদউল্লাহ হাওলাদারের মেয়ে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রদল নেতা ইমরানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে বন্ধুত্ব, একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের ১৫ মে স্থানীয় কাজি অফিসে গিয়ে তাঁরা গোপনে বিয়ে করেন। ওই নারী বিয়ের বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানালেও ইমরান তাঁর পরিবারকে জানাননি। বিয়ের পর ইমরানের সঙ্গে ওই নারীর গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক চলতে থাকে। এভাবে এক বছর হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান করে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়ায় চাপ প্রয়োগ করেন ওই নারী। একপর্যায়ে ওই নারীকে অস্বীকার করেন ইমরান।
ভুক্তভোগী ওই নারীর বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী কাজির মাধ্যমে গোপনে ইমরান আমাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর তার ভাইকে ইতালি পাঠাবে বলে আমার কাছ থেকে দুই ধাপে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে। তাঁর কথায় এক বছর বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখি। আমি স্ত্রী হিসেবে তাঁর বাড়িতে থাকতে চাওয়ার পর থেকে সে আমাকে অস্বীকার করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইমরানের এলাকার নেতাদের বিষয়টি জানালে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। স্ত্রীর মর্যাদা পেলে আমি মার শ্বশুর বাড়িতে অনশন করতেছি যদি আমাকে মেনে না নেয় আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব।’
বাড়িতে অবস্থানের শুরু থেকেই ইমরান তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিভাবকদের কাছে তাঁদের বিয়ে গোপন রাখা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় নানা শঙ্কায় পড়েন তিনি। ব্যবসা করতে ৫ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করছেন ইমরান। স্বামীর রহস্যজনক এমন আচরণে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। দুই বছর পার না হতেই স্বামীর এমন আচরণে অবশেষে তিনি শনিবার ইমরানের বাড়ি অনশন করেছেন।
তরুণী আরও বলেন, ‘এ বিষয় রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপ্লব সিকদারকে জানালে, তিনি ইমরান খানকে পরিষদে তলব করলেও সেখানে সে উপস্থিত হয়নি।’
শনিবার সকালে ইমরানের বাড়িতে গিয়ে তরুণীর বিষ হাতে নিয়ে অবস্থান ও অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলে তারা বিস্মিত হন। কিন্তু তরুণীকে বাধা না দিয়ে অবস্থানের সুযোগ দিয়েছেন তাঁরা।
ইমরানের মামা মতিন সরদার জানান, ‘ইমরান ও ওর বিবাহিত স্ত্রী একান্ত বিবাহ করেছে। আমরা ভালো ভাবে জানতাম না, এখন যেহেতু ঘটনা শুনলাম ইমরান ডিভোর্স দিয়েছ তাঁর স্ত্রীকে সত্য কি না তা জানি না। আমরা উভয় পক্ষ বিচারের মাধ্যমে সঠিক তথ্যসাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করাব।’
স্থানীয় শিপল সিকদার মেম্বার বলেন, ‘বিষয়টি আমার আগে জানা ছিল না। আজকেই শুনলাম এবং মেয়েকে দেখলাম। বিষয়টা আমরা উভয় পক্ষ নিয়ে সুষ্ঠ সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এ বিষয় ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি ওই এলাকার মুরব্বী রহমান ভাইকে বলি, ওনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের হাত থেকে বিষের বোতলটি উদ্ধার করে বিচারের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে অনশন সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে মেয়ে আমাদের কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ দিলে আমরা আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিবো।’
পরে মেয়ের স্বামী ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান খান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি তাকে বিয়ে করেছি ঠিক আছে। কিন্তু এখন সে বিষ খেয়ে মরে যাক। আমার কোনো কিছু যায় আসে না। আমি তাকে তালাক দিয়েছি।’
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে বিষের বোতল নিয়ে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী। শনিবার সকাল থেকে উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কার্তিকপুর গ্রামে তিনি এই দাবি নিয়ে অবস্থান শুরু করেন।
তরুণীর স্বামী মো. ইমরান খান, ওই গ্রামের মৃত শাহজাহান খানের ছেলে।
স্ত্রী চপলার অবস্থানের কথা শুনে ইমরানকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ওই তরুণী একই উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের সিকদার কান্দি গ্রামের মৃত-শহীদউল্লাহ হাওলাদারের মেয়ে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রদল নেতা ইমরানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে বন্ধুত্ব, একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের ১৫ মে স্থানীয় কাজি অফিসে গিয়ে তাঁরা গোপনে বিয়ে করেন। ওই নারী বিয়ের বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানালেও ইমরান তাঁর পরিবারকে জানাননি। বিয়ের পর ইমরানের সঙ্গে ওই নারীর গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক চলতে থাকে। এভাবে এক বছর হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান করে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়ায় চাপ প্রয়োগ করেন ওই নারী। একপর্যায়ে ওই নারীকে অস্বীকার করেন ইমরান।
ভুক্তভোগী ওই নারীর বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী কাজির মাধ্যমে গোপনে ইমরান আমাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর তার ভাইকে ইতালি পাঠাবে বলে আমার কাছ থেকে দুই ধাপে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে। তাঁর কথায় এক বছর বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখি। আমি স্ত্রী হিসেবে তাঁর বাড়িতে থাকতে চাওয়ার পর থেকে সে আমাকে অস্বীকার করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইমরানের এলাকার নেতাদের বিষয়টি জানালে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। স্ত্রীর মর্যাদা পেলে আমি মার শ্বশুর বাড়িতে অনশন করতেছি যদি আমাকে মেনে না নেয় আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব।’
বাড়িতে অবস্থানের শুরু থেকেই ইমরান তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিভাবকদের কাছে তাঁদের বিয়ে গোপন রাখা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় নানা শঙ্কায় পড়েন তিনি। ব্যবসা করতে ৫ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করছেন ইমরান। স্বামীর রহস্যজনক এমন আচরণে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। দুই বছর পার না হতেই স্বামীর এমন আচরণে অবশেষে তিনি শনিবার ইমরানের বাড়ি অনশন করেছেন।
তরুণী আরও বলেন, ‘এ বিষয় রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপ্লব সিকদারকে জানালে, তিনি ইমরান খানকে পরিষদে তলব করলেও সেখানে সে উপস্থিত হয়নি।’
শনিবার সকালে ইমরানের বাড়িতে গিয়ে তরুণীর বিষ হাতে নিয়ে অবস্থান ও অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলে তারা বিস্মিত হন। কিন্তু তরুণীকে বাধা না দিয়ে অবস্থানের সুযোগ দিয়েছেন তাঁরা।
ইমরানের মামা মতিন সরদার জানান, ‘ইমরান ও ওর বিবাহিত স্ত্রী একান্ত বিবাহ করেছে। আমরা ভালো ভাবে জানতাম না, এখন যেহেতু ঘটনা শুনলাম ইমরান ডিভোর্স দিয়েছ তাঁর স্ত্রীকে সত্য কি না তা জানি না। আমরা উভয় পক্ষ বিচারের মাধ্যমে সঠিক তথ্যসাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করাব।’
স্থানীয় শিপল সিকদার মেম্বার বলেন, ‘বিষয়টি আমার আগে জানা ছিল না। আজকেই শুনলাম এবং মেয়েকে দেখলাম। বিষয়টা আমরা উভয় পক্ষ নিয়ে সুষ্ঠ সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এ বিষয় ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি ওই এলাকার মুরব্বী রহমান ভাইকে বলি, ওনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের হাত থেকে বিষের বোতলটি উদ্ধার করে বিচারের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে অনশন সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে মেয়ে আমাদের কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ দিলে আমরা আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিবো।’
পরে মেয়ের স্বামী ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান খান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি তাকে বিয়ে করেছি ঠিক আছে। কিন্তু এখন সে বিষ খেয়ে মরে যাক। আমার কোনো কিছু যায় আসে না। আমি তাকে তালাক দিয়েছি।’
কক্সবাজারের চকরিয়া থানার প্রধান ফটকে মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক সাংবাদিককে মারধর করে ছিনতাই করা হয়েছে। গতকাল রাতে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীর দলে কয়েকজন নারীও ছিলেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক দৈনিক মানবজমিনের চকরিয়া প্রতিনিধি।
২ মিনিট আগেবিক্ষুব্ধ অটোরিকশাচালকদের দাবি, সম্প্রতি কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসি বাসের ঠিকাদারদের নিয়োজিত রাকিব ও জিহাদের লোকজন অটোরিকশাচালকদের কাছ থেকে মাসে ৩-৪ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের লোকজন বেশ কয়েকটি...
১০ মিনিট আগেরাজধানীর ভাষানটেকে বিআরপি বস্তিতে আগুন লেগেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস। ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় ১১টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে অস্ত্র, মাদক ও বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বোয়ালমারী পৌরসভার কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে