Ajker Patrika

যমুনা সেতুতে ৭ দিনে আড়াই লাখ যানবাহন পারাপার, টোল আদায় ১৭ কোটি টাকা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
যমুনা সেতু পূর্ব টোল প্লাজা। ছবি: সংগৃহীত
যমুনা সেতু পূর্ব টোল প্লাজা। ছবি: সংগৃহীত

ঈদযাত্রায় সাত দিনে যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ মার্চ এক দিনে সর্বোচ্চ সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়। সাত দিনে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৪ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়। ২৫ মার্চ ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন, ২৬ মার্চ ৩৩ হাজার ৭৬৬, ২৭ মার্চ ৩৫ হাজার ২২৭, ২৮ মার্চ ৪৮ হাজার ৩৩৫, ২৯ মার্চ ৪৫ হাজার ৪৭৮টি ও ঈদযাত্রার শেষ দিন গতকাল রোববার যমুনা সেতু দিয়ে ৩১ হাজার ৪৬৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এ মহাসড়ক। এই সড়ক দিয়ে লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪টি জেলার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। প্রতিবছর অতিরিক্ত চাপে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এবার ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী চার লেন খুলে দেওয়া হলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চার লেনের সুবিধা পায়। এবার যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন।

যমুনা সেতু টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক প্রবীর কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদযাত্রায় বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে দুই পাশে দুটি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়।’

প্রবীর কুমার আরও বলেন, ‘ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী চার লেন খুলে দেওয়া হলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চার লেনের সুবিধা পেয়েছে। যার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন। যাত্রীরা স্বস্তিতে যে পারলে আমরাও স্বস্তিতে থাকি। এবার আমাদের প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। ঈদ-পরবর্তী সময় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। কোনো রকম সংকট হবে বলে মনে করি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত