ঢাবি প্রতিনিধি
দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে রাতে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়ায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বামধারার ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।
বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। প্রায় ১৫ মিনিট মৌন অবস্থান করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের হাতে ‘সাংবাদিকতা অপরাধ নয়’, ‘সংবাদ প্রকাশ অপরাধ নয়’, ‘ফ্রি শামস’, নজরদারিমুক্ত গণমাধ্যম চাই’ ও ‘অবিলম্বে শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি দাও’—লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড তাদের হাতে ছিল। বামধারা ছাত্র সংগঠনের মোর্চা—গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকে ও সমমনা ব্যক্তিরা এতে অংশ নেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মেঘমল্লার বসু। মেঘমল্লারের বক্তব্যের পর টিএসসি থেকে শাহবাগ অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ ঘুরে আবার টিএসসিতে ফিরে শেষ হয়। মেঘমল্লার বসু বলেন, ’ আমাদের প্রতিরোধ করার সময় হয়েছে, সময় হয়েছে এমন না; সময় প্রায় শেষ হয়ে গেছে! স্বাধীনতা দিবসের দিনে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ করার কারণে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া হল। অথচ প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, যে ব্যক্তির ছবি দেওয়া হয়েছে, সে বক্তা নয়; বক্তা অন্য একজন, যিনি পেশায় দিনমজুর। সেটিকে উপেক্ষা করা এমন একটি আবহ তৈরি করা হলো যে এখানে সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’
মেঘমল্লার বসু আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ক্ষমতাসীন সরকার অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সে যুদ্ধকে ইনটেনসিফাই করা হচ্ছে, সে যুদ্ধকে প্রবল করে তোলা হচ্ছে, ছলেবলে সাংবাদিকতাকে সন্ত্রাস হিসেবে দেখানো হচ্ছে, সাংবাদিকতা করার কারণে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। যখন দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পায় তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না, যখন মুক্তিবুদ্ধির চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করা হয় তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না—যখন চোরকে চোর বলা হয় তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, চোরের ভাবমূর্তি প্রোটেকশনের দায়িত্ব জনগণের নয়। যা ঘটছে তা স্পষ্টভাবে বলার অধিকারও আমাদেরও আছে, সৎসাহসও আমাদের আছে। কাজেই আমরা বলব, একবার-দুবার নয়—বারবার বলব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা খাবারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যা শুধু নিম্নবিত্তের নয়, এটা সকলের সমস্যা। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে স্বৈরাচার সরকার উৎখাত করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন মেঘমল্লার।
গত রোববার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের একটি সংবাদের দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে ফেসবুক পেজে একটি ‘কার্ড’ প্রকাশ করা হয় সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে ছবিটি তুলে নেওয়া হয় এবং ছবির ভুল প্রয়োগের বিষয়েও বলা হয়। ছবিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের বলে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি এবং উক্তিটি শিশুর বলেও উল্লেখ করা হয়নি। ওই সংবাদ করেছিলেন শামসুজ্জামান। তাকে বুধবার রাত চারটার সময়ে সাভারে বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেন কয়েকজন।
এদিকে এ সংবাদকে ‘প্রথম আলোর ষড়যন্ত্র, স্বাধীনতা দিবসের কটূক্তি ও হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রজন্মের প্রতিবাদ’—উল্লেখ করে আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে রাতে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়ায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বামধারার ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।
বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। প্রায় ১৫ মিনিট মৌন অবস্থান করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের হাতে ‘সাংবাদিকতা অপরাধ নয়’, ‘সংবাদ প্রকাশ অপরাধ নয়’, ‘ফ্রি শামস’, নজরদারিমুক্ত গণমাধ্যম চাই’ ও ‘অবিলম্বে শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি দাও’—লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড তাদের হাতে ছিল। বামধারা ছাত্র সংগঠনের মোর্চা—গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকে ও সমমনা ব্যক্তিরা এতে অংশ নেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মেঘমল্লার বসু। মেঘমল্লারের বক্তব্যের পর টিএসসি থেকে শাহবাগ অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ ঘুরে আবার টিএসসিতে ফিরে শেষ হয়। মেঘমল্লার বসু বলেন, ’ আমাদের প্রতিরোধ করার সময় হয়েছে, সময় হয়েছে এমন না; সময় প্রায় শেষ হয়ে গেছে! স্বাধীনতা দিবসের দিনে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ করার কারণে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া হল। অথচ প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, যে ব্যক্তির ছবি দেওয়া হয়েছে, সে বক্তা নয়; বক্তা অন্য একজন, যিনি পেশায় দিনমজুর। সেটিকে উপেক্ষা করা এমন একটি আবহ তৈরি করা হলো যে এখানে সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’
মেঘমল্লার বসু আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ক্ষমতাসীন সরকার অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সে যুদ্ধকে ইনটেনসিফাই করা হচ্ছে, সে যুদ্ধকে প্রবল করে তোলা হচ্ছে, ছলেবলে সাংবাদিকতাকে সন্ত্রাস হিসেবে দেখানো হচ্ছে, সাংবাদিকতা করার কারণে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। যখন দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পায় তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না, যখন মুক্তিবুদ্ধির চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করা হয় তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না—যখন চোরকে চোর বলা হয় তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, চোরের ভাবমূর্তি প্রোটেকশনের দায়িত্ব জনগণের নয়। যা ঘটছে তা স্পষ্টভাবে বলার অধিকারও আমাদেরও আছে, সৎসাহসও আমাদের আছে। কাজেই আমরা বলব, একবার-দুবার নয়—বারবার বলব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা খাবারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যা শুধু নিম্নবিত্তের নয়, এটা সকলের সমস্যা। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে স্বৈরাচার সরকার উৎখাত করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন মেঘমল্লার।
গত রোববার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের একটি সংবাদের দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে ফেসবুক পেজে একটি ‘কার্ড’ প্রকাশ করা হয় সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে ছবিটি তুলে নেওয়া হয় এবং ছবির ভুল প্রয়োগের বিষয়েও বলা হয়। ছবিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের বলে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি এবং উক্তিটি শিশুর বলেও উল্লেখ করা হয়নি। ওই সংবাদ করেছিলেন শামসুজ্জামান। তাকে বুধবার রাত চারটার সময়ে সাভারে বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেন কয়েকজন।
এদিকে এ সংবাদকে ‘প্রথম আলোর ষড়যন্ত্র, স্বাধীনতা দিবসের কটূক্তি ও হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রজন্মের প্রতিবাদ’—উল্লেখ করে আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, ডিএসসিসির সাবেক মেয়রের সহযোগী খোরশেদ আলম ওইদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে তদন্তে জানা গেছে।
১০ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার সদর উপজেলার একটি গ্রামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার করতে সালিস বৈঠক করেন গ্রামের মাতুব্বরেরা। সালিস বৈঠকে ওই বৃদ্ধকে চড়-থাপ্পড় মেরে অভিযোগের মীমাংসা করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি জানিয়েছে। এদিকে গ্রাম্য মাতুব্বরেরা বলছেন, এ ঘটনায় আইনের
১৪ মিনিট আগেপরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রী ও বোনকে খুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুর এলাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদকের অবাধ ব্যবসা। মাদারীপুর জামে মসজিদের পশ্চিম পাশের রাস্তা ও আশপাশের এলাকায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চরম উৎকণ্ঠা ও নিরাপত্তাহীনতা।
২ ঘণ্টা আগে