Ajker Patrika

‘স্প্লিন্টার আমার সম্পত্তি, এই নিয়ে কবরে যাব’

তানিম আহমেদ, ঢাকা
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২১, ১৭: ৫০
‘স্প্লিন্টার আমার সম্পত্তি, এই নিয়ে কবরে যাব’

মরে গেলে টাকা–পয়সা, বাড়ি–গাড়ি ফেলে যাব। কিন্তু স্প্লিন্টার, এটা আমার সম্পত্তি। এই নিয়েই কবরে যাব।– এভাবে বলছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত শেখ বজলুর রহমান।

বজলুর রহমান বর্তমানে ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০০৪ সালে ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সেই দিনের স্মৃতি এখনো তাড়া করে ফেরে তাঁকে। তিনি বলেন, এই স্মৃতি কি ভুলতে পারব, যত দিন বাঁচব! মনে থাকবে। আমি ছিলাম আইভী আপার (আইভী রহমান) সঙ্গে। দুজন একই সঙ্গে আঘাত পেয়েছি। তিনি ফেরেন নাই, আমারে আল্লাহ ফিরায় দিয়েছেন। 

২১ আগস্টে আহত অন্যদের মতো তিনিও এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডের স্প্লিন্টার । বলেন, শরীরের অনেকগুলো স্প্লিন্টার ঢুকছিল। বেশির ভাগই বের করা হয়েছিল। কিন্তু ৫৮টি স্প্লিন্টার বের করা যায়নি। এর মধ্যে দুটি এমনি বের হয়েছে। এখন তেমন ব্যথা নেই। এই নিয়েই চলতে হবে যে কয়েক দিন বাঁচি। 

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশে যোগ দিয়ে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। সেদিনের ঘটনায় আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। সেই হামলার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে।

বজলুর রহমান বলেন, কিডনি আর রগে থাকা স্প্লিন্টার তো বাইর করা সম্ভব না। আবার আমার কিডনি একটা, দুইটা থাকলে সেটা বের করা যেতো ৷ ডাক্তাররা সেই রিস্ক নিতেন। এখন আমার পায়ে সব সময়ই ঝিঁঝিঁ থাকে। যত দিন বাঁচব এটা থাকবেই। মাঝে মাঝে হার্ড হয়ে যায়। তখন শরীর মেসেজ করতে হয়। এভাবেই চলছে। অভ্যস্ত হয়ে গেছি। 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে সহযোগিতা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে এটি করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আমার চেয়েও খারাপ অবস্থা অনেকের ছিল। নেত্রী তো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মানুষের কাছে চেয়ে চেয়ে অনেক সহযোগিতা করেছিলেন। সরকারের আসার পরে সবাইকে সাহায্য করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত