সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
দীর্ঘ ১ মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাটে, যাত্রীদেরও চাপ রয়েছে পর্যাপ্ত। নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর রুটে দীর্ঘদিন লঞ্চ বন্ধ থাকার পর এত যাত্রী পাওয়ার আশা করেননি খোদ লঞ্চের স্টাফরাই। তবে দ্রুতই পরিবেশ আগের মতো ফিরে আসায় বেশ খুশি তারা। যাত্রীদের জন্যেও অতীতের চাইতে আরও বেশি আন্তরিক ও নিরাপত্তায় জোর দিয়েছেন লঞ্চের মালিক-শ্রমিকেরা।
সম্প্রতি ৭০ ফুটের অধিক দৈর্ঘ্যের ১৮টি লঞ্চকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিটিএ। এতে মালিকপক্ষের বড় একটি অংশ অসন্তোষ প্রকাশ করলেও লঞ্চ চালুর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় খুশি শ্রমিকেরা। নতুন করে লঞ্চ ধুয়েমুছে প্রস্তুত করা হয়েছে। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সার্বিক দিক থেকে বেশ গুছিয়ে নিয়েছে লঞ্চ মালিকেরা। ঈদ ঘিরে লঞ্চে আগত যাত্রীদের সুবিধা প্রদানের জন্যেও বলা হয়েছে স্টাফদের।
আজ বুধবার সরেজমিনে লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া চাঁদপুরগামী লঞ্চে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন, যদিও এর ধারণ ক্ষমতা আরও বেশি। তবে ভরদুপুরে এই পরিমাণ যাত্রীও অনেক সময় মেলে না। আর তাই নির্ধারিত সময়েই লঞ্চ ছেড়ে গেছে গন্তব্যের উদ্দেশে। তবে সেন্ট্রাল ও বন্দর খেয়াঘাটে চলাচলরত নৌকাগুলোর জন্য ঘাট থেকে মুক্ত হয়েই লঞ্চটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত নৌকাগুলো দুপাশে সরে যাওয়ার পরই পুনরায় যাত্রা শুরু করে লঞ্চটি। নৌ পথে এত সতর্কতা ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতা লঞ্চচালকদের মাঝে খুব কমই দেখা যায়।
ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা লঞ্চ মকবুল-২ এর ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, পর্যাপ্ত লাইফ বয়া মজুত রাখা হয়েছে। একে একে গুনে পাওয়া যায় ৪০টি লাইফ বয়া। চলাচলরত যাত্রীদের জন্য যার পরিমাণ যথেষ্ট বলেই মনে হয়। তবে অধিকাংশ বয়াই নিচতলায় সংরক্ষিত ছিল। লঞ্চের সামনে লঞ্চ সম্পর্কিত তথ্যের চার্ট পড়ে দেখা যায়, মাত্র ২৬টি বয়া মজুতের মাধ্যমেই নৌযানটি চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। সম্প্রতি নৌযানের নিরাপত্তা কড়াকড়ি করায় আরও বেশি বয়া মজুত করেছেন লঞ্চ মালিকেরা।
লঞ্চযাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লঞ্চে আমরা নিয়মিত চলাচল করি। লঞ্চ বন্ধ থাকলে যাত্রীদের সমস্যা হয় বেশি। সড়কের চাইতে নৌপথে দুর্ঘটনা কম হয়। দুর্ঘটনা যা ঘটে, তার চেয়ে ভয় থাকে বেশি, নৌপথ সড়ক পথের চাইতে বেশি নিরাপদ। আসন্ন ঈদে নিয়ম মেনে লঞ্চ চালালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখছি না।’
লঞ্চের নিরাপত্তা নিয়ে আরেক যাত্রী সুমন বলেন, ‘লঞ্চে বয়ার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেখলাম। তবে সবই নিচতলায়। কোনো কোনোটা বেঁধে রাখা, এগুলো সবখানে ছড়িয়ে রেখে হাতের নাগালে রাখা দরকার, তাহলেই যাত্রীরা নিরাপদবোধ করবে।’
লঞ্চে বাড়তি বয়াসহ বাড়তি তৎপরতার বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহণ) সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের সব ধরনের সহযোগীতা এবং নিরাপত্তা প্রদানে প্রস্তুত। এবারের ঈদে যাত্রীদের জন্য আমরা বাড়তি বয়ার পাশাপাশি চলাচলেও বেশ কিছু সুবিধা যুক্ত করেছি। প্রতিটি লঞ্চের ভেতরে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদের সময় লঞ্চের যাত্রীরা বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ করলেও নারায়ণগঞ্জ রুটে এমন কোনো অভিযোগ আসবে না। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য চালক এবং স্টাফদের আলাদাভাবে কাউন্সিলিং করা হয়েছে।’
লঞ্চে নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে বিআইডব্লিউটএর নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটএ থেকে নির্দেশনা আসার পর লঞ্চ মালিকেরা নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। আমরা মনে করি, তাঁদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। চালকদের নিয়ম মেনে লঞ্চ চালাতে পরামর্শ দিয়েছি। আশা করছি, এবারের ঈদে নিরাপদভাবেই যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারবেন।’
গত ২০ মার্চ কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯-এর ধাক্কায় ডুবে যায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এম এল আশরাফ। প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা হয়েছিল। পথে শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর কিছু আগে চর সৈয়দপুর কদমতলী ব্রিজ এলাকায় জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। এ সময় বেশ কিছু যাত্রী লাফিয়ে ও সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তলিয়ে যান অনেকে। এরপরই ওই রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
দীর্ঘ ১ মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাটে, যাত্রীদেরও চাপ রয়েছে পর্যাপ্ত। নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর রুটে দীর্ঘদিন লঞ্চ বন্ধ থাকার পর এত যাত্রী পাওয়ার আশা করেননি খোদ লঞ্চের স্টাফরাই। তবে দ্রুতই পরিবেশ আগের মতো ফিরে আসায় বেশ খুশি তারা। যাত্রীদের জন্যেও অতীতের চাইতে আরও বেশি আন্তরিক ও নিরাপত্তায় জোর দিয়েছেন লঞ্চের মালিক-শ্রমিকেরা।
সম্প্রতি ৭০ ফুটের অধিক দৈর্ঘ্যের ১৮টি লঞ্চকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিটিএ। এতে মালিকপক্ষের বড় একটি অংশ অসন্তোষ প্রকাশ করলেও লঞ্চ চালুর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় খুশি শ্রমিকেরা। নতুন করে লঞ্চ ধুয়েমুছে প্রস্তুত করা হয়েছে। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে সার্বিক দিক থেকে বেশ গুছিয়ে নিয়েছে লঞ্চ মালিকেরা। ঈদ ঘিরে লঞ্চে আগত যাত্রীদের সুবিধা প্রদানের জন্যেও বলা হয়েছে স্টাফদের।
আজ বুধবার সরেজমিনে লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া চাঁদপুরগামী লঞ্চে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন, যদিও এর ধারণ ক্ষমতা আরও বেশি। তবে ভরদুপুরে এই পরিমাণ যাত্রীও অনেক সময় মেলে না। আর তাই নির্ধারিত সময়েই লঞ্চ ছেড়ে গেছে গন্তব্যের উদ্দেশে। তবে সেন্ট্রাল ও বন্দর খেয়াঘাটে চলাচলরত নৌকাগুলোর জন্য ঘাট থেকে মুক্ত হয়েই লঞ্চটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত নৌকাগুলো দুপাশে সরে যাওয়ার পরই পুনরায় যাত্রা শুরু করে লঞ্চটি। নৌ পথে এত সতর্কতা ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতা লঞ্চচালকদের মাঝে খুব কমই দেখা যায়।
ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা লঞ্চ মকবুল-২ এর ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, পর্যাপ্ত লাইফ বয়া মজুত রাখা হয়েছে। একে একে গুনে পাওয়া যায় ৪০টি লাইফ বয়া। চলাচলরত যাত্রীদের জন্য যার পরিমাণ যথেষ্ট বলেই মনে হয়। তবে অধিকাংশ বয়াই নিচতলায় সংরক্ষিত ছিল। লঞ্চের সামনে লঞ্চ সম্পর্কিত তথ্যের চার্ট পড়ে দেখা যায়, মাত্র ২৬টি বয়া মজুতের মাধ্যমেই নৌযানটি চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। সম্প্রতি নৌযানের নিরাপত্তা কড়াকড়ি করায় আরও বেশি বয়া মজুত করেছেন লঞ্চ মালিকেরা।
লঞ্চযাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লঞ্চে আমরা নিয়মিত চলাচল করি। লঞ্চ বন্ধ থাকলে যাত্রীদের সমস্যা হয় বেশি। সড়কের চাইতে নৌপথে দুর্ঘটনা কম হয়। দুর্ঘটনা যা ঘটে, তার চেয়ে ভয় থাকে বেশি, নৌপথ সড়ক পথের চাইতে বেশি নিরাপদ। আসন্ন ঈদে নিয়ম মেনে লঞ্চ চালালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখছি না।’
লঞ্চের নিরাপত্তা নিয়ে আরেক যাত্রী সুমন বলেন, ‘লঞ্চে বয়ার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেখলাম। তবে সবই নিচতলায়। কোনো কোনোটা বেঁধে রাখা, এগুলো সবখানে ছড়িয়ে রেখে হাতের নাগালে রাখা দরকার, তাহলেই যাত্রীরা নিরাপদবোধ করবে।’
লঞ্চে বাড়তি বয়াসহ বাড়তি তৎপরতার বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহণ) সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের সব ধরনের সহযোগীতা এবং নিরাপত্তা প্রদানে প্রস্তুত। এবারের ঈদে যাত্রীদের জন্য আমরা বাড়তি বয়ার পাশাপাশি চলাচলেও বেশ কিছু সুবিধা যুক্ত করেছি। প্রতিটি লঞ্চের ভেতরে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদের সময় লঞ্চের যাত্রীরা বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ করলেও নারায়ণগঞ্জ রুটে এমন কোনো অভিযোগ আসবে না। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য চালক এবং স্টাফদের আলাদাভাবে কাউন্সিলিং করা হয়েছে।’
লঞ্চে নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে বিআইডব্লিউটএর নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটএ থেকে নির্দেশনা আসার পর লঞ্চ মালিকেরা নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। আমরা মনে করি, তাঁদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। চালকদের নিয়ম মেনে লঞ্চ চালাতে পরামর্শ দিয়েছি। আশা করছি, এবারের ঈদে নিরাপদভাবেই যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারবেন।’
গত ২০ মার্চ কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯-এর ধাক্কায় ডুবে যায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এম এল আশরাফ। প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা হয়েছিল। পথে শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর কিছু আগে চর সৈয়দপুর কদমতলী ব্রিজ এলাকায় জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। এ সময় বেশ কিছু যাত্রী লাফিয়ে ও সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তলিয়ে যান অনেকে। এরপরই ওই রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
৬ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে