Ajker Patrika

ধলেশ্বরীতে লঞ্চের ধাক্কায় সিমেন্টবাহী বাল্কহেড ডুবি

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
ধলেশ্বরীতে লঞ্চের ধাক্কায় সিমেন্টবাহী বাল্কহেড ডুবি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমডি জাহিদ-৩ এর ধাক্কায় সাড়ে ৭ হাজার সিমেন্ট বোঝাই বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ভোর ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া নৌযানটি মাস্টার, সুকানিসহ পাঁচজনই অক্ষত রয়েছেন। 

প্রথমে তিনজন সাঁতরে তীরে উঠলেও প্রাথমিক অবস্থায় নিখোঁজ থাকে অপর দুজন। তবে পরবর্তীতে নিখোঁজ দুজন সাঁতরে অপর আরেকটি নৌযানে করে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছায় এবং অক্ষত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নৌপুলিশ। এদিকে বাল্কহেড ডুবির ঘটনার পর নৌযান ও নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালায় নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। 

ডুবে যাওয়া নৌযানের প্রত্যক্ষদর্শী ও নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর ক্রাউন সিমেন্ট কারখানা থেকে সাড়ে ৭ হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে পাবনার নগরবাড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল বাল্কহেডটি। নৌযানটি মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে ঢাকামুখী লঞ্চ এমভি জাহিদ-৩ ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেলে বাল্কহেডে থাকা পাঁচজনের মধ্যে লস্কর জুয়েল রানা (৩৫) সহ মাস্টার সুফিয়ান (৩৬) ও বিল্লাল (৩০) এই তিনজন সাঁতরে অপর আরেকটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হন। তবে নিখোঁজ থাকেন অপর দুজন সুকানি শরিফুল ইসলাম (২৮) ও লস্কর নুর ইসলাম (৪০)। তাদের অনুসন্ধানে অভিযান চালায় নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে কয়েক ঘণ্টা অভিযানের চলাকালে নিখোঁজ দুজন অক্ষত অবস্থায় নিকট আত্মীয়র বাড়িতে পৌঁছানোর খবর আসে। 

এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, ‘বাল্কহেড ডুবির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিমও আছে। কয়েক ঘন্টা অভিযান পরিচালনার মাঝে নিখোঁজ দুজন নিকট আত্মীয়র মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমাদের সঙ্গে। তাঁরা নিশ্চিত করে অপর আরেকটি নৌযানে করে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন। তাই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় তা আটক করা যায়নি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত